বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মধ্যে?
A
আফগানিস্তান
B
বুরকিনা ফাসো
C
সিরিয়া
D
সোমালিয়া
উত্তরের বিবরণ
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক (Global Terrorism Index) ২০২৫ অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ঝুঁকির মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। এই সূচক অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক Institute for Economics & Peace (IEP) কর্তৃক মার্চ ২০২৫-এ প্রকাশিত রিপোর্ট Global Terrorism Index 2025: Measuring the Impact of Terrorism-এ তুলে ধরা হয়েছে।
-
বাংলাদেশের অবস্থান: বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশ ৩৫তম স্থানে রয়েছে।
-
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি দেশ (২০২৫):
-
প্রথম: বুরকিনা ফাসো
-
দ্বিতীয়: পাকিস্তান
-
তৃতীয়: সিরিয়া
-
চতুর্থ: মালি
-
পঞ্চম: নাইজার
-
0
Updated: 1 month ago
আফ্রিকা মহাদেশে মোট কয়টি দেশ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৪৮টি
B
৫০টি
C
৫২টি
D
৫৪টি
আফ্রিকা মহাদেশ
অবস্থান ও আয়তন:
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ।
মধ্যভাগ দিয়ে বিষুবরেখা (নিরক্ষরেখা) অতিক্রম করে।
আয়তন: ১১,৭২৪,০০০ বর্গ মাইল (৩০,৩৬৫,০০০ বর্গ কিমি)।
সীমান্ত:
উত্তর: ভূ-মধ্যসাগর
দক্ষিণ: দক্ষিণ মহাসাগর
পূর্ব: ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগর
পশ্চিম: আটলান্টিক মহাসাগর
দেশ ও আয়তন অনুযায়ী তথ্য:
আফ্রিকায় মোট ৫৪টি দেশ অবস্থিত।
আয়তনে সবচেয়ে বড় দেশ: আলজেরিয়া
আয়তনে সবচেয়ে ছোট দেশ: সিচেলিস
বিভিন্ন মহাদেশে দেশের সংখ্যা
মহাদেশ দেশের সংখ্যা
আফ্রিকা ৫৪
এশিয়া ৪৮
ইউরোপ ৪৪
উত্তর আমেরিকা ২৩
অস্ট্রেলিয়া/ওশেনিয়া ১৪
দক্ষিণ আমেরিকা ১২
তথ্যসূত্র: worldatlas.com
0
Updated: 1 month ago
জনসংখ্যার দিক থেকে আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নাইজেরিয়া
B
দক্ষিণ সুদান
C
সিচেলিস
D
আলজেরিয়া
সিচেলিস
-
অবস্থান: ভারত মহাসাগরে একটি দ্বীপরাষ্ট্র
-
আয়তন: ৪৫৭ বর্গকিলোমিটার
-
জনসংখ্যা: প্রায় ১ লক্ষ
-
রাজধানী: ভিক্টোরিয়া
-
আফ্রিকার তুলনায়:
-
আয়তনে বৃহত্তম দেশ: আলজেরিয়া
-
জনসংখ্যায় বৃহত্তম দেশ: নাইজেরিয়া
-
জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম দেশ: সিচেলিস
-
বৃহত্তম জিডিপি: নাইজেরিয়া
-
0
Updated: 1 month ago
লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল এশিয়াকে বিচ্চিন্ন করেছে কোন মহাদেশ থেকে?
Created: 12 hours ago
A
আফ্রিকা
B
ইউরোপ
C
অস্ট্রেলিয়া
D
কোনটিই নয়
লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল ভৌগোলিকভাবে এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এই দুই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জলপথের কারণে আফ্রিকা মহাদেশ এশিয়া থেকে আলাদা হয়েছে। প্রাচীনকালে এই স্থানটি দুই মহাদেশের সংযোগস্থল ছিল, কিন্তু সুয়েজখাল নির্মাণের পর এটি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• লোহিত সাগর (Red Sea) আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ ও এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মাঝখানে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিকভাবে দুই মহাদেশকে পৃথক করেছে। পশ্চিমে আফ্রিকার মিশর, সুদান ও ইরিত্রিয়া এবং পূর্বে এশিয়ার সৌদি আরব ও ইয়েমেনের সীমানা ঘিরে এই সাগর বিস্তৃত।
• সুয়েজখাল (Suez Canal) একটি মানবনির্মিত খাল যা মিশরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ১৮৬৯ সালে এটি নির্মিত হয় এবং এর মাধ্যমে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সমুদ্রপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। এই খালটি আফ্রিকা মহাদেশকে সম্পূর্ণভাবে এশিয়া থেকে আলাদা করেছে, কারণ এটি আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থান করে।
• লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল একত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার মধ্যে ভূগোলিক সীমারেখা (Geographical Boundary) তৈরি করেছে। এই সীমারেখার ফলে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে থাকা মিশর এখন ভৌগোলিকভাবে আফ্রিকার অংশ হলেও, সুয়েজখালের পূর্বাংশের সিনাই উপদ্বীপ এশিয়ার অন্তর্গত।
• ঐতিহাসিকভাবে, এই বিচ্ছিন্নতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুয়েজখাল নির্মাণের আগে ইউরোপ থেকে এশিয়া যেতে আফ্রিকার চারপাশ ঘুরে দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা করতে হতো। খালটি চালু হওয়ার পর ইউরোপ-এশিয়া বাণিজ্য সময় ও খরচ উভয় দিকেই অনেক সাশ্রয়ী হয়।
• লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল শুধু মহাদেশের বিভাজন নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক অর্থনীতিতে এক বিশাল ভূমিকা রাখে। এই পথ দিয়েই বিশ্বের একটি বড় অংশের তেল ও পণ্য পরিবহন হয়।
• তাই ভূগোল ও ইতিহাস—উভয় দিক থেকেই প্রমাণিত হয় যে, লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
অতএব সঠিক উত্তর ক) আফ্রিকা, কারণ লোহিত সাগর ও সুয়েজখালের অবস্থান এমন যে তারা স্বাভাবিক ও কৃত্রিম সীমারেখা তৈরি করে এশিয়া ও আফ্রিকাকে দুটি পৃথক মহাদেশে ভাগ করেছে।
0
Updated: 12 hours ago