ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
A
শকুন্তলা
B
বেতালপঞ্চবিংশতি
C
ভ্রান্তিবিলাস
D
বর্ণপরিচয়
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০; স্থান: পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রাম।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’।
‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ সম্পর্কে:
-
এটি একখানা গল্পগ্রন্থ, মূল গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
১৮০৫ সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ থেকে এর হিন্দি অনুবাদ ‘বৈতাল পচ্চিসী’ প্রকাশিত হয়, যা কলেজের পাঠ্য ছিল।
-
কলেজের অধ্যক্ষ জি.টি. মার্শালের অনুরোধে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ সালে এটি বাংলায় অনুবাদ করেন।
বিখ্যাত গ্রন্থসমূহ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
শিক্ষামূলক গ্রন্থসমূহ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত মৌলিক গ্রন্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
সীতার বনবাস
B
অল্প হইল
C
শকুন্তলা
D
ব্রজবিলাস
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজসংস্কারক। তিনি জনহিতৈষী চিন্তাধারার অধিকারী এবং বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে সুপরিচিত।
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন; ২৯ জুলাই, ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
পদবি ও স্বাক্ষর: পৈতৃক পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়; স্বাক্ষর করতেন 'ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা' নামে।
-
উপাধি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
ভাষা ও সাহিত্য: বাংলা গদ্যের প্রবর্তক; প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
-
প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ: 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্য রচনা: 'প্রভাবতী সম্ভাষণ'।
-
ব্যাকরণ গ্রন্থ: 'ব্যাকরণ কৌমুদী'।
বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
মৌলিক রচনা:
-
অতি অল্প হইল
-
আবার অতি অল্প হইল
-
ব্রজবিলাস
-
বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা
-
রত্ন পরীক্ষা
শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের জনক কে?
Created: 1 day ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁকে ‘বাংলা সাহিত্যের জনক’ বলা হয় কারণ তিনিই প্রথম আধুনিক বাংলা গদ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর রচনায় ভাষার সরলতা, স্বাভাবিকতা ও যুক্তিবোধের প্রকাশ ঘটে। তাঁর সাহিত্যচর্চা ও সংস্কারমূলক কাজ বাংলা সমাজে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
মূল তথ্যসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো—
-
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কোলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন।
-
ভাষা সংস্কার: বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সহজ, প্রাঞ্জল ও সাধারণ পাঠকের উপযোগী করে তুলেছিলেন। তাঁর আগে বাংলা গদ্যে সংস্কৃত ভাষার প্রভাব প্রবল ছিল, যা সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতো। তিনি সেই কঠিন ভাষার পরিবর্তে সহজবোধ্য, কথ্যরীতির বাংলা চালু করেন। ফলে বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশে যায়।
-
সাহিত্যকর্ম: তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’, ‘শকুন্তলা’, ‘সিতার বনবাস’, ‘বার্ণপরিচয়’ ইত্যাদি। বিশেষত ‘বার্ণপরিচয়’ বাংলা শিক্ষার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অবদান। এই বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণমালা শেখা সহজ হয় এবং এটি আজও প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহৃত।
-
সামাজিক সংস্কার: বিদ্যাসাগর শুধু সাহিত্যিকই নন, তিনি ছিলেন সমাজসংস্কারকও। তিনি বিধবা বিবাহ প্রবর্তন ও নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ সরকার ‘হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন’ পাশ করে। এছাড়া মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপনে তিনি নেতৃত্ব দেন এবং নারী শিক্ষার পথ খুলে দেন।
-
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান: তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবধর্মী ও আধুনিক পদ্ধতির প্রবর্তন হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে সমাজকে আলোকিত করতে পারে।
-
ভাষা ও সাহিত্যে প্রভাব: বিদ্যাসাগরের গদ্যরীতি পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী প্রমুখের লেখায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বাংলা গদ্যের পথপ্রদর্শক হিসেবে নতুন ধারার সূচনা করেন। এজন্যই তাঁকে যথার্থভাবে ‘বাংলা সাহিত্যের জনক’ বলা হয়।
-
মৃত্যু: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তাঁর আদর্শ, সাহিত্য ও মানবপ্রেম আজও বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতিতে অমর হয়ে আছে।
সব মিলিয়ে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কেবল একজন সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার স্থপতি, সমাজসংস্কারক ও শিক্ষার আলোকবর্তিকা। তাঁর প্রবর্তিত সহজ গদ্যরীতি এবং মানবিক আদর্শ বাংলা সাহিত্যের ভিত্তিকে দৃঢ় করে তুলেছিল, যার জন্যই তিনি অনন্যভাবে পরিচিত বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে।
0
Updated: 1 day ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুবাদ গ্রন্থ 'শকুন্তলা' কোন কবির রচনা অবলম্বনে অনুবাদ করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
বাল্মীকি
B
কালিদাস
C
মার্শম্যান
D
মৈনাসত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–১৮৯১)
-
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
-
তিনি অনেক সময় “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” নামেও স্বাক্ষর করতেন।
-
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি প্রদান করে।
-
১৮৪১ সালের ২৯ ডিসেম্বর, মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
-
তাঁর আত্মজীবনীমূলক অসমাপ্ত রচনা: ‘আত্মচরিত’।
অনুবাদ গ্রন্থসমূহ
-
ভ্রান্তিবিলাস – শেক্সপিয়রের Comedy of Errors অবলম্বনে।
-
বেতালপঞ্চবিংশতি – হিন্দি বৈতালপচ্চিসি এর বঙ্গানুবাদ।
-
শকুন্তলা – কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলাম অনুসারে।
-
সীতার বনবাস – রামায়ণ অনুসারে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; উচ্চমাধ্যমিক সাহিত্যপাঠ; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago