নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং চুম্বকে পরিণত করা যায়?
A
দস্তা
B
পিতল
C
অ্যালুমিনিয়াম
D
কোবাল্ট
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে এবং যাদের নিজস্বভাবে চুম্বকে পরিণত করা সম্ভব। অধিকাংশ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, আর তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলা হয়। ফেরো শব্দের অর্থ হলো লোহা।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা বিদ্যমান থাকে।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
অন্যদিকে যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করাও সম্ভব নয়, তাদের বলা হয় অচৌম্বক পদার্থ।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় না তাকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, সোনা, রূপা, তামা, পিতল, দস্তা।
0
Updated: 1 month ago
তড়িৎ চুম্বক তৈরিতে নিচের কোন পদার্থ সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
Created: 1 month ago
A
ইস্পাত
B
অ্যালুমিনিয়াম
C
নিকেল
D
কাঁচা লোহা
চুম্বক (Magnet)
স্থায়ী চুম্বক:
-
যে চুম্বকের চুম্বকত্ব সহজে নষ্ট হয় না তাকে স্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত চুম্বক স্থায়ী হলেও তা খুব দুর্বল। তাই চৌম্বক পদার্থের সাথে অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ বা বিশেষ প্রক্রিয়া (স্পর্শ-ঘর্ষণ পদ্ধতি) ব্যবহার করে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করা হয়।
অস্থায়ী চুম্বক:
-
যদি কোনো চৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে চুম্বক ধর্ম প্রদর্শন করে এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুপস্থিতিতে চুম্বকত্ব হারায়, তবে তাকে অস্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
তড়িৎ চুম্বক:
-
একটি বৃত্তাকার কুন্ডলী বা সলিনয়েডে তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর মধ্যে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় এবং এটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তড়িৎ প্রবাহের কারণে এটি তৈরি হওয়ায় একে তড়িৎ চুম্বক বলা হয়।
চুম্বক তৈরিতে ধাতুর ভূমিকা:
-
স্থায়ী চুম্বক: ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কারণ ইস্পাতের ধারণশীলতা (Remanence) এবং নিগ্রাহিতা (Coercivity) উভয়ই উচ্চ, তাই চুম্বক স্থায়ী হয়।
-
বৈদ্যুতিক চুম্বক: কাঁচা লোহা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঁচা লোহার ধারণশীলতা বেশি কিন্তু নিগ্রাহিতা কম, তাই চুম্বক শক্তিশালী কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
চৌম্বক মধ্যতল
B
চৌম্বক মেরু
C
ভৌগোলিক মধ্যতল
D
চৌম্বক দৈর্ঘ্য
চুম্বক:
- চুম্বক হচ্ছে সেই সকল পদার্থ যাদের আকর্ষণ ও দিকদর্শী ধর্ম আছে।
- এ সকল পদার্থ দিয়ে উপযুক্ত পদার্থকে চুম্বক ধর্ম প্রদান করা যায়।
চৌম্বক মেরু (Magnetic pole):
- যেকোনো চুম্বকের যে দুই প্রান্তের আকর্ষণ বল সবচেয়ে বেশি সে প্রান্তকে চৌম্বক মেরু বলে।
- চিত্রে একটি দন্ডচুম্বকের দুটি মেরু N ও S দেখানো হয়েছে।
N = North Pole (উত্তরমেরু),
S = South Pole (দক্ষিণমেরু)।
চৌম্বক অক্ষ (Magnetic axis):
- যেকোনো চুম্বকের মেরু দুটিকে সংযোগ করে যে সরলরেখা পাওয়া যায়, তাকে চৌম্বক অক্ষ বলে।
চিত্রে, AB দন্ড চুম্বকের অক্ষ।
চৌম্বক দৈর্ঘ্য (Magnetic length):
- চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বের দৈর্ঘ্যকে চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলে।
চিত্রে, NS = চৌম্বক দৈর্ঘ্য।
চৌম্বক মধ্যতল (Magnetic meridian):
- চুম্বকের ভারকেন্দ্র দিয়ে মুক্তভাবে ঝুলড্ কোনো একটি স্থির চুম্বকের চৌম্বক অক্ষের মধ্য দিয়ে কল্পিত তলকে চৌম্বক মধ্যতল বলে।
ভৌগোলিক মধ্যতল (Geographical meridian):
- পৃথিবীর কোনো স্থানে ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণমের বরাবর কল্পিত উলম্ব তলকে ঐ স্থানের ভৌগোলিক বা জ্যামিতিক মধ্যতল বলে।
- চৌম্বক মধ্যতল ও ভৌগোলিক মধ্যতলের মধ্যকার কিছুটা কৌণিক ব্যবধান থাকে, যাকে বিচ্যুতি বলে।
0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে?
Created: 1 month ago
A
পিতল
B
নিকেল
C
তামা
D
অ্যালুমিনিয়াম
চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ
-
চৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে; তাই এগুলোকে ফেরোচৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic substances) বলা হয়।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
-
নিকেল একটি চৌম্বক পদার্থ, তাই এটি চুম্বকের দ্বারা আকর্ষিত হয়।
-
-
অচৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago