A
অণু
B
গণিকা
C
কারণ
D
বিপণি
উত্তরের বিবরণ
‘কারণ’ শব্দে মূর্ধন্য-ণ ব্যবহারের ব্যাখ্যা
-
শব্দ ‘কারণ’-এ ‘ণ’ মূর্ধন্য কেন ব্যবহার হয়েছে এবং নিত্য মূর্ধন্য ‘ণ’ কেন নয়, তা ষড়বর্ণ নীতির (ণ-ত্ব বিধান) মাধ্যমে বোঝা যায়।
ণ-ত্ব বিধান সূত্র:
-
ঋ, র, ষ-এর পরে সাধারণত মূর্ধন্য ‘ণ’ বসে।
-
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ‘কারণ’-এর ক্ষেত্রে ‘ণ’ অক্ষরটি মূর্ধন্য হয়েছে, কারণ এটি ব্যাকরণ অনুযায়ী ‘ষ’ বা ‘ণ’-এর নিয়মে আসে।
স্বাভাবিকভাবে মূর্ধন্য ‘ণ’যুক্ত কিছু শব্দ:
-
চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা।
-
কল্যাণ, শোণিত, মণি, স্বাণু, গুণ, পুণ্য, বেণী, ফণী, অণু, বিপণি, গণিকা।
-
আপণ, লাবণ্য, বাণী, নিপুণ, ভণিতা, পাণি, গৌণ, কোণ, ভাণ, পণ।
-
চিক্কণ, নিক্কণ, তৃণ, কফণি (কনুই), বণিক, গণনা, পণ্য, বাণ।
উপসংহার:
-
‘কারণ’-এ ‘ণ’ মূর্ধন্য বসেছে কারণ এটি ঋ, র, ষ-এর পরে এসেছে।
-
নিত্য মূর্ধন্য ‘ণ’ নয়, কারণ সব ক্ষেত্রে নিত্য মূর্ধন্য নিয়ম প্রযোজ্য নয়; শব্দের প্রকৃতি ও পদবিন্যাস অনুযায়ী মূর্ধন্য ‘ণ’ ব্যবহার হয়।

0
Updated: 21 hours ago
যেসব বাক্যে ভাবসাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে কোন বিরামচিহ্ন বসে?
Created: 3 days ago
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাশ
বিরাম চিহ্ন
লেখার সময় বাক্যের মধ্যে বিরতি বা ছেদ দেখানোর জন্য কিছু বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এধরনের চিহ্নগুলোকে বিরতি চিহ্ন, যতি চিহ্ন, ছেদ চিহ্ন বা ভাষা চিহ্ন বলা হয়।
সেমিকোলনের (;) ব্যবহার
-
স্বাধীন বাক্য সংযুক্ত করতে:
-
একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একটি বাক্যে লিখলে সেগুলোর মাঝে সেমিকোলন ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: তিনি শুধু তামাশা দেখিতেছিলেন; কোথাকার জল কোথায় গিয়ে পড়ে।
-
-
সমজাতীয় বাক্য বা বক্তব্য স্পষ্ট করতে:
-
সমজাতীয় বাক্য পাশাপাশি প্রতিস্থাপন করলে সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: বৃদ্ধ তাহারাই যাহারা মায়াচ্ছন্ন নব মানবের অভিনব জয়যাত্রার শুধু বোঝা নয়, বিঘ্ন; শতাব্দীর নব যাত্রীর চলার ছন্দে ছন্দ মিলাইয়া যাহারা কুচকাওয়াজ করিতে জানে না, পারে না; জীব হইয়াও জড়; যাহারা অটল সংস্কারের পাষাণ-সস্তূপ আঁকড়িয়া পড়িয়া আছে।
-
-
যোগক শব্দ ছাড়া সংযুক্ত বাক্যে:
-
দুটি বা ত্রি-বচন যুক্ত না হলে সেমিকোলন ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: আগে পাঠ্যবই পড়; পরে গল্প-উপন্যাস।
-
-
তালিকা বা নাম-পদ উল্লেখে:
-
একাধিক ব্যক্তির নাম ও পদ উল্লেখ থাকলে বোঝার সুবিধার জন্য সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: এবারের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন: আকবরউদ্দিন আহমদ, সভাপতি; আফসার রায়হান, সাধারণ সম্পাদক; চিত্ত বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক; এন্ড্রু গোমেজ, সংস্কৃতি সম্পাদক; ইত্যাদি।
-
-
যোজক শব্দের আগে:
-
সেজন্যে, তবু, তথাপি, সুতরাং ইত্যাদি যোজক বৈপরীত্য বা অনুমান প্রকাশ করলে তাদের আগে সেমিকোলন বসে।
-
উদাহরণ: সে ফেল করেছে; সেজন্যে সে মুখ দেখায় না। মনোযোগ দিয়ে পড়; তাহলেই পাশ করবে।
-
-
ভাবসাদৃশ্যযুক্ত বাক্যে:
-
যেসব বাক্যে ভাবসাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: দিনটা ভালো নয়; মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে।
-
-
বিতর্কিত বা ছোটো অংশ নির্দেশ করতে:
-
ছোটো ছোটো বিতর্কিত অংশের জন্যও সেমিকোলন ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: মেয়েটি, যে প্রথম হয়েছে, একটি পুরস্কার পেয়েছে; এবার আশা করা যায়, সে আরও ভালো করবে।
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 days ago
ভাবে সপ্তমীর উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
আমাদের সেনারা যুদ্ধে অপরাজেয়
B
একদা ভানুর প্রভাতে ফুটিল কমল কলি
C
চন্দ্রোদয়ে কুমুদিনি বিকশিত হয়
D
প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ
যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে৷ ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ভাবে সপ্তমীও বলা হয়ে থাকে৷ যেমন - সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়, কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়, হাসিতে মুক্তা ঝরে, জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ৷

0
Updated: 1 week ago
কোনটি ‘নিপাতনে সিদ্ধ’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দ?
Created: 1 week ago
A
শৈব
B
সৌর
C
দৈব
D
চৈত্র
উপাসক অর্থে: শিব + ষ্ণ = শৈব। সম্পর্ক বোঝাতে: দেব + ষ্ণ = দৈব, চিত্র + ষ্ণ = চৈত্র। কিন্তু বিশেষ নিয়মে: সূর্য + ষ্ণ (অ) = সৌর।

0
Updated: 1 week ago