“রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।” কে এই উক্তি করেন?
A
এইচ. ডি, স্টেইন
B
জন স্মিথ
C
মিশেল ক্যামডেসাস
D
এম, ডব্লিউ, পামফ্রে
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও অধিকার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যম। সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP-এর মতে, সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
তাত্ত্বিক মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন, 'রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক' (Good Governance is important for countries at all stages of development)।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন, 'যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে'।
0
Updated: 1 month ago
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য শর্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জেন্ডার সমতা
B
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
C
সরকার পরিবর্তন
D
সুশাসন
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যার সমস্ত সম্পদ ও শক্তি জনকল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
-
এ রাষ্ট্র জনগণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে।
-
তবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়; কারণ এটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজতান্ত্রিক কার্যাবলী সম্পাদন করে।
-
মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য এ রাষ্ট্র—
-
অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে,
-
বেকারভাতা প্রদান করে,
-
বিনা খরচে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে,
-
বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
-
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য শর্ত।
0
Updated: 1 month ago
লর্ড ব্রাইসের মতে সুনাগরিকের গুণাবলী হলো— বুদ্ধি, আত্মসংযম এবং আর কোন গুণ?
Created: 1 month ago
A
বিবেক
B
প্রজ্ঞা
C
নিষ্ঠা
D
জ্ঞান
সুনাগরিক ছাড়া কোনো সমাজ সুন্দর ও সার্থক হতে পারে না।
-
লর্ড ব্রাইসের মতে, কোন নাগরিক সুনাগরিক হিসেবে পরিগণিত হবে যদি তিনটি গুণ থাকে:
১. বুদ্ধি
২. আত্মসংযম
৩. বিবেক -
অধ্যাপক ই. এম. হোয়াইটের মতে, সুনাগরিকের গুণাবলী হলো:
-
জ্ঞান
-
প্রজ্ঞা
-
নিষ্ঠা
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১০
B
২০১১
C
২০১২
D
২০১৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই কৌশল নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এবং শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
-
স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
-
প্রণয়ন: বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই কৌশল গ্রহণ করেছে
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা
-
ভূমিকা: রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীদারদের দায়িত্ব নির্ধারণ
-
গ্রহণকারী: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
-
শুদ্ধাচারের সংজ্ঞা: নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজে অনাচার হ্রাস পায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এটি কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং চরিত্রনিষ্ঠার প্রকাশ। নাগরিকরা রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শুদ্ধাচারের প্রচলন হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়, জনগণ অন্যায় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার কমে।
0
Updated: 1 month ago