মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ কোন ধরনের রচনা? 

Edit edit

A

ছোটগল্প

B

উপন্যাস

C

প্রবন্ধ

D

নাটক

উত্তরের বিবরণ

img

পুতুলনাচের ইতিকথা


রচয়িতা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রকাশকাল: ১৯৩৬।


লেখকের বক্তব্য: “সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।” — এই উপন্যাসে সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।


বিষয়বস্তু: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের অন্তর্গত টানাপোড়েন, মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট।


প্রতীক: ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে সেইসব মানুষকে, যারা দৃঢ় চরিত্র বা নিজস্ব অবস্থান নিয়ে দাঁড়াতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়।


উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হারু ঘোষ, শশী, কুসুম প্রভৃতি।


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮–১৯৫6)


জন্ম: ১৯০৮ সালে, পিতার কর্মস্থল বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে।


পৈতৃক নিবাস: ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে।


পিতা: হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট)।


প্রকৃত নাম: প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাকনাম ‘মানিক’।


পরিচিতি: ত্রিশোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান লেখক।


সাহিত্যজীবন:


প্রথম গল্প: ‘অতসী মামী’ (প্রকাশিত: ১৯২৮, বিচিত্রা পত্রিকায়)।


লেখনীতে: মার্ক্সবাদী শ্রেণিসংগ্রামতত্ত্বের বিশ্লেষণ ও মানুষের মনের জটিল রহস্য উন্মোচনে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন।


শ্রেষ্ঠ উপন্যাস: ‘পদ্মানদীর মাঝি’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ – এই দুই রচনার মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পদ্মানদীর মাঝি পরবর্তীতে চলচ্চিত্রায়িত হয়।


উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:


জননী (১৯৩৫)


দিবারাত্রির কাব্য


পদ্মানদীর মাঝি


পুতুলনাচের ইতিকথা


শহরতলী


চিহ্ন


চতুষ্কোণ


সার্বজনীন


আরোগ্য প্রভৃতি


মৃত্যু: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬, কলকাতা।


Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

আবুল হুসেন কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?

Created: 1 day ago

A

সওগাত

B

শিখা

C

মোসলেম ভারত

D

সমাচার সভারাজেন্দ্র 

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Links

Home

Exams

Live Exam

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD