নিচের কোনটি সত্য নয়?
A
ইরাবদী মায়ানমারের একটি নদী
B
গােবী মরুভূমি ভারতে অবস্থিত
C
থর মরুভূমি ভারতের পশ্চিমাংশে অবস্থিত
D
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশে অবস্থিত
উত্তরের বিবরণ
গোবি মরুভূমি ও সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। গোবি মরুভূমি মধ্য এশিয়ার একটি বিশাল মরুভূমি, যা মঙ্গোলিয়া ও চীনের মধ্যে বিস্তৃত। এর আয়তন এবং অবস্থান মরুভূমির বৈশিষ্ট্য বোঝায়, যেখানে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উল্লেখযোগ্য।
অপরদিকে, সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ, যা ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত।
গোবি মরুভূমি:
-
গোবি মরুভূমি (Gobi Desert) মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত একটি বিশাল মরুভূমি।
-
মরুভূমিটি মঙ্গোলিয়া এবং চীন দুই দেশে বিস্তৃত।
-
দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০০ মাইল (১৬০০ কিমি) এবং প্রস্থ প্রায় ৩০০ থেকে ৬০০ মাইল (৫০০ থেকে ১০০০ কিমি)।
-
আনুমানিক আয়তন ১৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার।
সাজেক ভ্যালি:
-
সাজেক উপত্যকা রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত।
-
এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ।
-
অবস্থান: উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।
-
সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় রাঙ্গামাটির ছাদ।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক স্থান:
-
থর মরুভূমি: ভারত ও পাকিস্তান।
-
ইরাবদী নদী: মিয়ানমারের দীর্ঘতম নদী।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জলবায়ু কী ধরনের?
Created: 1 month ago
A
ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু
B
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
C
উপক্রান্তীয় জলবায়ু
D
আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ু
বাংলাদেশের জলবায়ু
বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিদ্যমান। মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিকও পরিবর্তিত হয়, যাকে মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
🔹 গ্রীষ্মকালে
-
প্রচণ্ড তাপের কারণে উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে তুলনামূলকভাবে কম তাপ থাকায় উচ্চচাপ বিদ্যমান থাকে।
-
ফলে দক্ষিণের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু উত্তর গোলার্ধের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসায় এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসে, তাই একে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
এই বায়ুর কারণেই বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
🔹 শীতকালে
-
শীতকালে অবস্থা একেবারে উল্টো হয়।
-
তখন উত্তর গোলার্ধে উচ্চচাপ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
ফলে উত্তর দিক থেকে বায়ু দক্ষিণের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সাধারণত স্থলভাগের ওপর দিয়ে আসে বলে এতে জলীয়বাষ্প খুবই কম থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে, তাই একে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
ফলে শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত খুব সামান্য ঘটে।
অর্থাৎ, ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিক ও বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ুতে বৈচিত্র্য দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
Created: 1 month ago
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫ কবে জারি হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
১ জানুয়ারি
B
১১ জানুয়ারি
C
১৯ জানুয়ারি
D
২১ মার্চ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও আইন
বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আইন এবং নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এর প্রধান কাঠামো হলো:
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা, জনগণের দুর্যোগ লাঘব করা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে দক্ষভাবে পরিচালনা করা।
-
এই আইন সংসদে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে পাস হয়।
-
২০১২ সালে একই সরকারের নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
আইনটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯ ধারা অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
এই নীতিমালা দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, মানবিক সহায়তা, পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়।
-
জারি তারিখ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫
-
ধরন: প্রজ্ঞাপন
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
1
Updated: 2 months ago