A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
উত্তরের বিবরণ
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 19 hours ago
বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত শতাংশ?
Created: 3 weeks ago
A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
Created: 5 days ago
A
১৯৭৪
B
১৯৮৮
C
১৯৯৮
D
২০০৭
বাংলাদেশে বন্যা একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত নদীর পানি যখন তাদের তীর অতিক্রম করে আশেপাশের গ্রাম, শহর বা ফসলি জমি প্লাবিত করে, তখন তাকে বন্যা বলা হয়। প্রতি বছর দেশের অনেক অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়।
বন্যার ধরণ:
ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বন্যাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
মৌসুমী বন্যা
-
আকস্মিক বন্যা
-
উপকূলীয় বন্যা
-
নগর বন্যা
মৌসুমী বন্যা:
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, সেটিকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে এই ধরনের বন্যা সবসময় ক্ষতিকর হয় না। কখনো কখনো এটি ফসলের জন্য ইতিবাচক প্রভাবও ফেলে। তবে মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্যা ও তাদের পরিসংখ্যান:
-
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলা বন্যা ঘটেছিলো: ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।
-
১৯৮৮ সালে নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং ১৯৯৮ সালে ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
-
গঙ্গা (পদ্মা) নদীতে ১৯৮৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়।
-
মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে পানি বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ১০৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
-
১৯৮৮ সালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি একসাথে বৃদ্ধি পায়।
-
বন্যার আয়তন: ১৯৮৮ সালে দেশের ৬১% এলাকা ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা প্লাবিত হয়।
এই তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি পাললিক শিলা?
Created: 5 days ago
A
মার্বেল
B
কয়লা
C
গ্রানাইট
D
নিস
পাললিক শিলা (Sedimentary Rock)
-
‘পাললিক শিলা’ শব্দটি এসেছে ‘পলি’ বা ‘পলল’ থেকে।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক শিলার ধরন, যা ছোট ছোট কণা বা কণা সমষ্টি জমে জমে এবং পরে সমুদ্র, হ্রদ বা নদীর তলে খনিজ বা জৈব পদার্থের সিমেন্টেশন (সংযোগ) দ্বারা গঠিত হয়।
-
উদাহরণ: কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, গ্রেওয়েক, বেলেপাথর, কাদাপাথর, কোয়ার্টজ, ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
-
স্তরায়ন দেখা যায় এবং কাদার খাওয়া দাগ লক্ষ্য করা যায়।
-
একমাত্র এই শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
-
সচ্ছিদ্রতা (Porosity) এবং ভঙ্গুরতা (Brittleness) বেশি।
-
জল প্রবেশের ক্ষমতা (Permeability) বেশি।
-
ক্ষয় প্রতিরোধের ক্ষমতা বিভিন্ন রকম।
-
কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস।
-
কাঠিন্য (Hardness) তুলনামূলকভাবে কম।
-
দারণ বা ফাটল সাধারণত থাকে না।
অন্য শিলার তুলনা
-
আগ্নেয় শিলা: উদাহরণ – গ্রানাইট।
-
রূপান্তরিত শিলা: উদাহরণ – মার্বেল।
-
আগ্নেয় শিলা প্রচন্ড তাপ ও চাপে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা গঠন করে। যেমন: গ্রানাইট থেকে নিস (Gneiss) তৈরি হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এস এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago