জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
A
ঝরা পালক বেলা অবেলা কালবেলা বাংলার রূপ মহাপৃথিবী
B
A
C
A
D
A
উত্তরের বিবরণ
Coming

0
Updated: 2 months ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের সংকলিত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
প্রলয়োল্লাস
B
ধূমকেতু
C
বিদ্রোহী
D
অগ্রপথিক
বাখ্যা:
-
‘অগ্নিবীণা’ হলো কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
এই কাব্যের জনপ্রিয় কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’, যার জন্য তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাত হন।
-
কাব্যগ্রন্থটির প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস।
-
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে।
কাব্যের কবিতাসমূহ (মোট ১২টি):
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বর-ধারিণী মা
৪. আগমণী
৫. ধূমকেতু
৬. কামাল পাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মহররম
-
অন্যদিকে, ‘অগ্রপথিক’ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের ‘জিঞ্জির’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
কাজী নজরুল ইসলাম:
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া, বর্ধমান।
-
ডাক নাম: ‘দুখু মিয়া’।
-
বাংলা সাহিত্যে খ্যাত: ‘বিদ্রোহী কবি’।
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে পরিচিত: ‘বুলবুল’।
সুতরাং, অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী ও বিপ্লবী সাহিত্যিক প্রতিভা প্রকাশ পায়।

0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
Created: 4 months ago
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
বাঁধন-হারা:
- ‘বাঁধন-হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে এই উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র নুরুল হুদা, এবং অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া ও সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম:
- তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) খ্রিস্টাব্দে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
- বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে এবং আধুনিক বাংলা গানে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
- ১৯৭২ সালের ২৪ মে, ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।
- ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ সরকার তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।
- কবি মৃত্যুবরণ করেন ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩), ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা
- মৃত্যুক্ষুধা
- কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 months ago
'আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত, ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত।' - কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
গোলাম মোস্তফা
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উক্ত উদ্ধৃতাংশটি
"আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত,
ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত।"
— "কৃষাণের গান" কবিতার অংশ, যার রচয়িতা হলেন: কাজী নজরুল ইসলাম।
• প্রশ্নে উল্লিখিত পঙক্তিগুলো কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘কৃষাণের গান’ থেকে নেওয়া। এই কবিতাটি নজরুলের বিদ্রোহী সুর ও শোষিত-বঞ্চিত কৃষক সমাজের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ। কবিতাটি কৃষকদের দুর্দশা, শোষণ, এবং তাদের প্রতিরোধের আহ্বানকে তুলে ধরে, যা নজরুলের বিপ্লবী ও সমাজচেতনামূলক কাব্যশৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-------------------
কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’।
- আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
- অগ্নি-বীণা,
- সঞ্চিতা,
- চিত্তনামা,
- মরুভাস্কর,
- সর্বহারা,
- ফণি-মনসা,
- চক্রবাক,
- সাম্যবাদী,
- ছায়ানট,
- নতুন চাঁদ,
- পুবের হাওয়া।
-----------------------
কৃষাণের গান- কবিতা
ওঠ রে চাষি জগদ্বাসী ধর কষে লাঙল।
আমরা মরতে আছি – ভালো করেই মরব এবার চল॥
মোদের উঠান-ভরা শস্য ছিল হাস্য-ভরা দেশ
ওই বৈশ্য দেশের দস্যু এসে লাঞ্ছনার নাই শেষ,
ও ভাই লক্ষ হাতে টানছে তারা লক্ষ্মী মায়ের কেশ,
আজ মা-র কাঁদনে লোনা হল সাত সাগরের জল॥
ও ভাই আমরা ছিলাম পরম সুখী, ছিলাম দেশের প্রাণ
তখন গলায় গলায় গান ছিল ভাই, গোলায় গোলায় ধান,
আজ কোথায় বা সে গান গেল ভাই কোথায় সে কৃষাণ?
ও ভাই মোদের রক্ত জল হয়ে আজ ভরতেছে বোতল।
আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত
ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত,
মোর বুকের কাছে মরছে খোকা, নাইকো আমার হাত।
আর সতী মেয়ের বসন কেড়ে খেলছে খেলা খল॥
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ড. সৌমিত্র শেখর। বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago