দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতম মাস কোনটি?
A
জানুয়ারি
B
ফেব্রুয়ারি
C
ডিসেম্বর
D
মে
উত্তরের বিবরণ
গোলার্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে গেলে বলা যায় যে পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করার জন্য একটি কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা হয়, যাকে নিরক্ষরেখা বলা হয়। এই রেখা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে আলাদা করে এবং পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নিরক্ষরেখা হলো একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধকে বিভক্ত করে।
-
এই রেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় এবং এর অক্ষাংশ 0°।
-
এটি পৃথিবীর মাঝখানে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রসারিত।
-
নিরক্ষরেখার উত্তরের স্থানগুলি উত্তর গোলার্ধে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত স্থানগুলি দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে।
-
উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকার কিছু অংশ, দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ অঞ্চল এবং পুরো অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত।
দক্ষিণ গোলার্ধ সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো:
-
এটি পৃথিবীর দক্ষিণ অংশ।
-
২২ ডিসেম্বর এখানে দীর্ঘতম দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত দেখা যায়।
-
২১ জুন দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘ রাত হয়।
-
উষ্ণতম মাস হলো জানুয়ারি এবং শীতলতম মাস জুলাই।
0
Updated: 1 month ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 1 month ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জলবায়ু কী ধরনের?
Created: 1 month ago
A
ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু
B
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
C
উপক্রান্তীয় জলবায়ু
D
আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ু
বাংলাদেশের জলবায়ু
বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিদ্যমান। মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিকও পরিবর্তিত হয়, যাকে মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
🔹 গ্রীষ্মকালে
-
প্রচণ্ড তাপের কারণে উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে তুলনামূলকভাবে কম তাপ থাকায় উচ্চচাপ বিদ্যমান থাকে।
-
ফলে দক্ষিণের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু উত্তর গোলার্ধের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসায় এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসে, তাই একে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
এই বায়ুর কারণেই বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
🔹 শীতকালে
-
শীতকালে অবস্থা একেবারে উল্টো হয়।
-
তখন উত্তর গোলার্ধে উচ্চচাপ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
ফলে উত্তর দিক থেকে বায়ু দক্ষিণের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সাধারণত স্থলভাগের ওপর দিয়ে আসে বলে এতে জলীয়বাষ্প খুবই কম থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে, তাই একে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
ফলে শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত খুব সামান্য ঘটে।
অর্থাৎ, ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিক ও বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ুতে বৈচিত্র্য দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ?
Created: 4 weeks ago
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
চুনাপাথর
C
বায়ু
D
কয়লা
নবায়নযোগ্য এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো এদের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা ও প্রাপ্যতা। নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহার করা গেলেও শেষ হয় না, আর অনবায়নযোগ্য শক্তি একবার ব্যবহারের পর পুনরায় সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
-
Renewable Energy (নবায়নযোগ্য শক্তি):
-
এ ধরনের শক্তি reusable অর্থাৎ ব্যবহার শেষে আবার পাওয়া যায় এবং নিকট ভবিষ্যতে এর ঘাটতির সম্ভাবনা থাকে না।
-
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—সূর্যের আলো, বায়ু, নদীর বহমান পানি, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও ঢেউ, পৃথিবীর গভীরের উত্তপ্ত ম্যাগমা।
-
-
Non-Renewable Energy (অনবায়নযোগ্য শক্তি):
-
এ শক্তি once used, cannot be reproduced অর্থাৎ একবার শেষ হয়ে গেলে পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না।
-
এগুলো মূলত প্রাকৃতিক সম্পদ যা স্বল্প সময়ে পুনঃউৎপন্ন হয় না।
-
উদাহরণ: তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম।
-
0
Updated: 4 weeks ago