বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি কোনটি?
A
ময়নামতি
B
পুণ্ড্রবর্ধন
C
পাহাড়পুর
D
সােনারগাঁ
উত্তরের বিবরণ
মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বিহার, ময়নামতি ও উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই স্থানগুলো প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষী।
মহাস্থানগড়:
-
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
-
এর প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
-
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ পুণ্ড্র এই অঞ্চলে অবস্থিত।
-
এক সময় এটি বাংলার রাজধানী ছিল।
-
এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন সাম্রাজ্যের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
-
অবস্থান: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা, বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিমি উত্তরে।
-
সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১০৮২-১১২৫) গৌড়ের রাজা থাকাকালীন এই গড় অরক্ষিত ছিল।
-
বিস্তীর্ণ ধ্বংসাবশেষ ও প্রাচীর পুন্ড্রবর্ধনভূক্তির রাজধানী পুন্ড্রনগরের প্রায় আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী।
-
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ।
পাহাড়পুর বিহার:
-
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত।
-
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষ ভাগে বা নবম শতকে এই বিহার নির্মাণ করান।
-
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ময়নামতি:
-
ময়নামতি বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান।
-
সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেন।
উয়ারী-বটেশ্বর:
-
উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল।
-
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার কাছাকাছি, প্রায় তিন কিমি পশ্চিমে অবস্থিত উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম।
-
এই গ্রাম দু’টি দীর্ঘদিন ধরে ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থল হিসেবে পরিচিত।
-
প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এই স্থানগুলোতে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ নগরের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
Created: 1 month ago
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সত্য নয়?
Created: 1 month ago
A
ইরাবদী মায়ানমারের একটি নদী
B
গােবী মরুভূমি ভারতে অবস্থিত
C
থর মরুভূমি ভারতের পশ্চিমাংশে অবস্থিত
D
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশে অবস্থিত
গোবি মরুভূমি ও সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। গোবি মরুভূমি মধ্য এশিয়ার একটি বিশাল মরুভূমি, যা মঙ্গোলিয়া ও চীনের মধ্যে বিস্তৃত। এর আয়তন এবং অবস্থান মরুভূমির বৈশিষ্ট্য বোঝায়, যেখানে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উল্লেখযোগ্য।
অপরদিকে, সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ, যা ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত।
গোবি মরুভূমি:
-
গোবি মরুভূমি (Gobi Desert) মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত একটি বিশাল মরুভূমি।
-
মরুভূমিটি মঙ্গোলিয়া এবং চীন দুই দেশে বিস্তৃত।
-
দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০০ মাইল (১৬০০ কিমি) এবং প্রস্থ প্রায় ৩০০ থেকে ৬০০ মাইল (৫০০ থেকে ১০০০ কিমি)।
-
আনুমানিক আয়তন ১৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার।
সাজেক ভ্যালি:
-
সাজেক উপত্যকা রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত।
-
এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ।
-
অবস্থান: উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।
-
সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় রাঙ্গামাটির ছাদ।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক স্থান:
-
থর মরুভূমি: ভারত ও পাকিস্তান।
-
ইরাবদী নদী: মিয়ানমারের দীর্ঘতম নদী।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ভৌগোলিক এলাকাটি 'রামসার সাইট' হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
রামসাগর
B
বগা লেইক (Lake)
C
টাঙ্গুয়ার হাওর
D
কাপ্তাই হ্রদ
রামসার কনভেনশন
-
রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগ।
-
এটিই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ একত্র হয়ে Convention on Wetlands নামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে।
-
বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৭২টি।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
-
বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনের সদস্য হয়।
-
দেশে মোট ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:
১. সুন্দরবন
২. টাঙ্গুয়ার হাওর
উৎস:
0
Updated: 1 month ago