গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস: