অগভীর পানিতে সুনামির শক্তি কেমন হয়?
A
বৃদ্ধি পায়
B
কমে যায়
C
অনির্ধারিত
D
অপরিবর্তিত থাকে
উত্তরের বিবরণ
সুনামি হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। Tsunami শব্দটি জাপানি; যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ, অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।
- 
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে। 
- 
সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। 
- 
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়। 
- 
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প ঘটলে সুনামি তৈরি হয়। 
- 
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি সংঘটিত হয়। 
- 
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রাক্টনিক ভূমিকম্প। 
- 
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে তৈরি এই মারাত্মক ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল। 
- 
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয় এক লাখ মানুষ। 
- 
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়। 
- 
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাবে রক্ষা করে। 
- 
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরের আরাকান অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বাংলাদেশে আঘাত এনেছিল। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি মানবদেহের পুলিশ ম্যান হিসেবে কাজ করে?
Created: 5 days ago
A
শ্বেত কণিকা
B
লোহিতা কণিকা
C
অনুচক্রিকা
D
প্লাজমা
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 days ago
মানবদেহে রক্তের কত শতাংশ রক্তরস থাকে?
Created: 1 month ago
A
৪৫%
B
৫৫%
C
৬৫%
D
৭৫%
রক্তরস (Plasma)
৯১–৯২% পানি
৮–৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
লাল বর্ণের অস্বচ্ছ তরল যোজক টিস্যু
অল্প ক্ষারধর্মী ও লবণাক্ত
পরিমাণ
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত: প্রায় ৫–৬ লিটার
দেহের মোট ওজনের প্রায় ৮%
রক্তের রঙ
মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণীর রক্ত লাল
কারণ: রক্তে হিমোগ্লোবিন (লোহিত প্রোটিন) থাকে
হিমোগ্লোবিন + অক্সিজেন → অক্সিহিমোগ্লোবিন (O₂ পরিবহন করে)
গ্যাস পরিবহন
O₂ → হিমোগ্লোবিন দ্বারা পরিবাহিত হয়
CO₂ →
সামান্য অংশ হিমোগ্লোবিন দ্বারা
প্রধানত বাইকার্বনেট আয়ন (HCO₃⁻) আকারে
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কোন উপাদানটি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে?
Created: 4 days ago
A
ক্যালসিয়াম
B
ম্যাঙ্গানিজ
C
প্রোটিন
D
লৌহ
রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লৌহ (Iron)। হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের একটি প্রোটিন যা অক্সিজেন পরিবহন করতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিনের গঠন মূলত লৌহ ধারণকারী একটি অংশ থেকে আসে, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
লৌহের ভূমিকা:
- 
লৌহ হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান, যা রক্তের রেড ব্লাড সেল (RBC) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
- 
লৌহের অভাবে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা (Anemia) হতে পারে। 
- 
যথাযথ পরিমাণ লৌহ শরীরে থাকা সত্ত্বেও রক্তে অক্সিজেনের সঠিক পরিবহণ সম্ভব হয়। 
অন্য উপাদানগুলোর ভূমিকা:
- 
ক্যালসিয়াম মূলত হাড় ও দাঁত শক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে না। 
- 
ম্যাঙ্গানিজ একটি ট্রেস উপাদান, যা মেটাবলিজম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইমের কার্যক্রমে সহায়ক, তবে এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে প্রভাবিত করে না। 
- 
প্রোটিন শরীরের গঠনমূলক উপাদান, তবে হিমোগ্লোবিন গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেললেও এটি প্রধান উপাদান নয়। 
সুতরাং, হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লৌহ প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
উ. ঘ) লৌহ
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 days ago