A
লালন শাহ
B
সিরাজ সাঁই
C
মদন বাউল
D
পাগলা কানাই
উত্তরের বিবরণ
‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ — এই প্রসিদ্ধ গানটির রচয়িতা ছিলেন বাউল সম্রাট খ্যাত লালন শাহ্।
লালন শাহ্ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
লালন শাহ্ (১৭৭২-১৮৯০) বাউল সাধনার অন্যতম প্রধান গুরু এবং বাউল সঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা ও গায়ক হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা কার্তিকে (১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ) ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
মতান্তরে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে তাঁর জন্মসূত্র।
-
লালন শাহ্ জাতিভেদের ধার্মিক ও সামাজিক বিভাজনকে কখনো মানতেন না। তিনি একথা স্পষ্ট করেছিলেন তাঁর গানে:
‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,
লালন কয় জাতির কি রূপ দেখলাম না এ নজরে।’
অর্থাৎ, মানবজাতির মধ্যে জাতপাতের কোনো প্রকৃত বৈষম্য নেই।
লালন শাহ্ এর জনপ্রিয় অন্যান্য গানসমূহ:
-
‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’
-
‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’
-
‘মিলন হবে কত দিনে’
-
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’
-
‘তিন পাগলের মেলা’
-
‘সময় গেলে সাধন হবে না’
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
নীহাররঞ্জন রায়
B
আর সি মজুমদার
C
অধ্যাপক আব্দুল করিম
D
অধ্যাপক সুনীতিকুমার সেন
• 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক - নীহাররঞ্জন রায়।
নীহাররঞ্জন রায়:
- তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।
- মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- Maurya and Sunga Art,
- বাঙ্গালীর ইতিহাস,
- Nationalism in India,
- Idea and Image of Indian Art.
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:
- Mughal Court Painting,
- The Sikh Gurus and the Sikh Society,
- Dutch Activities in the East,
- An Approach to Indian Art.
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'সাম্য' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
"সাম্য’ গদ্যগ্রন্থ:
- 'সাম্য' (১৮৭৯) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গদ্যগ্রন্থ।
- 'বঙ্গদর্শনে' প্রকাশিত 'সাম্য' বিষয়ক তিনটি এবং 'বঙ্গদেশের কৃষক' প্রবন্ধের কিছু অংশ নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
- ইউরোপীয় সাম্যচিন্তার ধারার ইতিহাস এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে।
- এই গ্রন্থে বঙ্কিমচন্দ্রের সমাজ ও অর্থনৈতিক প্রগতিশীল চিন্তা প্রকাশিত।
উল্লেখ্য,
- ‘সম্যবাদী’ নামে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এবং ‘সাম্য’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কবিতা, তবে তা কোনো একক গ্রন্থ নয়।
----------------------------
• বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
- ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে।
- তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ললিতা তথা মানস’।
- তাঁর রচিত প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’।
• বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ত্রয়ী উপন্যাসগুলো হলো:
- আনন্দমঠ,
- দেবী চৌধুরানী ও
- সীতারাম উপন্যাস।
• তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলো হলো:
- কপালকুণ্ডলা,
- মৃণালিনী,
- বিষবৃক্ষ,
- ইন্দিরা,
- যুগলাঙ্গুরীয়,
- চন্দ্রশেখর,
- রাধারানী,
- রজনী,
- কৃষ্ণকান্তের উইল,
- রাজসিংহ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে রচনা করেন?
Created: 1 week ago
A
সুকুমার সেন
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
১৮৯৬ সালে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পায়। দীনেশচন্দ্র সেনের দীর্ঘ গবেষণার ফসল এই বইটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাসকে সুশৃঙ্খলভাবে তুলে ধরে।
তথ্য ও বিশ্লেষণের গুণে এটি এক যুগান্তকারী কাজ হিসেবে সমকালীন বিদ্বজ্জন মহলে, এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকেও, বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্চায় এই গ্রন্থের মাধ্যমে দীনেশচন্দ্র সেন পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন এবং একাধারে পান্ডিত্যের স্বীকৃতি লাভ করেন।
দীনেশচন্দ্র সেন
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬–১৯৩৯) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, খ্যাতনামা লোকসাহিত্য বিশারদ ও শিক্ষাবিদ। তাঁর জন্ম হয় ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে মাতুলালয়ে।
১৮৯৬ সাল তাঁর কর্মজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসে; পুথি সংগ্রহ ও পাঠচর্চার মধ্য দিয়ে তাঁর গবেষণার নবদিগন্ত সূচিত হয়। এই সময় তিনি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনিই প্রথম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং টানা বারো বছর অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে ১৯৩২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
গবেষক হিসেবে যেমন তিনি গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন সৃজনশীল লেখক হিসেবেও তাঁর অবস্থান অগ্রগণ্য। সাহিত্যের ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি, লোকসাহিত্য সম্পাদনা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ধারার ওপর তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
পাশাপাশি তিনি লিখেছেন কবিতা, উপন্যাস ও গল্পও। সব মিলিয়ে তাঁর রচিত গ্রন্থসংখ্যা ৬০টিরও অধিক। গবেষণা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯২১ সালে তিনি 'রায়বাহাদুর' উপাধিতে ভূষিত হন।
দীনেশচন্দ্র সেনের উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
History of Bengali Language and Literature
-
বাংলার পুরনারী
-
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান
-
হিন্দু সমাজ ও বৈষ্ণব ধর্ম
-
বীর কথা ও যুগসাহিত্য
-
রামায়ণী কথা
-
কৃত্তিবাসী রামায়ণ
তাছাড়া তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত লোকসাহিত্য সংকলন মৈমনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা, যা বাংলার লোকঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সমাদৃত।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago