পাকস্থলীতে খাবার হজমের জন্য কোন এসিড প্রয়োজন?
A
ভিনেগার
B
এসিটিক এসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
D
এসকরবিক এসিড
উত্তরের বিবরণ
এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের এসিড খাদ্য, চিকিৎসা এবং শিল্পে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু প্রধান এসিডের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl): আমাদের পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রয়োজন হয়। বিশেষত মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি প্রভৃতি গুরুপাক খাবার খাওয়ার পর এই এসিড হজমে সহায়তা করে। কোমল পানীয় সামান্য এসিডিক হওয়ার কারণে এগুলো পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড (C6H8O6): লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকী প্রভৃতি ফলে পাওয়া যায়। এটি শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়ে থাকে।
-
ভিনেগার বা এসিটিক এসিড (CH3COOH): আম, জলপাইসহ বিভিন্ন ফলের আচার সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এটি খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখে।
-
ল্যাকটিক এসিড [CH3-CH(OH)-COOH]: দই, বোরহানির মতো খাবারে পাওয়া যায়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
-
বেকিং সোডা (NaHCO3): কেক, বিস্কুট, পাউরুটি ইত্যাদি ফোলানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে, ফলে খাবারগুলো ফেঁপে ওঠে এবং নরম হয়।
0
Updated: 1 month ago
এসিডের কার্যকরী ধর্ম প্রদর্শনের জন্য কোনটির উপস্থিতি আবশ্যক?
Created: 1 month ago
A
পানি
B
তাপ
C
বাতাস
D
আলো
এসিডের রাসায়নিক ধর্মে পানির ভূমিকা:
-
এসিডের বৈশিষ্ট্য কার্যকর হয় শুধুমাত্র পানির উপস্থিতিতে; পানির অনুপস্থিতিতে এসিড তার এসিডিয় ধর্ম প্রদর্শন করতে পারে না।
-
উদাহরণ: শুষ্ক অবস্থায় হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) গ্যাসের সঙ্গে বিভিন্ন পদার্থের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
-
শুষ্ক নীল লিটমাস কাগজে HCl(g) প্রয়োগ করলে লিটমাস কাগজের রঙ অপরিবর্তিত থাকে।
-
HCl(g) + CaCO3(s) → কোনো বিক্রিয়া ঘটে না এবং CO2 গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
-
HCl(g) + Fe → কোনো বিক্রিয়া ঘটে না এবং H2 গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
-
-
প্রতীকী রূপে:
-
HCl(g) + শুষ্ক নীল লিটমাস কাগজ → নীল লিটমাস কাগজ অপরিবর্তিত
-
HCl(g) + CaCO3(s) → বিক্রিয়া ঘটে না, CO2 উৎপন্ন হয় না
-
HCl(g) + Fe → বিক্রিয়া ঘটে না, H2 উৎপন্ন হয় না
-
0
Updated: 1 month ago
এসিড কী দান করে?
Created: 3 weeks ago
A
ইলেকট্রন
B
প্রোটন
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোক্সাইড আয়ন
এসিড হলো সেই পদার্থ যা জলীয় দ্রবণে প্রোটন (H⁺) বা ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করে। এটি সাধারণত নীল লিটমাসকে লাল রঙে পরিবর্তিত করে। যেসব রাসায়নিক দ্রব্য জলীয় দ্রবণে প্রোটন বা হাইড্রোজেন আয়ন দান করে, তাদের এসিড বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ- এসিটিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, অক্সালিক এসিড। এসিড শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'অ্যাসিডাস' থেকে এসেছে এবং বাংলায় একে অম্ল বলা হয়।
এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
এসিড স্বাদে টক।
-
এটি নীল লিটমাসকে লাল করে।
-
এসিড ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে পানি ও লবণ উৎপন্ন করে।
-
এটি ধাতুর কার্বনেটের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি এসিডই হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করতে পারে।
-
যে এসিড যত বেশি হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করে, তা তত বেশি শক্তিশালী।
0
Updated: 3 weeks ago
বেকিং সোডা ব্যবহার করে তাপ দিলে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা কেক বা পাউরুটিকে ফুলিয়ে তোলে?
Created: 1 month ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
কার্বন ডাই-অক্সাইড
D
নাইট্রোজেন
প্রাত্যহিক জীবনে এসিডের ব্যবহার
-
বোলতা বা বিচ্ছুর হুলের জ্বালা নিবারণ
-
বোলতা ও বিচ্ছুর হুলে থাকে হিস্টামিন, যা এক ধরনের ক্ষারক পদার্থ।
-
এতে প্রচণ্ড জ্বালা করে। এসিড বা এসিডজাতীয় মলম (যেমন ভিনেগার) ব্যবহার করলে ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া হয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয় এবং জ্বালা কমে যায়।
-
-
খাবার হজমে সহায়তা
-
পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) প্রয়োজন।
-
মাংস, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবারের পর কোমল পানীয় (যা হালকা এসিডিক) পান করলে হজমে সহায়তা করে।
-
-
ফলমূলের জৈব এসিড
-
লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকীতে বিভিন্ন জৈব এসিড থাকে।
-
ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক এসিড) ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, আর এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
-
আচার সংরক্ষণ
-
আম, জলপাই প্রভৃতি আচারে ভিনেগার (অ্যাসিটিক এসিড, CH₃COOH) ব্যবহার করা হয়।
-
-
দই ও বোরহানি
-
দই ও বোরহানিতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজমে সাহায্য করে।
-
-
বেকিংয়ে ব্যবহার
-
বেকিং সোডা তাপে ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
-
এই গ্যাস কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
-
-
পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার
-
টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লিনারে থাকে শক্তিশালী এসিড যেমন: HCl, HNO₃, H₂SO₄।
-
-
ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণে
-
সৌরবিদ্যুৎ, আইপিএস ও গাড়ির ব্যাটারিতে সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) ব্যবহার হয়।
-
-
সার উৎপাদনে এসিড
-
সার তৈরিতে ব্যবহৃত যৌগ:
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃) → নাইট্রিক এসিড (HNO₃) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄) → সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄) → ফসফরিক এসিড (H₃PO₄) দিয়ে
-
-
-
এসিডের ক্ষতিকর প্রভাব
-
এসিড কাপড়ে পড়লে কাপড় পুড়ে যায় বা ছিদ্র হয়ে যায়।
-
ধাতব পদার্থকেও ক্ষয় করে।
-
শরীরে এসিড পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago