A
মধুপুর গড়ে
B
বঙ্গোপসাগরে
C
হাওর অঞ্চলে
D
টারশিয়ারি পাহাড়ে
উত্তরের বিবরণ
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) হলো একটি বিশেষ খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গিরিখাত, যা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানকে কৌণিকভাবে অতিক্রম করেছে।
এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের আকার, গভীরতা এবং ভূ-আকৃতি সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রস্থ: ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার
-
তলদেশ: তুলনামূলকভাবে সমতল
-
পার্শ্ব দেয়াল: প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা: প্রায় ১,২০০ মিটার
-
এটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা
বেঙ্গল ফ্যানের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলো হলো:
-
বেঙ্গল ফ্যান ভূমিরূপটি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে পাওয়া যায়
-
গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত এনে বেঙ্গল ফ্যানে পলল জমা করছে
-
বেঙ্গল ডিপ সি ফ্যানের অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সাবমেরিন উপত্যকার গভীরতম অংশ প্রায় ১৩৫০ মিটার
-
এই উপত্যকা বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা হিসেবে পরিচিত

0
Updated: 19 hours ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হচ্ছে একটি-
Created: 1 week ago
A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
'পলল পাখা' জাতীয় ভূমিরূপ গড়ে উঠে -
Created: 1 week ago
A
পাহাড়ের পাদদেশে
B
নদীর নিম্ন অববাহিকায়
C
নদীর উৎপত্তিস্থলে
D
নদী মোহনায়
পলল পাখা ভূমিরূপ
-
পলল পাখা সাধারণত পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয়।
-
যখন কোনো নদী হঠাৎ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে সমভূমিতে প্রবেশ করে, তখন সঙ্গে আনা শিলাখণ্ড, বালি ও পলিমাটি পাহাড়ের পাদদেশে জমা হয়।
-
এসব পলল মিলে একটি ত্রিভুজাকার ভূমি গঠন করে, যা হাতপাখার মতো দেখতে। এই বিশেষ পললভূমিকেই বলা হয় পলল পাখা বা পলল কোণ।
মাটির ধরনভেদে পার্থক্য
-
যদি অঞ্চলের মাটি বেশি পানি শোষণ করতে পারে, তবে শিলাচূর্ণ বেশি দূরে যেতে পারে না। ফলে পাহাড়ের পাদদেশেই পলল কোণ তৈরি হয়।
-
আর মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হলে, পলল কিছুটা দূরে ছড়িয়ে গিয়ে পলল পাখা তৈরি করে।
উদাহরণ
হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীর ধারে এ ধরনের পলল কোণ ও পলল পাখা ভূমিরূপ দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির কত শতাংশ সূর্য হতে আসে?
Created: 2 weeks ago
A
৯০ শতাংশ
B
৯৪ শতাংশ
C
৯৮ শতাংশ
D
৯৯.৯৭ শতাংশ
বায়ুমণ্ডল ও এর উপাদানসমূহ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো বায়ুর এক স্তরবিশিষ্ট আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে আছে। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরগুলি উপরের স্তরের সাথে এবং উপরের বায়ুর সাথে ক্রমাগত চাপ বিনিময় করে, তাই পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিকটে বায়ু ঘন হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির ওপর নির্ভরশীল; মোট শক্তির প্রায় ৯৯.৯৭% সূর্য থেকেই আসে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ:
-
নাইট্রোজেন (N₂): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (O₂): ২০.৭১%
-
আর্গন (Ar): ০.৮০%
-
জলীয়বাষ্প (H₂O): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও ছোট কণিকা: ০.০১%
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী, বাংলাদেশ।

0
Updated: 2 weeks ago