নিচের কোনটি বিসর্গ সন্ধি সাধিত শব্দ?
A
সম্মান
B
নিশ্চয়
C
ষষ্ঠ
D
সন্তাপ
উত্তরের বিবরণ
বিসর্গসন্ধি
সংজ্ঞা:
বিসর্গসন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে শব্দের শেষে থাকা বিসর্গ (ঃ) বিভিন্ন প্রভাবে পরিবর্তিত হয় বা অপরিবর্তিত থাকে।
বিসর্গের প্রধান পরিবর্তন:
-
বিসর্গ বিদ্যমান থাকে:
-
মনঃ + কষ্ট = মনঃকষ্ট
-
অধঃ + পতন = অধঃপতন
-
বয়ঃ + সন্ধি = বয়ঃসন্ধি
-
-
বিসর্গ ‘ও’তে রূপান্তরিত হয়:
-
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
-
তিরঃ + ধান = তিরোধান
-
তপঃ + বন = তপোবন
-
-
বিসর্গ ‘র্’ হয়:
-
নিঃ + আকার = নিরাকার
-
পুনঃ + মিলন = পুনর্মিলন
-
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ
-
-
বিসর্গ শ/ষ/স্ হয়:
-
নিঃ + চয় = নিঃচয় / নিশ্চয়
-
দুঃ + কর = দুষ্কর
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
-
পূর্ববর্তী স্বর দীর্ঘ হয়:
-
নিঃ + রব = নীরব
-
নিঃ + রস = নীরস
-
নিঃ + রোগ = নীরোগ
-
0
Updated: 1 month ago
'স্বাধীন' শব্দের ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
স্বীয়-এর অধীন
B
সত্ত্বার অধীন
C
স্ব-এর অধীন
D
স্বত্তের-অধীন
সঠিক উত্তর হলো স্ব-এর অধীন, যা একটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। এই সমাসে পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (যেমন “র” বা “এর”) লোপ পায় এবং দুটি পদ একত্রে নতুন অর্থ তৈরি করে।
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য
-
পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি থাকে, যা সমাসে মিলিত হওয়ার সময় লোপ পায়।
-
এই সমাসে সম্পর্ক বা অধিকারবোধক অর্থ প্রকাশ পায়।
-
প্রথম পদ দ্বিতীয় পদের উপর অধিকার বা নির্ভরতা বোঝায়।
উদাহরণ:
-
চায়ের বাগান → চাবাগান
-
রাজার পুত্র → রাজপুত্র
-
খেয়ার ঘাট → খেয়াঘাট
-
স্ব-এর অধীন → স্বাধীন
0
Updated: 2 weeks ago
'জজ সাহেব' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
দ্বিগু
B
কর্মধারয়
C
দ্বন্দ্ব
D
বহুব্রীহি
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো সেই ধরনের সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদ অন্য একটি বিশেষ্য বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে যুক্ত হয়। এ সমাসে সমাসিত পদগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রকাশ পায়। সহজ কথায়, প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদকে বিশেষণ বা বর্ণনামূলকভাবে বর্ণনা করে।
উদাহরণ:
-
মাস্টার সাহেব → “যিনি মাস্টার তিনিই সাহেব”
-
নীলপদ্ম → “নীল যে পদ্ম”
-
শান্তশিষ্ট → “যে শান্ত, সেই শিষ্ট”
-
কাঁচাপাকা → “যা কাঁচা, তাই পাকা”
-
জজ সাহেব → “যিনি জজ, তিনিই সাহেব”
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মাণি – ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন।
0
Updated: 2 months ago
প্রথম বাংলা 'থিসরাস' বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
Created: 3 months ago
A
অশোক মুখোপাধ্যায়
B
জগন্নাত চক্রবর্তী
C
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
D
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা ভাষায় থিসারাস ধরনের অভিধানের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’, যা ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম থিসারাস-ভিত্তিক অভিধান হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কলকাতাতেও এই ধরনের অভিধান রচনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অশোক মুখোপাধ্যায় রচিত ‘সমার্থশব্দকোষ’। উভয় গ্রন্থের বিন্যাসে একটি মিল রয়েছে—এই দুই থিসারাস-ধর্মী অভিধানই পিটার মার্ক রজে রচিত ইংরেজি ‘Thesaurus of English Words and Phrases’ (প্রকাশ: ১৯৫৮) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসরণে সাজানো হয়েছে।
এই ধরণের অভিধানে কাঙ্ক্ষিত প্রতিশব্দ খুঁজে পেতে হলে পাঠককে বিষয়ভিত্তিক সূচির সাহায্য নিতে হয়। যদিও গ্রন্থের শেষে একটি বর্ণানুক্রমিক সূচিও সংযোজিত রয়েছে, সেটি মূলত পরিপূরক সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ভূমিকা।
0
Updated: 3 months ago