এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
A
জিব্রাল্টার প্রণালী
B
বসফরাস প্রণালী
C
বাব এল মান্দেব প্রণালী
D
বেরিং প্রণালী
উত্তরের বিবরণ
বাব এল-মান্দেব প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ যা এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে এবং ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এটি আরব উপদ্বীপের ইয়েমেন এবং আফ্রিকার জিবুতি, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার মধ্যে অবস্থান করছে।
-
বাব এল-মান্দেব প্রণালী আরবি ভাষায় বাব আল-মান্দব নামে পরিচিত, যার অর্থ 'কান্নার দ্বার'।
-
প্রণালীটি ৩২ কিমি প্রশস্ত এবং পেরিম দ্বীপ দ্বারা দুটি চ্যানেলে বিভক্ত।
-
পশ্চিম চ্যানেলটি ২৬ কিমি প্রশস্ত,
-
পূর্ব চ্যানেলটি ৩ কিমি প্রশস্ত।
-
-
সুয়েজ খালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এটি ভূমধ্যসাগর ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রচনা করে।
অন্যান্য প্রধান প্রণালীসমূহের মধ্যে:
-
জিব্রাল্টার প্রণালী আফ্রিকা থেকে ইউরোপকে পৃথক করেছে।
-
বেরিং প্রণালী এশিয়া থেকে আমেরিকাকে পৃথক করেছে।
-
বসফরাস প্রণালী এশিয়া থেকে ইউরোপকে পৃথক করেছে।
0
Updated: 1 month ago
IMF (International Monetary Fund) is the result of -
Created: 2 months ago
A
Hawana Conference
B
Geneva Conference
C
Rome Conference
D
Brettonwood Conference
IMF (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল)
-
পূর্ণরূপ: International Monetary Fund
-
গঠনের সিদ্ধান্ত: ৪ জুলাই, ১৯৪৪
-
আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা/চুক্তি কার্যকর: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
-
কার্যক্রম শুরু: মার্চ, ১৯৪৭
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: নিউ হ্যাম্পশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সম্মেলন: Bretton Woods Conference
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯১টি দেশ
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র
-
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা
-
রিজার্ভ মুদ্রা: মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, জাপানি ইয়েন, ইউরো, চীনা ইউয়ান
Bretton Woods Conference
-
সময় ও স্থান: ১-২২ জুলাই, ১৯৪৪, নিউ হ্যাম্পশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র
-
অংশগ্রহণকারী দেশ: ৪৪টি
-
প্রধান উদ্যোক্তা: হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট (যুক্তরাষ্ট্র) ও জন মেনার্ড কেইনস (যুক্তরাজ্য)
-
তাদেরকে IMF ও World Bank-এর Founding Fathers বলা হয়
-
সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ার:
১. আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
২. আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (World Bank) -
এই এবং আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান একত্রে পরিচিত Bretton Woods Institutions নামে
উৎস: U.S. Department of State।
0
Updated: 2 months ago
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য কয়টি?
Created: 1 month ago
A
১১
B
১৫
C
১৭
D
২১
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) হলো ২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে নির্ধারিত একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো, যা বিশ্বের সকল দেশের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়।
এর মূল নীতি হলো “Leaving no one behind”, অর্থাৎ কারও পিছনে ফেলা হবে না। এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়নের জন্য ১৭টি প্রধান লক্ষ্য এবং ১৬৯টি নির্দিষ্ট টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মেয়াদকাল ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এবং বাস্তবায়ন শুরু হয় ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে, যার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০৩০।
এসডিজির ১৭টি মূল লক্ষ্যমাত্রা হলো:
-
দারিদ্র্য বিলোপ
-
ক্ষুধা মুক্তি
-
সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ
-
মানসম্মত শিক্ষা
-
লিঙ্গ সমতা
-
নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন
-
সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি
-
শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
-
শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
-
অসমতার হ্রাস
-
টেকসই নগর ও জনপদ
-
পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
-
জলবায়ু কার্যক্রম
-
জলজ জীবন
-
স্থলজ জীবন
-
শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান
-
অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব
0
Updated: 1 month ago
Who is known as the 'Lady of the Lamp'?
Created: 2 months ago
A
Sorojini Naidu
B
Hellen Killer
C
Florence Nightingale
D
Madame Teresa
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
-
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল আধুনিক নার্সিং পেশার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন ১২ মে, ১৮২০ সালে।
-
‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ নামেও তার খ্যাতি আছে।
-
১৩ আগস্ট, ১৯১০ সালে তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
নার্সিং এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অবদান:
-
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে (১৮৫৩–১৮৫৬) আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। দিনে কাজ করে রাতে আহত সৈন্যদের সেবা দেওয়ায় তিনি বিশেষ খ্যাতি পান।
-
লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিং পেশাকে পেশাদার রূপ দেওয়ার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমানে ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং’ নামে পরিচিত।
-
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
সম্মাননা:
-
১৮৮৩ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাকে ‘রয়েল রেডক্রস’ পদক প্রদান করেন।
-
প্রথম নারী হিসেবে ১৯০৭ সালে তিনি ‘অর্ডার অব মেরিট’ খেতাব লাভ করেন।
-
১৯০৮ সালে লন্ডন নগরী তাকে ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধি প্রদান করে।
উৎস: Britannica.
0
Updated: 2 months ago