মধ্যম উচ্চতার মেঘ কোনটি?
A
সিরাস
B
নিম্বাস
C
অল্টোকিউম্যুলাস
D
স্ট্রেটাস
উত্তরের বিবরণ
মেঘসমূহ তাদের অবস্থান এবং উচ্চতার ভিত্তিতে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত। উঁচু, মাঝারি এবং নিম্ন উচ্চতার মেঘ এই শ্রেণিবিভাগের মধ্যে পড়ে এবং প্রতিটি শ্রেণির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ধরন রয়েছে।
-
উঁচু উচ্চতার মেঘ: এই মেঘসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ মিটারের উপরে অবস্থান করে। সাধারণত পাতলা এবং হালকা হয়। উঁচু উচ্চতার মেঘের মধ্যে রয়েছে:
-
সিরাস
-
সিরোকিউম্যুলাস
-
সিরোস্ট্রেটাস
-
-
মাঝারি উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ থেকে ৬,০০০ মিটার উচ্চতায় থাকা মেঘগুলোকে মাঝারি উচ্চতার মেঘ বলা হয়। এদের বৈশিষ্ট্য হলো তুলনামূলকভাবে ঘন এবং আংশিক আড়ম্বরপূর্ণ আকারের হওয়া। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
অল্টোস্ট্রেটাস
-
কিউম্যুলাসস্ট্রেটাস
-
নিম্বোস্ট্রেটাস
-
-
নিম্ন উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটারের নিচে অবস্থান করা মেঘগুলোকে নিম্ন উচ্চতার মেঘ বলা হয়। এই মেঘগুলো সাধারণত ঘন, ভারী এবং বৃষ্টিপাত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে:
-
স্ট্রেটাস
-
স্ট্রেটোকিউম্যুলাস
-
কিউম্যুলাস
-
কিউম্যুলোনিম্বাস
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের উপকূলীয় সমভূমিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী যে ধরনের বন্যা কবলিত হয় তার নাম -
Created: 1 month ago
A
নদীজ বন্যা
B
আকস্মিক বন্যা
C
বৃষ্টিজনিত বন্যা
D
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা
বাংলাদেশে বন্যা একটি খুব পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণভাবে বলা যায়, নদীর পানি যখন দু’পারের এলাকা ছাড়িয়ে আশেপাশের গ্রাম, শহর, বন্দর ও বাড়িঘর প্লাবিত করে এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল ধ্বংস করে, তখন সেই পরিস্থিতিকেই বন্যা বলা হয়। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই দেশের অনেক অঞ্চল বন্যায় আক্রান্ত হয়।
বন্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী এটিকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়:
মৌসুমী বন্যা
-
বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, তাকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়।
-
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জন্য এটি সাধারণত বড় ক্ষতি করে না, তবে মাঝে মাঝে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
-
যদি মৌসুমী বন্যার মাত্রা স্বাভাবিক হয়, তবে এটি ফসল উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে।
আকস্মিক বন্যা
-
বর্ষার বাইরে হঠাৎ বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলের কারণে যে বন্যা হয়, তাকে আকস্মিক বন্যা বলা হয়।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে এ ধরনের বন্যা বেশি ঘটে।
-
বিশেষ করে বোরো মৌসুমে এটি হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা
-
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছাসের ফলে যে বন্যা হয়, তাকে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা বলা হয়।
-
এই ধরনের বন্যার পানি সাধারণত ৩–৬ মিটার উঁচু হয় এবং ভূ-ভাগের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়।
-
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যার স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে কম হয়।
নগর বন্যা
-
শহরাঞ্চলে সঠিক ও পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে বর্ষার সময় ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়।
-
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে এ ধরনের বন্যা বেশি ঘটে।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হয়?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
B
পশ্চিমাঞ্চল
C
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
D
উত্তর-পূর্বাঞ্চল
বাংলাদেশে বন্যা একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছর দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এ দুর্যোগে আক্রান্ত হয় এবং মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ে।
সাধারণভাবে নদীর পানি যখন দুই তীর ছাপিয়ে গ্রাম, নগর, বন্দর, বাড়িঘর প্লাবিত করে এবং কৃষিজ ফসল বিনষ্ট করে, তখন সেটিকে বন্যা বলা হয়। ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যা চার ভাগে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশে বন্যা একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ
-
নদীর পানি দু’কূল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্লাবিত করে ও ফসল নষ্ট করলে তাকে বন্যা বলে
-
প্রায় প্রতি বছর দেশের বিশাল অংশ বন্যার কবলে পড়ে
-
ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যার চারটি প্রধান ভাগ রয়েছে
-
মৌসুমী বন্যা, আকস্মিক বন্যা, উপকূলীয় বন্যা এবং নগর বন্যা
আকস্মিক বন্যা
-
বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় আকস্মিক অতিবৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলের কারণে যে বন্যা হয় তাকে আকস্মিক বন্যা বলা হয়
-
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যেমন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলায় এই ধরনের বন্যা বেশি দেখা যায়
-
বিশেষ করে বোরো মৌসুমে আকস্মিক বন্যা হলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়
0
Updated: 1 month ago