'হজরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব' বাক্যটি নিম্নোক্ত একটি শ্রেণির-
A
মিশ্র
B
জটিল
C
যৌগিক
D
সরল
উত্তরের বিবরণ
সরল বাক্য:
বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
যেমন:
- গণ্ডির বাইরে গেলেই বিষম বিপদ।
- শোনামাত্র তারা আনন্দে চিৎকার করে উঠল।
- পুকুরে পদ্মফুল জন্মে।
- তোমরা বাড়ি যাও।
- সত্যের পূজারি বলে তিনি জগতের সর্বত্র আদৃত।
তেমনিভাবে,
- হজরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
'যদি নিয়মিত সাঁতার কাটো, তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।' বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে রুপান্তর করলে কী হবে?
Created: 2 days ago
A
নিয়মিত সাঁতার কাটো স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো ।
B
নিয়মিত সাঁতার কাটলে, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
C
নিয়মিত সাঁতার কাটো, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
D
সাঁতার কাটলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
জটিল বাক্য থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
-
পদ্ধতি:
-
জটিল বাক্যের সাপেক্ষ সর্বনাম এবং সাপেক্ষ যোজক বাদ দিয়ে যৌগিক বাক্য তৈরি করতে হয়।
-
যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকতে হবে।
-
-
উদাহরণসমূহ:
-
জটিল বাক্য: যখন বিপদ আসে, তখন দুঃখও আসে।
-
যৌগিক বাক্য: বিপদ আসে এবং সঙ্গে দুঃখও আসে।
-
-
জটিল বাক্য: যদি নিয়মিত সাঁতার কাটো, তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
-
যৌগিক বাক্য: নিয়মিত সাঁতার কাটো, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
-
-

0
Updated: 2 days ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 2 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
'তিনি কথা বললেন না।'- বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
তিনি কথা বলতে চাইলেন না।
B
তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না।
C
তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন।
D
তিনি চুপ করে থাকলেন।
মূল বাক্য: তিনি কথা বললেন না।
প্রশ্ন: এর অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
এই বাক্যটি একটি নেতিবাচক বাক্য, যেখানে বোঝানো হয়েছে – তিনি কিছু বলেননি।
অস্তিবাচক রূপ মানে এমন একটি বাক্য তৈরি করা, যা ইতিবাচক শব্দে বলা হলেও মূল অর্থ একই থাকে—মানে, কথার অনুপস্থিতি বোঝাতে হবে।
এখন বিভিন্ন বিকল্প দেখা যাক:
ক) তিনি কথা বলতে চাইলেন না:
এখানে এখনও “চাইলেন না” – এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, তাই এটি সম্পূর্ণ অস্তিবাচক রূপ নয়।
খ) তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না:
এই বাক্যেও “পারলেন না” আছে, যেটা আবার নেতিবাচক, তাই এটিও সঠিক নয়।
গ) তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন:
এখানে বোঝানো হয়েছে, তিনি চেষ্টা করেছেন নীরব থাকার, কিন্তু এটি মূল বাক্যের সরল অর্থ (কথা না বলা) ঠিকভাবে প্রকাশ করে না।
✅ ঘ) তিনি চুপ করে থাকলেন:
এই বাক্যে কোনো নেতিবাচক শব্দ নেই, কিন্তু অর্থ ঠিকই বোঝায় – তিনি কিছু বলেননি।
এটাই হচ্ছে আসল অর্থের ইতিবাচকভাবে প্রকাশ – মানে সঠিক অস্তিবাচক রূপ।
ফলাফল:
✔ সঠিক উত্তর: "তিনি চুপ করে থাকলেন।"
কারণ এটি ইতিবাচক রূপে বলা হলেও মূল নেতিবাচক অর্থটি বজায় রেখেছে।
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago