A
দস্তা
B
পিতল
C
অ্যালুমিনিয়াম
D
কোবাল্ট
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে এবং যাদের নিজস্বভাবে চুম্বকে পরিণত করা সম্ভব। অধিকাংশ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, আর তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলা হয়। ফেরো শব্দের অর্থ হলো লোহা।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা বিদ্যমান থাকে।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
অন্যদিকে যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করাও সম্ভব নয়, তাদের বলা হয় অচৌম্বক পদার্থ।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় না তাকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, সোনা, রূপা, তামা, পিতল, দস্তা।

0
Updated: 1 day ago
তড়িৎ চুম্বক তৈরিতে নিচের কোন পদার্থ সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
Created: 6 days ago
A
ইস্পাত
B
অ্যালুমিনিয়াম
C
নিকেল
D
কাঁচা লোহা
চুম্বক (Magnet)
স্থায়ী চুম্বক:
-
যে চুম্বকের চুম্বকত্ব সহজে নষ্ট হয় না তাকে স্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত চুম্বক স্থায়ী হলেও তা খুব দুর্বল। তাই চৌম্বক পদার্থের সাথে অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ বা বিশেষ প্রক্রিয়া (স্পর্শ-ঘর্ষণ পদ্ধতি) ব্যবহার করে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করা হয়।
অস্থায়ী চুম্বক:
-
যদি কোনো চৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে চুম্বক ধর্ম প্রদর্শন করে এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুপস্থিতিতে চুম্বকত্ব হারায়, তবে তাকে অস্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
তড়িৎ চুম্বক:
-
একটি বৃত্তাকার কুন্ডলী বা সলিনয়েডে তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর মধ্যে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় এবং এটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তড়িৎ প্রবাহের কারণে এটি তৈরি হওয়ায় একে তড়িৎ চুম্বক বলা হয়।
চুম্বক তৈরিতে ধাতুর ভূমিকা:
-
স্থায়ী চুম্বক: ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কারণ ইস্পাতের ধারণশীলতা (Remanence) এবং নিগ্রাহিতা (Coercivity) উভয়ই উচ্চ, তাই চুম্বক স্থায়ী হয়।
-
বৈদ্যুতিক চুম্বক: কাঁচা লোহা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঁচা লোহার ধারণশীলতা বেশি কিন্তু নিগ্রাহিতা কম, তাই চুম্বক শক্তিশালী কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 6 days ago