A
সয়ং + হার
B
সম্ + হার
C
সঙ + হার
D
সম্ং + হার
উত্তরের বিবরণ
- (ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি) নিয়মে গঠিত ব্যঞ্জন সন্ধি।
- ম্-এর পর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব, কিংবা শ, ষ, স, হ থাকলে, ম্ স্থলে অনুস্বার হয়।
যেমন-
- সম্ + বাদ = সংবাদ,
- সম্ + রক্ষণ = সংরক্ষণ,
- সম্ + লাপ = সংলাপ;
- সম্ + শয় = সংশয়;
- সম্ + সার = সংসার;
- সম্ + হার = সংহার।

0
Updated: 20 hours ago
'বহূর্ধ্ব' - শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 4 days ago
A
বহূ + উর্ধ্ব
B
বহু + ঊর্ধ্ব
C
বহু + উর্ধ্ব
D
বহু + ঊর্দ্ধ
সন্ধির নিয়ম (উ-কার সংযোগ)
নিয়ম:
উ-কার অথবা উ-কারের পর উ-কার/ঊ-কার থাকলে উভয় মিলিত হয়ে উ-কার রূপে উচ্চারিত হয়। এই উ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
-
বধূ + উৎসব = বধূৎসব
-
ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)

0
Updated: 4 days ago
বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ আছে?
Created: 1 month ago
A
উনিশ
B
কুড়ি
C
একুশ
D
বাইশ
উপসর্গ
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
বিরাম চিহ্ন কেন ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
বাক্যের অর্থ স্পষ্টীকরণের জন্য
B
বাক্য সংকোচনের জন্য
C
বাক্যের সৌন্দর্যের জন্য
D
বাক্যকে অলংকৃত করার জন্য
বিরাম চিহ্ন ব্যবহার হয় বাক্যের অর্থ স্পষ্টীকরনের জন্য। বিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন হল সেইসব সাংকেতিক চিহ্ন যেগুলো লেখ্যমাধ্যমে ব্যবহার করে বাক্যের বিভিন্ন ভাব, যেমন: জিজ্ঞাসা, বিস্ময়, সমাপ্তি ইত্যাদি সার্থকভাবে প্রকাশের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট করা হয়। আমরা যখন কথা বলি তখন সবগুলো বাক্য একযোগে না বলে থেমে থেমে বলি।
অনেক সময় আবেগ প্রকাশ করি। কিন্তু বাক্য লিখে প্রকাশ করার সময় বিরতি ও আবেগ নির্দেশ করতে যতিচিহ্নের প্রয়োজন হয়। বাক্যে যতিচিহ্নের অশুদ্ধ ব্যবহার ক্ষেত্রবিশেষে অর্থবিকৃতি ঘটাতে পারে।

0
Updated: 1 week ago