একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
উত্তরের বিবরণ
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৪
B
১৯৮৮
C
১৯৯৮
D
২০০৭
বাংলাদেশে বন্যা একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত নদীর পানি যখন তাদের তীর অতিক্রম করে আশেপাশের গ্রাম, শহর বা ফসলি জমি প্লাবিত করে, তখন তাকে বন্যা বলা হয়। প্রতি বছর দেশের অনেক অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়।
বন্যার ধরণ:
ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বন্যাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
মৌসুমী বন্যা
-
আকস্মিক বন্যা
-
উপকূলীয় বন্যা
-
নগর বন্যা
মৌসুমী বন্যা:
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, সেটিকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে এই ধরনের বন্যা সবসময় ক্ষতিকর হয় না। কখনো কখনো এটি ফসলের জন্য ইতিবাচক প্রভাবও ফেলে। তবে মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্যা ও তাদের পরিসংখ্যান:
-
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলা বন্যা ঘটেছিলো: ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।
-
১৯৮৮ সালে নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং ১৯৯৮ সালে ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
-
গঙ্গা (পদ্মা) নদীতে ১৯৮৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়।
-
মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে পানি বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ১০৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
-
১৯৮৮ সালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি একসাথে বৃদ্ধি পায়।
-
বন্যার আয়তন: ১৯৮৮ সালে দেশের ৬১% এলাকা ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা প্লাবিত হয়।
এই তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমানা কত?
Created: 2 months ago
A
৫১৩৮ কি.মি
B
৪৩৭১ কি.মি
C
৪১৫৬ কি.মি
D
৩৯৭৮ কি.মি
বাংলাদেশের সীমান্ত ও ভূ-গঠন
বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূল সীমান্ত ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, এবং দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে।
-
বাংলাদেশের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৫,১৩৮ কিলোমিটার, যার মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ৪,১৫৬ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ২২২ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশে ৩০টি জেলা ভারতের এবং ৩টি জেলা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের মোট আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
-
সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য: ৭১১ কিলোমিটার, যার মধ্যে কক্সবাজারের অংশ ১৫৫ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১২ নটিক্যাল মাইল, এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল: ২০০ নটিক্যাল মাইল।
উৎস: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর
0
Updated: 2 months ago
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোন দুর্যোগটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
টর্নেডাে
D
খরা
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূ-কম্পনের কারণে ঘটে এবং এর প্রভাব কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
-
ভূ-আলোড়ন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়।
-
ভূ-গর্ভে যেখানে এই কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Centre বা Focus) বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্র বরাবর ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত বিন্দুটি হলো উপকেন্দ্র (Epicentre)।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
ভূমিকম্প সাধারণত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (BNBC) ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র দেশকে চারটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. খুবই গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চল)।
২. গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উচ্চ মধ্য, উত্তর-পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর ইত্যাদি জেলা)।
৩. মাঝারি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: নিম্ন মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অংশ (ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নোয়াখালী, পাবনা, সুন্দরবন ইত্যাদি)।
৪. কম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ইত্যাদি)।
অতিরিক্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্পের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অঞ্চলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
0
Updated: 1 month ago