কোন দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৯ সালে নােবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়?
A
ক্যামেরুন এবং ইথিওপিয়া
B
পেরু এবং ভেনেজুয়েলা
C
ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া
D
মালি এবং সেনেগাল
উত্তরের বিবরণ
ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য ২০১৯ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী-কে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি প্রতিবেশি দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এই সম্মান অর্জন করেন। নোবেল পুরস্কার হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি নরওয়ে ও সুইডেন থেকে প্রদান করা হয়।
-
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে নরওয়ে।
-
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি, যা নরওয়ে পার্লামেন্ট কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি, এই পুরস্কারের জন্য দায়ী।
-
সাহিত্য, চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার প্রদান করে সুইডেন।
-
সাহিত্য নোবেল প্রদান করে সুইডিশ একাডেমি।
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল প্রদান করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
-
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।
২০২৩ সালের নোবেল বিজয়ীরা:
-
সাহিত্য: জন ফসে
-
শান্তি: নার্গিস মোহাম্মদী
-
চিকিৎসাবিজ্ঞান: ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু উইসম্যান
-
পদার্থবিজ্ঞান: পিয়েরে অ্যাগোস্টনি, ফিরেন্স ক্রাসজ এবং অ্যান লরিয়েল
-
রসায়ন: মুঙ্গি জি বাউইন্ডি, লুইস ই ব্রাস এবং আলেক্সি ই.ইকিমভ
-
অর্থনীতি: ক্লদিয়া গোল্ডিন
0
Updated: 1 month ago
Amnesty International কত সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
১৯৭৭
B
১৯৭৮
C
১৯৭৯
D
১৯৮১
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
-
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হলো একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা যা যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত হয়।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে।
-
এর সদর দপ্তর অবস্থিত লন্ডনে, যুক্তরাজ্যে।
-
বর্তমানে সংস্থাটির মহাসচিবের পদে আছেন অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
-
১৯৭৭ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শান্তির জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অ্যাগনেস ক্যালামার্ড, ফ্রান্সের নাগরিক, ২০২১ সালে এই সংস্থার মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
তথ্যের উৎস: Amnesty International-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
২০০০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন কে?
Created: 3 months ago
A
প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জং
B
হোমস জে হেকম্যান
C
গাও সিংজিয়ান
D
এরিক ক্যান্ডেল
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০০
২০০০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও খ্যাতনামা গণতন্ত্রপন্থী মানবাধিকারকর্মী কিম দ্যায়ে জং।
তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন, যা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। দুই কোরিয়ার মধ্যে হওয়া এই শান্তি উদ্যোগ এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল যে, এটি ‘ঐতিহাসিক করমর্দন’ নামে পরিচিতি পায়।
কিম দ্যায়ে জং-এর নেতৃত্বে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটে। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন গুরুত্বপূর্ণ পরোক্ষ ভূমিকা রাখেন।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শান্তি নোবেল পুরস্কার পায় জাপানের একটি সংস্থা – নিহন হিদানকিও, যারা মানবতার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা.
0
Updated: 3 months ago
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কে?
Created: 5 days ago
A
মারিয়া করিনা মাচাদো
B
নার্গেস মোহাম্মদী
C
নার্গেস মোহাম্মদী
D
সুয়ুমু কিতাগাওয়া
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী: মারিয়া করিনা মাচাডো
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া করিনা মাচাডো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে তার গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রচার ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনে শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের সংগ্রামের জন্য।
মাচাডো ভেনেজুয়েলার বিরোধী আন্দোলনের একজন অগ্রগামী নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার মিত্র এডমুন্ডো গঞ্জালেস-এর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। যদিও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং গঞ্জালেসকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, মাচাডো তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন। তিনি গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে লাতিন আমেরিকায় সাম্প্রতিক সময়ে অসামান্য বেসামরিক সাহসিকতার উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন।
নোবেল কমিটি তার সম্পর্কে উল্লেখ করেছে যে, তিনি "গণতন্ত্রের জন্য তার সংগ্রামে এক অটল ও সাহসী নেতা"। মাচাডো তার পুরস্কারটি ভেনেজুয়েলার জনগণের প্রতি উৎসর্গ করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার "নির্ধারক সহায়তার" জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, একদিন একটি মুক্ত ভেনেজুয়েলায় ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে পারবেন।
বর্তমানে, মাচাডো ভেনেজুয়েলায় গোপনে অবস্থান করছেন, কারণ তিনি সরকারের নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তবুও, তিনি তার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করছেন। তার এই পুরস্কারটি ভেনেজুয়েলার জনগণের সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মাচাডো তার পুরস্কারটি ভেনেজুয়েলার জনগণের সংগ্রামের প্রতি উৎসর্গ করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার "নির্ধারক সহায়তার" জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, একদিন একটি মুক্ত ভেনেজুয়েলায় ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে পারবেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
পুরস্কার ঘোষণা: ১০ অক্টোবর ২০২৫
-
পুরস্কার প্রদান: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, অসলো, নরওয়ে
-
পুরস্কারের পরিমাণ: ১১.১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা
-
পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার কারণ: ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনে শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের সংগ্রাম
মাচাডোর এই পুরস্কারটি শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি ভেনেজুয়েলার জনগণের সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার এই সাহসিকতা ও নেতৃত্ব ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের পথে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।
0
Updated: 5 days ago