অগভীর পানিতে সুনামির শক্তি কেমন হয়?
A
বৃদ্ধি পায়
B
কমে যায়
C
অনির্ধারিত
D
অপরিবর্তিত থাকে
উত্তরের বিবরণ
সুনামি হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। Tsunami শব্দটি জাপানি; যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ, অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
-
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প ঘটলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি সংঘটিত হয়।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রাক্টনিক ভূমিকম্প।
-
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে তৈরি এই মারাত্মক ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয় এক লাখ মানুষ।
-
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাবে রক্ষা করে।
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরের আরাকান অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বাংলাদেশে আঘাত এনেছিল।
0
Updated: 1 month ago
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ কোনটি?
Created: 4 days ago
A
১৬০/৯০
B
১২০/৮০
C
১৮০/১০০
D
৯০/৬০
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg। এখানে ১২০ হলো সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) এবং ৮০ হলো ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure)। রক্তচাপ বা Blood Pressure বলতে বোঝায়, হৃদযন্ত্র যখন শরীরে রক্ত পাম্প করে তখন রক্তের দ্বারা রক্তনালীর প্রাচীরে সৃষ্ট চাপ।
স্বাভাবিক রক্তচাপের মান বজায় রাখা মানুষের হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) হলো রক্তচাপের উপরের মান, যা হৃদপিণ্ড সংকোচন (contraction) করে রক্ত ধমনিতে পাঠানোর সময় সৃষ্টি হয়।
– ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) হলো নিচের মান, যা হৃদপিণ্ড বিশ্রামে থাকাকালীন রক্তনালীর ভিতরের চাপ নির্দেশ করে।
– একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রক্তচাপ গড়ে ১২০/৮০ mmHg, যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য আদর্শ ধরা হয়।
– যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি হয়, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হিসেবে বিবেচিত হয়, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
– অপরদিকে, রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে নেমে যায়, তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ (Hypotension) বলা হয়, যা মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
– বয়স, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, ওজন, ধূমপান ও ঘুমের অভাব—এসব উপাদান রক্তচাপের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
– পর্যাপ্ত পানি পান, লবণ নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
– দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি, কিডনি বিকল, চোখের ক্ষতি এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 4 days ago
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ-
Created: 4 days ago
A
কার্বন পরিবহন
B
অক্সিজেন পরিবহন
C
কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ
D
পুষ্টি বর্ধন
রক্তে হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকার (RBC) ভেতরে থাকে এবং এটি শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহনের মূল কাজটি সম্পন্ন করে। এটি শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে কোষের বর্জ্য গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে নিয়ে আসে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার জন্য।
-
হিমোগ্লোবিন মূলত লোহা (Iron) যুক্ত একটি জটিল প্রোটিন যা চারটি উপইউনিট নিয়ে গঠিত, প্রতিটি উপইউনিটে থাকে একটি করে হিম গ্রুপ, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হতে সক্ষম।
-
এটি ফুসফুসে অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে সেই অক্সিজেন মুক্ত করে দেয়।
-
হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে রক্তের রং লাল হয়; অক্সিজেনযুক্ত রক্ত উজ্জ্বল লাল এবং অক্সিজেনবিহীন রক্ত অপেক্ষাকৃত গাঢ় রঙের হয়।
-
শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ না হলে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
-
হিমোগ্লোবিন শরীরের অ্যাসিড–বেস ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে, যা কোষের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য।
-
স্বাভাবিক অবস্থায় পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ প্রায় ১৩–১৭ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার, আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১২–১৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার থাকে।
-
হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, যার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। এর ফলে দুর্বলতা, অবসাদ ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়।
-
সঠিক খাদ্যাভ্যাস হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেমন—লাল মাংস, ডিম, মাছ, কলিজা, শাকসবজি, ডাল, বিট, আপেল, খেজুর ও পালং শাক নিয়মিত খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে।
-
গর্ভবতী নারী, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি বেশি দেখা যায়, তাই এই সময়ে আয়রন সাপ্লিমেন্ট ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
-
হিমোগ্লোবিন শরীরের প্রতিটি কোষে জীবনধারার শক্তি সরবরাহ করে, তাই এটি রক্তের “জীবনবাহক অণু” হিসেবেও পরিচিত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হলো অক্সিজেন পরিবহন, যা শরীরের শক্তি উৎপাদন ও জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। সুতরাং, সঠিক উত্তর — খ) অক্সিজেন পরিবহন।
0
Updated: 4 days ago
মানবদেহে শতকরা কত ভাগ রক্তরস রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩৮ ভাগ
B
৪৫ ভাগ
C
৫৫ ভাগ
D
৬৫ ভাগ
রক্ত
রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের তরল যোজক কলা।
রক্তবাহিকার মাধ্যমে রক্ত মানব দেহের সর্বত্র সঞ্চালিত হয়।
রক্ত সামান্য ক্ষারীয় প্রকৃতির।
রক্তের pH মাত্রা: ৭.৩ – ৭.৪।
সজীব রক্তের তাপমাত্রা: ৩৬° – ৩৮° সেলসিয়াস।
অজৈব লবণের কারণে রক্ত লবণাক্ত।
একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ: ৫ – ৬ লিটার (শরীরের মোট ওজনের প্রায় ৮%)।
রক্তের উপাদান
মানব দেহের রক্ত প্রধানত রক্তরস (Plasma) ও রক্তকণিকা (Blood corpuscles) নিয়ে গঠিত।
রক্ত কিছুক্ষণ স্থির রাখলে এটি দুই স্তরে বিভক্ত হয়।
উপরের স্তর (৫৫%): হালকা হলুদ বর্ণের রক্তরস বা প্লাজমা।
নিচের স্তর (৪৫%): গাঢ় বর্ণের রক্তকণিকা।
রক্তকণিকাগুলো রক্তরসে ভাসমান অবস্থায় থাকে।
লোহিত রক্তকণিকার উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।
0
Updated: 1 month ago