নিচের কোন শব্দটিতে নিত্য মূর্ধন্য 'ণ' হয়নি?
A
অণু
B
গণিকা
C
কারণ
D
বিপণি
উত্তরের বিবরণ
‘কারণ’ শব্দে মূর্ধন্য-ণ ব্যবহারের ব্যাখ্যা
-
শব্দ ‘কারণ’-এ ‘ণ’ মূর্ধন্য কেন ব্যবহার হয়েছে এবং নিত্য মূর্ধন্য ‘ণ’ কেন নয়, তা ষড়বর্ণ নীতির (ণ-ত্ব বিধান) মাধ্যমে বোঝা যায়।
ণ-ত্ব বিধান সূত্র:
-
ঋ, র, ষ-এর পরে সাধারণত মূর্ধন্য ‘ণ’ বসে।
-
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ‘কারণ’-এর ক্ষেত্রে ‘ণ’ অক্ষরটি মূর্ধন্য হয়েছে, কারণ এটি ব্যাকরণ অনুযায়ী ‘ষ’ বা ‘ণ’-এর নিয়মে আসে।
স্বাভাবিকভাবে মূর্ধন্য ‘ণ’যুক্ত কিছু শব্দ:
-
চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা।
-
কল্যাণ, শোণিত, মণি, স্বাণু, গুণ, পুণ্য, বেণী, ফণী, অণু, বিপণি, গণিকা।
-
আপণ, লাবণ্য, বাণী, নিপুণ, ভণিতা, পাণি, গৌণ, কোণ, ভাণ, পণ।
-
চিক্কণ, নিক্কণ, তৃণ, কফণি (কনুই), বণিক, গণনা, পণ্য, বাণ।
উপসংহার:
-
‘কারণ’-এ ‘ণ’ মূর্ধন্য বসেছে কারণ এটি ঋ, র, ষ-এর পরে এসেছে।
-
নিত্য মূর্ধন্য ‘ণ’ নয়, কারণ সব ক্ষেত্রে নিত্য মূর্ধন্য নিয়ম প্রযোজ্য নয়; শব্দের প্রকৃতি ও পদবিন্যাস অনুযায়ী মূর্ধন্য ‘ণ’ ব্যবহার হয়।
0
Updated: 1 month ago
'ইচ্ছা' এর প্রতিশব্দ—
Created: 1 month ago
A
পুলক
B
আহ্লাদ
C
পরিতোষ
D
বাঞ্ছা
• ইচ্ছা শব্দের প্রতিশব্দ:
- আকাঙ্ক্ষা, আশা, অভিলাষ, প্রার্থনা, চাওয়া, স্পৃহা, অভিপ্রায়, সাধ, অভিরুচি, প্রবৃত্তি, বাসনা, কামনা, বাঞ্ছা।
অন্যদিকে,
• আনন্দ শব্দের প্রতিশব্দ:
- খুশি, আমোদ, মজা, পুলক, হর্ষ, আহ্লাদ, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রমোদ, উল্লাস, উচ্ছ্বাস।
0
Updated: 1 month ago
'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
Created: 2 weeks ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।
0
Updated: 2 weeks ago
'আনমনা' শব্দের 'আন' উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
বিক্ষিপ্ত
B
কম
C
আধা
D
অভাব
১. উপসর্গ ‘আন’
অর্থ ও ব্যবহার:
-
‘না’ অর্থে: যেমন আনকোরা
-
‘বিক্ষিপ্ত’ অর্থে: যেমন আনচান, আনমনা
২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব (খাঁটি) উপসর্গ মোট ২১টি, যথা:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
দ্রষ্টব্য:
-
উপরের তালিকার মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago