তাপের এস.আই (S.I) একক কোনটি?
A
সেলসিয়াস
B
সেন্টিগ্রেড
C
কেলভিন
D
জুল
উত্তরের বিবরণ
তাপ হলো বস্তুর বা পদার্থের অভ্যন্তরে অণুসমূহের গতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের শক্তি, যা মানুষের কাছে গরম ও ঠান্ডার অনুভূতি হিসেবে ধরা পড়ে। এর SI একক জুল (J) এবং একটি প্রচলিত একক হলো ক্যালরি, যা মেট্রিক পদ্ধতির হলেও এখনো পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়। তাপ পরিমাপের যন্ত্র হলো ক্যালরিমিটার। তাপের প্রবাহ কখনোই কেবল তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না; এমনকি দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
তাপমাত্রা বা উষ্ণতা হলো বস্তুর তাপীয় অবস্থা, যা নির্ধারণ করে কোন বস্তু থেকে অন্য বস্তুর দিকে তাপ প্রবাহিত হবে। এর SI একক কেলভিন (K) হলেও সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট এককও বহুল ব্যবহৃত। তাপমাত্রা মাপার জন্য ব্যবহৃত হয় থার্মোমিটার। তাপের প্রবাহ তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল, আর দুটি বস্তুর তাপমাত্রা সমান হলেও তাদের ভেতরে তাপের পরিমাণ সমান নাও হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
১ ক্যালরি কত জুলের সমান?
Created: 1 month ago
A
২.৫ জুল
B
৩.৫ জুল
C
৪.২ জুল
D
৫.১ জুল
তাপ হলো পদার্থের অভ্যন্তরে অণুসমূহের গতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের কাছে গরম ও ঠান্ডার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি মূলত শক্তির একটি রূপ, তাই শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
তাপের SI একক জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ক্যালরি ব্যবহার করা হতো, যা মেট্রিক পদ্ধতির একক এবং এখনো পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
১ ক্যালরি (Cal) হলো ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১° C বাড়াতে বা কমাতে যত তাপ প্রয়োজন।
-
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল, অর্থাৎ ৪.২ জুল যান্ত্রিক শক্তি ১ ক্যালরি তাপের সমতুল্য।
-
তাপ পরিমাপের যন্ত্র হলো ক্যালরিমিটার।
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি ঘটে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে।
-
দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
উপধাতু
B
ধাতু
C
অধাতু
D
খনিজ
ধাতু হলো এমন একটি পদার্থ যা চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
পদার্থের শ্রেণীবিভাগ:
-
সকল পদার্থ দুই প্রকার মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত: ধাতু ও অধাতু।
-
ধাতু উদাহরণ: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, সিলভার, গোল্ড, কপার, জিংক ইত্যাদি।
-
অধাতু উদাহরণ: কয়লা (কার্বন), সালফার, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি।
-
প্রকৃতিতে প্রায় সকল ধাতু ও অধাতু যৌগিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
কয়লা, সালফার ও কিছু পরিমাণ গোল্ড মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
যে ধাতু ও অধাতু অধিক সক্রিয়, তাদের যৌগ বেশি পরিমাণে, এবং কম সক্রিয় পদার্থের যৌগ কম পরিমাণে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
ধাতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
ঘাতসহনীয়তা: ধাতুকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারে আনা যায়।
-
নমনীয়তা: ধাতুকে বাঁকানো যায়।
-
উজ্জ্বলতা: আলোক প্রতিফলনের কারণে ধাতু চকচকে দেখায়।
-
পরিবাহিতা: ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
-
ধাতব শব্দ: আঘাত করলে ধাতু টুন-টুন শব্দ করে।
-
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: ধাতুসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অত্যন্ত বেশি (তবে পারদ সাধারণ তাপমাত্রায় তরল)।
-
ঘনত্ব: ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় বেশি।
0
Updated: 3 weeks ago