’অতীন্দ্রিয়’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
অতী + ইন্দ্রিয়
B
অতি + ইন্দ্রিয়
C
অতি + ঈন্দ্রিয়
D
অতি + ইন্দ্রীয়
উত্তরের বিবরণ
‘অতীন্দ্রিয়’ শব্দের সন্ধি বিশ্লেষণ
-
শব্দটি: অতীন্দ্রিয়
-
সন্ধি বিচ্ছেদ: অতি + ইন্দ্রিয় = অতীন্দ্রিয়
-
ধরনের সন্ধি: স্বরসন্ধি
স্বরসন্ধি সংজ্ঞা:
-
দুটি স্বরধ্বনির সংযোগ ঘটলে যে মিলন ঘটে তাকে স্বরসন্ধি বলে।
উদাহরণসমূহ:
-
অতি + ইন্দ্রিয় = অতীন্দ্রিয়
-
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
-
মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
-
সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়
-
মহা + ঋষি = মহর্ষি
-
শীত + ঋত = শীতার্ত
-
জন + এক = জনৈক
-
বন + ওষধি = বনৌষধি
নোট:
-
স্বরসন্ধি মূলত ভাষার স্বরধ্বনির মিলনকে সহজ এবং স্বরবর্ণের সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ’অনুকার দ্বিত্ব’-এর উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
ফটাফট
B
খক খক
C
এলোমেলো
D
ঝটাঝট
অনুকার দ্বিত্ব হলো পরপর ব্যবহৃত কাছাকাছি চেহারার শব্দ। এতে প্রথম শব্দটি সাধারণত অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি প্রায়শই অর্থহীন হয়ে থাকে এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে গঠিত হয়।
-
উদাহরণ: লুচিফুচি, টাটু-ফাটু, আগড়ম-বাগড়ম, চাকর-বাকর, এলোমেলো, ঝিকিমিকি, কচর-মচর, ঝিলমিল, শেষমেষ, অল্পসল্প, বুদ্ধিশুদ্ধি, গুটিশুটি, মোটাসোটা, নরম-সরম, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝে-সুঝে।
ধ্বন্যাত্মকদ্বিত্ব হলো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে গঠিত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং।
-
কিছু ক্ষেত্রে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ: খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট।
-
0
Updated: 1 month ago
সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
তিন
B
তেহাই
C
তৃতীয়
D
তেসরা
বাংলা ভাষায় পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ কোনো সংখ্যার ক্রমিক অবস্থান বা পরিমাণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এগুলো মূলত তিন ধরনের ভাগে বিভক্ত।
-
সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ
-
উদাহরণ: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি
-
-
তারিখপূর্ণ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ
-
উদাহরণ: পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা ইত্যাদি
-
-
ভগ্নাংশপূর্ণ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ
-
উদাহরণ: আধ, সাড়ে পোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই, চৌথ ইত্যাদি
-
-
ক্রমবাচক উদাহরণ: তিন
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন বানানটি অশুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
পরাহ্ণ
B
অপরাহ্ণ
C
প্রাহ্ণ
D
পূর্বাহ্ন
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী, যখন তৎসম শব্দে ‘অপর’, ‘পরা’, ‘পূর্ব’, ‘প্রা’ ইত্যাদি উপসর্গ-এর সঙ্গে ‘অহ্ন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়, তখন ‘অহ্ন’ শব্দের দন্ত্য ন (ন) পরিবর্তিত হয়ে মূর্ধন্য ণ (ণ) হয়। এই পরিবর্তনের ফলে শব্দগুলো প্রমিত রূপে গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
অপর + অহ্ন = অপরাহ্ণ
-
পরা + অহ্ন = পরাহ্ণ
-
প্রা + অহ্ন = প্রাহ্ণ
-
পূর্ব + অহ্ন = পূর্বাহ্ণ
প্রমিত বানানের নিয়ম অনুযায়ী:
-
“পূর্বাহ্ন” বানানটি অশুদ্ধ,
-
এর শুদ্ধ প্রমিত রূপ হলো — ‘পূর্বাহ্ণ’।
0
Updated: 2 weeks ago