’ণ-ত্ব’ বিধান অনুযায়ী কোনটি সঠিক?
A
ট-বর্গীয় ধ্বনির পরে তৎসম শব্দে ‘ণ’ লেখা হয়
B
ঋ, র, ষ-এর পরে সবসময় ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়
C
ঔ, ও-এর পরে ‘ণ’ ব্যবহার হয়
D
বিদেশি শব্দে ’ণ’ হয়
উত্তরের বিবরণ
ণ-ত্ব বিধান:
বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
'ণ' ব্যবহারের নিয়ম:
-ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি।
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ণ' হয়।
যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
‘কমা’ কোথায় বসে?
Created: 3 weeks ago
A
কোন অপূর্ণ বাক্যের জন্যv
B
সম্বোধন পদের পরে
C
প্রশ্ন বোঝানোর জন্য
D
বাক্যের মাঝে কোন পদ ব্যাখ্যা করার জন্য
কমা বা পাদচ্ছেদ চিহ্ন (,) অল্পক্ষণ বিরামের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক চিহ্ন, যেখানে উচ্চারণের সময় ‘এক’ গণনার সমান সময় বিরতি নিতে হয়। লেখায় স্বল্প বিরাম বা ভাবের সামান্য বিভাজন বোঝাতে এর ব্যবহার করা হয়। নিচে এর কিছু সাধারণ প্রয়োগ দেওয়া হলো—
-
বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ-বিভাগ বোঝানোর জন্য, যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন হয় সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়।
যেমন— সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে। -
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ একসঙ্গে বসলে, শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরে কমা বসানো হয়।
যেমন— সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প। -
সম্বোধনের পরে কমা ব্যবহার করা হয়।
যেমন— রশিদ, এদিকে এসো।
0
Updated: 3 weeks ago
'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি
C
মুহম্মদ আবদুল হাই
D
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
রচয়িতা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
গুরুত্ব: বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ হিসেবে সমাদৃত।
-
প্রকাশ: প্রথম সংস্করণ ১৯৩৬ সালে, ত্রয়োদশ সংস্করণ ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। গ্রন্থকার ১৩ জুলাই ১৯৬৯ (২৭ আষাঢ় ১৩৭৬) ইন্তেকাল করেন। এরপর আর কোনো সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি।
পটভূমি:
-
শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রকাশিত হওয়ার আগে আচার্য সুনীতি কুমারের 'ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ' বইটির ধারণা আরও দুই বছর আগে শহীদুল্লাহর গ্রন্থ বাংলা ভাষার ব্যাকরণের অভাব পূরণ করেছিল।
-
গ্রন্থ প্রণয়নে সহায়তা করেছিলেন:
-
ড. সুশীল কুমার দে
-
আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
-
কবি মোহিত লাল মজুমদার
-
কালিদাস রায়
-
কবি শেখর
-
অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ ভট্টাচার্য
-
চিন্তাহরণ চক্রবর্তী
-
চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বিষয়বস্তু:
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রধানত পাঁচটি প্রকরণে বিভক্ত:
১. ধ্বনি প্রকরণ (Phonology)
২. শব্দ প্রকরণ (Accidence)
৩. বাক্য প্রকরণ (Syntax)
৪. ছন্দ প্রকরণ (Prosody)
৫. অলঙ্কার প্রকরণ (Rhetoric)
অন্য গ্রন্থ:
-
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির বাঙ্গালা ভাষা (১৯১২)
উৎস:
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
0
Updated: 1 month ago
"যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।" - কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
সরল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
জটিল বাক্য
D
আশ্রিত খণ্ডবাক্য
“যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।” — এটি একটি জটিল বাক্য।
জটিল বাক্য হলো এমন বাক্য, যেখানে একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকে।
উদাহরণ—
-
যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
-
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।
-
যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।
জটিল বাক্য গঠনে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও যোজক—
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহেতু-সেহেতু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
0
Updated: 1 month ago