‘আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব’- উক্তিটির রচয়িতা কে?
A
মুনির চৌধুরী
B
জহির রায়হান
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
হাসান হাফিজুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস
-
বিখ্যাত উক্তি: "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।"
-
উপন্যাসটি রচনা করেছেন জহির রায়হান, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে।
-
মূল বিষয়: ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন, জনতার সম্মিলন, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, এবং তাদের প্রেম-প্রণয়।
-
বিখ্যাত সংলাপের মাধ্যমে উপন্যাসের সমাজ ও আন্দোলনভিত্তিক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মুমিন
-
আসাদ
-
রসুল
-
সালমা
জহির রায়হান
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক।
-
হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেছেন।
-
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জহির রায়হানের রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ:
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
জীবন থেকে নেয়া
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা
0
Updated: 1 month ago
নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত 'গেরিলা’ চলচ্চিত্রের পটভূমি কী?
Created: 1 month ago
A
মুক্তিযুদ্ধ
B
ভাষা আন্দোলন
C
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন
D
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
গেরিলা চলচ্চিত্র
-
গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।
-
চলচ্চিত্রটির পরিচালক: নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
-
এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত।
-
চলচ্চিত্রটি ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস।
-
যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ এবং এবাদুর রহমান।
-
প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন: জয়া আহসান, ফেরদৌস, শতাব্দী ওয়াদুদ, এটিএম শামসুজ্জামান, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
0
Updated: 1 month ago
চৌসার যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
শের খান ও বাবর
B
হুমায়ুন ও শের খান
C
শের শাহ ও আকবর
D
হুমায়ুন ও জাহাঙ্গীর
চৌসার যুদ্ধ ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন বিহারের চৌসাতে সংঘটিত হয়, যেখানে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের খান (পরে শের শাহ সূরি) এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই যুদ্ধের ফলাফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা নিম্নরূপ:
-
শের খান বিজয়ী হন এবং সম্রাট হুমায়ুনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
-
এর ফলে মুঘল শাসনের পতন শুরু হয় এবং সূরি বংশের উত্থান ঘটে।
-
সম্রাট হুমায়ুন গৌড় পরিত্যাগ করার পূর্বে জাহাঙ্গীর কুলী বেগকে বাংলার শাসনভার অর্পণ করেন।
-
হুমায়ুন তাঁর বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আগ্রা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু বক্সারের নিকটবর্তী চৌসায় শের খান ও তাঁর আফগান অনুচররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
-
১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চৌসায় দুইপক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে চৌসার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
হুমায়ুন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
-
শের খানের জয়লাভের ফলে তাঁর রাজ্য পশ্চিমে কনৌজ থেকে পূর্বে আসাম ও চট্টগ্রাম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে বীরভূম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-
শেরখান পরে শেরশাহ উপাধি গ্রহণ করেন, নিজ নামে মুদ্রা প্রচলন এবং পাঠের নির্দেশ প্রদান করেন।
-
এই যুদ্ধে হুমায়ুনের পরাজয় মুঘলদের সামরিক ও কূটনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান কবে থেকে কার্যকর হয়?
Created: 1 month ago
A
২৬ মার্চ, ১৯৭২
B
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান (১৯৭২)
-
প্রণয়ন কমিটি গঠন: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল, ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠিত।
-
গৃহীত: ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে গণপরিষদে।
-
কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস)।
-
মূল লেখক: শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
অঙ্গসজ্জা: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
প্রচ্ছদ: শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
স্বাক্ষর: গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন, বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে।
-
বিরোধী দলের স্বাক্ষর: একমাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
0
Updated: 1 month ago