দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতম মাস কোনটি?
A
জানুয়ারি
B
ফেব্রুয়ারি
C
ডিসেম্বর
D
মে
উত্তরের বিবরণ
গোলার্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে গেলে বলা যায় যে পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করার জন্য একটি কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা হয়, যাকে নিরক্ষরেখা বলা হয়। এই রেখা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে আলাদা করে এবং পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নিরক্ষরেখা হলো একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধকে বিভক্ত করে।
-
এই রেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় এবং এর অক্ষাংশ 0°।
-
এটি পৃথিবীর মাঝখানে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রসারিত।
-
নিরক্ষরেখার উত্তরের স্থানগুলি উত্তর গোলার্ধে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত স্থানগুলি দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে।
-
উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকার কিছু অংশ, দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ অঞ্চল এবং পুরো অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত।
দক্ষিণ গোলার্ধ সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো:
-
এটি পৃথিবীর দক্ষিণ অংশ।
-
২২ ডিসেম্বর এখানে দীর্ঘতম দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত দেখা যায়।
-
২১ জুন দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘ রাত হয়।
-
উষ্ণতম মাস হলো জানুয়ারি এবং শীতলতম মাস জুলাই।
0
Updated: 1 month ago
’শুভলং’ ঝরনা কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া
1
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের এফসিডিআই প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
Created: 1 month ago
A
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
B
পানি নিষ্কাশন
C
পানি সেচ
D
উপরের তিনটি (ক, খ ও গ)
এফসিডিআই (FCDIP) প্রকল্প
FCDIP-এর পূর্ণরূপ: Flood Control, Drainage and Irrigation Projects (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প)।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় স্বাভাবিক বছরে দেশের প্রায় ২০% এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। আবার ১৯৯৮ সালের মতো ভয়াবহ বন্যায় এই হার প্রায় ৭০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এফসিডিআই প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে—
-
বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ,
-
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং
-
সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়।
ফলস্বরূপ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জমি ব্যবহার আরও উপযোগী হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (BWDB) গঠনের জন্য Bangladesh Water and Power Development Boards Order, 1972 (P.O. No. 59 of 1972) জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নকে আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য
এফসিডিআই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য তিনটি—
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
-
পানি নিষ্কাশন
-
সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণ
উৎস: বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হয়?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
B
পশ্চিমাঞ্চল
C
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
D
উত্তর-পূর্বাঞ্চল
বাংলাদেশে বন্যা একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছর দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এ দুর্যোগে আক্রান্ত হয় এবং মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ে।
সাধারণভাবে নদীর পানি যখন দুই তীর ছাপিয়ে গ্রাম, নগর, বন্দর, বাড়িঘর প্লাবিত করে এবং কৃষিজ ফসল বিনষ্ট করে, তখন সেটিকে বন্যা বলা হয়। ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যা চার ভাগে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশে বন্যা একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ
-
নদীর পানি দু’কূল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্লাবিত করে ও ফসল নষ্ট করলে তাকে বন্যা বলে
-
প্রায় প্রতি বছর দেশের বিশাল অংশ বন্যার কবলে পড়ে
-
ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যার চারটি প্রধান ভাগ রয়েছে
-
মৌসুমী বন্যা, আকস্মিক বন্যা, উপকূলীয় বন্যা এবং নগর বন্যা
আকস্মিক বন্যা
-
বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় আকস্মিক অতিবৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলের কারণে যে বন্যা হয় তাকে আকস্মিক বন্যা বলা হয়
-
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যেমন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলায় এই ধরনের বন্যা বেশি দেখা যায়
-
বিশেষ করে বোরো মৌসুমে আকস্মিক বন্যা হলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়
0
Updated: 1 month ago