আইনের মাধ্যমে যে কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিতে পারে-
A
সুপ্রিম কোর্ট
B
বিচার বিভাগ
C
প্রধান বিচারপতি
D
জাতীয় সংসদ
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় সংসদ
-
জাতীয় সংসদ সরকারের তিনটি বিভাগের একটি আইন বিভাগ।
-
আইনবিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা, যার বাংলাদেশের নাম ‘জাতীয় সংসদ’।
-
সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়।
-
জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
-
৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
-
-
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যে কোনো নতুন আইন প্রণয়ন এবং প্রচলিত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করতে পারে।
-
সংসদ আইনের মাধ্যমে সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, উপবিধি ও প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
-
সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান করবেন।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 1 month ago
A
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
B
পল-হেনরি স্পাক
C
ট্রিগভেলী
D
লেস্টার বি. পিয়ারসন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UN General Assembly)
-
প্রকৃতি: জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থা
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯৩টি দেশ
-
আইনগত ভিত্তি: জাতিসংঘ সনদের চতুর্থ অধ্যায় (ধারা ৯–২২)
-
অধিবেশন: বার্ষিক সাধারণ অধিবেশন, সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়
-
প্রথম অধিবেশন:
-
তারিখ: ১০ জানুয়ারি, ১৯৪৬
-
স্থান: লন্ডন
-
প্রতিনিধি: ৫১টি দেশ
-
সভাপতি: বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পল-হেনরি স্পাক
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
B
উ থান্ট
C
ড. বুট্রোস বুট্রোস ঘালি
D
ট্রিগভেলী
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
সম্পর্কের সূচনা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে।
-
মহাসচিব: বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল:
-
ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করে।
-
তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম উদ্যোগী হন।
-
উ থান্ত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
১৯৭২ সালের আগস্ট:
-
৮ আগস্ট: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ আবেদনের জন্য আবেদন জমা দেয়।
-
১১ আগস্ট: নিরাপত্তা পরিষদে বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত।
-
২৩ আগস্ট: সদস্যপদ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয় (যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার সমর্থন)।
-
২৫ আগস্ট: চীনের ভেটোর কারণে তখন বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।
-
-
১৯৭৪ সালের জুন:
-
পুনরায় আবেদন করা হয়।
-
১০ জুন: নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়; চীন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
১৭ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্যপদ অনুমোদন করে।
-
ফলাফল: বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
মহাসচিব সংক্রান্ত তথ্য:
-
উ থান্ত (১৯৬১-১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দায়িত্বে।
-
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম (১৯৭২-১৯৮১): বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় দায়িত্বে।
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago