'স্লেট' কোন ধরনের শিলা?
A
আগ্নেয়
B
পাললিক
C
রূপান্তরিত
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
শিলা হলো পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে গঠিত কঠিন খনিজসমৃদ্ধ পদার্থ, যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয় এবং এগুলোকে প্রধানত তিনটি প্রকারে ভাগ করা হয়: রূপান্তরিত শিলা, আগ্নেয় শিলা এবং পাললিক শিলা।
-
রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rocks)
-
আগ্নেয় এবং পাললিক শিলা যখন প্রচণ্ড চাপ, উত্তাপ এবং রাসায়নিক ক্রিয়ার প্রভাবে নতুন রূপ ধারণ করে, তখন তাকে রূপান্তরিত শিলা বলা হয়।
-
ভূআন্দোলন, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং ভূগর্ভস্থ তাপ এগুলোকে রূপান্তরিত করে।
-
উদাহরণ:
-
চুনাপাথর → মার্বেল
-
বেলেপাথর → কোয়ার্টজাইট
-
কাদা/শেল → স্লেট
-
গ্রানাইট → নিস
-
কয়লা → গ্রাফাইট
-
-
-
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের সময় এটি একটি উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড ছিল, যা ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণের ফলে তরল অবস্থায় আসে।
-
পরবর্তীতে আরও তাপ বিকিরণ করলে এর উপরিভাগ শীতল হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে।
-
গলিত অবস্থার থেকে ঘনীভূত বা কঠিন হয়ে যে শিলা গঠিত হয়, তাকে আগ্নেয় শিলা বলা হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট, গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ
-
-
পাললিক শিলা (Sedimentary Rocks)
-
পানি, বাতাস বা হিমবাহ দ্বারা আনা পলি সঞ্চিত হয়ে স্তরে স্তরে জমে যে শিলা গঠিত হয়, তাকে পাললিক শিলা বলা হয়।
-
উদাহরণ: বেলেপাথর, কয়লা, শেল, চুনাপাথর, কাদাপাথর, কেওলিন
-
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন প্রক্রিয়া রূপান্তরিত শিলা গঠনে সাহায্য করে?
Created: 3 weeks ago
A
ভূ-আন্দোলন
B
অগ্ন্যুৎপাত
C
ভূমিকম্প
D
উপরোক্ত সব
রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rocks) হলো সেই শিলা যা আগ্নেয় বা পাললিক শিলা প্রচণ্ড চাপ, উত্তাপ এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে রূপান্তরিত হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। এই রূপান্তর ঘটে মূলত ভূ-আন্দোলন, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা ভূগর্ভস্থ তাপের প্রভাবে।
উদাহরণ:
-
চুনাপাথর → মার্বেল
-
বেলেপাথর → কোয়ার্টজাইট
-
কাদা ও শেল → স্লেট
-
গ্রানাইট → নিস
-
কয়লা → গ্রাফাইট
রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য:
-
সাধারণত কেলাসিত (fused) হয়, কারণ তাপ ও চাপে মূল শিলার পরিবর্তন ঘটে।
-
কাঠিন্য বৃদ্ধি পায়, ফলে অন্যান্য শিলার তুলনায় বেশি শক্ত ও মজবুত হয়।
-
সাধারণত জীবাশ্মবিহীন, কারণ অতিরিক্ত তাপ ও চাপের কারণে মূল শিলার জীবাশ্ম বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
শিলার উপাদানগুলি প্রায়শই সমান্তরালভাবে অবস্থান করে, যা আনুভূমিক, তির্যক বা বক্র আকার ধারণ করতে পারে।
0
Updated: 3 weeks ago
সুপার ভলকানোর সংখ্যা কত?
Created: 2 weeks ago
A
৬ (ছয়)
B
৩ (তিন)
C
সঠিক উত্তর নাই
D
৪ (চার)
সুপারভলকানো (Supervolcano) হলো এমন এক বিশাল আগ্নেয়গিরি যা সাধারণ আগ্নেয়গিরির তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় লাভা, গ্যাস ও আগ্নেয় ছাই নির্গত করতে পারে এবং এর অগ্ন্যুৎপাত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
-
বিশ্বে আনুমানিক ২০টি সুপারভলকানো চিহ্নিত করা হয়েছে।
-
সবচেয়ে পরিচিত সুপারভলকানোগুলো হলো:
-
ইয়েলোস্টোন (Yellowstone, যুক্তরাষ্ট্র)
-
টোবা (Toba, ইন্দোনেশিয়া)
-
ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই (Campi Flegrei, ইতালি)
-
টাউপো (Taupo, নিউজিল্যান্ড)
-
আইরা (Aira, জাপান)
-
লং ভ্যালি (Long Valley, যুক্তরাষ্ট্র)
-
ভ্যালেস ক্যালডেরা (Valles Caldera, যুক্তরাষ্ট্র)
-
এসব সুপারভলকানো অতীতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সম্ভাব্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বহন করে।
0
Updated: 2 weeks ago
ভূকম্পন সক্রিয় অঞ্চল 'রিং অফ ফায়ার' কোন মহাসাগরীয় অববাহিকায় অবস্থিত?
Created: 4 weeks ago
A
ভারত মহাসাগর
B
আর্কটিক মহাসাগর
C
প্রশান্ত মহাসাগর
D
আটলান্টিক মহাসাগর
রিং অফ ফায়ার (Ring of Fire) হলো প্রশান্ত মহাসাগরের অববাহিকাকে ঘিরে থাকা একটি অশ্বখুরাকৃতি ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরি সক্রিয় অঞ্চল, যা অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরির জন্য পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার (২৪,৯০০ মাইল)। এই অঞ্চলটি দ্বীপমালার সারি যেমন টোঙ্গা ও নিউ হেব্রিডিস, ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন, জাপান, কুরিল দ্বীপপুঞ্জ ও আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, এবং আর্ক-আকৃতির ভূ-আকৃতি যেমন উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূল ও আন্দেস পর্বতমালা অনুসরণ করে বিস্তৃত।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বিশ্বের অধিকাংশ ভূমিকম্প এবং প্রায় ৭৫% সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এই অঞ্চলে ঘটে।
-
১৮০০ সালের পর থেকে রিং অফ ফায়ারের প্রধান আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যে রয়েছে: মাউন্ট টাম্বোরা (১৮১৫), ক্রাকাতোয়া (১৮৮৩), নোভারুপটা (১৯১২), মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স (১৯৮০), মাউন্ট রুইজ (১৯৮৫) ও মাউন্ট পিনাতুবো (১৯৯১)।
-
উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প: চিলি (১৯৬০, ২০১০), আলাস্কা (১৯৬৪), জাপান (২০১১) এবং ২০০৪ সালের ভয়াবহ ভারত মহাসাগরীয় সুনামি।
0
Updated: 4 weeks ago