A
৩৮ ভাগ
B
৪৫ ভাগ
C
৫৫ ভাগ
D
৬৫ ভাগ
উত্তরের বিবরণ
রক্ত
রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের তরল যোজক কলা।
রক্তবাহিকার মাধ্যমে রক্ত মানব দেহের সর্বত্র সঞ্চালিত হয়।
রক্ত সামান্য ক্ষারীয় প্রকৃতির।
রক্তের pH মাত্রা: ৭.৩ – ৭.৪।
সজীব রক্তের তাপমাত্রা: ৩৬° – ৩৮° সেলসিয়াস।
অজৈব লবণের কারণে রক্ত লবণাক্ত।
একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ: ৫ – ৬ লিটার (শরীরের মোট ওজনের প্রায় ৮%)।
রক্তের উপাদান
মানব দেহের রক্ত প্রধানত রক্তরস (Plasma) ও রক্তকণিকা (Blood corpuscles) নিয়ে গঠিত।
রক্ত কিছুক্ষণ স্থির রাখলে এটি দুই স্তরে বিভক্ত হয়।
উপরের স্তর (৫৫%): হালকা হলুদ বর্ণের রক্তরস বা প্লাজমা।
নিচের স্তর (৪৫%): গাঢ় বর্ণের রক্তকণিকা।
রক্তকণিকাগুলো রক্তরসে ভাসমান অবস্থায় থাকে।
লোহিত রক্তকণিকার উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহে রক্তের কত শতাংশ রক্তরস থাকে?
Created: 1 week ago
A
৪৫%
B
৫৫%
C
৬৫%
D
৭৫%
রক্তরস (Plasma)
৯১–৯২% পানি
৮–৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
লাল বর্ণের অস্বচ্ছ তরল যোজক টিস্যু
অল্প ক্ষারধর্মী ও লবণাক্ত
পরিমাণ
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত: প্রায় ৫–৬ লিটার
দেহের মোট ওজনের প্রায় ৮%
রক্তের রঙ
মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণীর রক্ত লাল
কারণ: রক্তে হিমোগ্লোবিন (লোহিত প্রোটিন) থাকে
হিমোগ্লোবিন + অক্সিজেন → অক্সিহিমোগ্লোবিন (O₂ পরিবহন করে)
গ্যাস পরিবহন
O₂ → হিমোগ্লোবিন দ্বারা পরিবাহিত হয়
CO₂ →
সামান্য অংশ হিমোগ্লোবিন দ্বারা
প্রধানত বাইকার্বনেট আয়ন (HCO₃⁻) আকারে
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
কোন রক্তকোষ জীবাণু ধ্বংস করে দেহের প্রকৃতিগত আত্মরক্ষায় অংশ নেয়?
Created: 1 week ago
A
অণুচক্রিকা
B
প্লাজমা
C
শ্বেত রক্তকোষ
D
লোহিত রক্তকোষ
রক্ত:
রক্ত হলো এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং লালবর্ণের তরল যোজক টিস্যু।
এটি ধমনি, শিরা ও কৈশিকনালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবহনে অংশ নেয়।
উষ্ণ রক্তবাহী প্রাণীর দেহে রক্ত তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
রক্তের প্রধান উপাদান দুটি:
১. রক্তরস (Plasma) – ৫৫%
২. রক্তকোষ (Blood cells) – ৪৫%
রক্তরস (Plasma):
রক্তের তরল অংশ, রঙ ঈষৎ হলুদাভ।
প্রায় ৯১–৯২% পানি এবং ৪–৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ থাকে।
এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও বর্জ্য পদার্থ থাকে।
রক্তকোষ (Blood cells):
রক্তকোষ তিন ধরনের:
১. লোহিত রক্তকোষ (Erythrocyte বা RBC)
হিমোগ্লোবিন নামক লৌহজাত যৌগ থাকে, যার কারণে রক্ত লাল হয়।
হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন গঠন করে এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন পরিবহন করে।
২. শ্বেত রক্তকোষ (Leukocyte বা WBC)
জীবাণু ধ্বংস করে দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে।
মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের শ্বেত রক্তকোষ থাকে।
৩. অণুচক্রিকা (Thrombocytes বা Blood platelet)
রক্ত জমাট বাঁধায় অংশ নেয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
অগভীর পানিতে সুনামির শক্তি কেমন হয়?
Created: 1 day ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
কমে যায়
C
অনির্ধারিত
D
অপরিবর্তিত থাকে
সুনামি হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। Tsunami শব্দটি জাপানি; যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ, অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
-
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প ঘটলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি সংঘটিত হয়।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রাক্টনিক ভূমিকম্প।
-
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে তৈরি এই মারাত্মক ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয় এক লাখ মানুষ।
-
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাবে রক্ষা করে।
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরের আরাকান অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বাংলাদেশে আঘাত এনেছিল।

0
Updated: 1 day ago