A
তালিম হোসেন
B
ফররুখ আহমদ
C
গোলাম মোস্তফা
D
আবুল হোসেন
উত্তরের বিবরণ
'সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যটির রচয়িতা- 'ফররুখ আহমদ'
ফররুখ আহমদ বিংশ শতকের একজন খ্যাতিমান বাংলা কবি। তিনি ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক বাংলা কবিতায় ইসলামী ভাবধারা ও সমাজসচেতনতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ।
সাহিত্যিক খ্যাতি ও যাত্রা
◾ প্রথম খ্যাতি:
১৯৪৪ সালে কলকাতার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে রচিত তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘লাশ’ কবিকে জনপ্রিয়তার প্রথম শিখরে পৌঁছে দেয়।
◾ প্রথম প্রকাশিত কাব্য:
‘সাত সাগরের মাঝি’ ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁকে কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
কাব্যগ্রন্থ ও সাহিত্যকর্ম
উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
মুহূর্তের কবিতা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য)
-
হাতেমতায়ী (কাহিনিকাব্য)
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
বিশেষ কাব্য:
-
‘সিরাজাম মুনিরা’ — ফররুখ আহমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি ইসলামী ভাবনাচিন্তা ও রূপকথার সৃজনশীল সংমিশ্রণে রচিত।
শিশুতোষ সাহিত্য
শিশুদের জন্যও তিনি চমৎকার সব সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
B
নির্জন স্বাক্ষর
C
নিরালোকে দিব্যরথ
D
নির্বাণ
বাংলা কবিতার আধুনিক ধারায় যাঁরা গভীর প্রভাব ফেলেছেন, শামসুর রাহমান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য নাম।
কবি শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
নিরালোকে দিব্যরথ (প্রকাশকাল: ১৯৬৮)
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
নিজ বাসভূমে
-
বন্দী শিবির থেকে
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
-
আমি অনাহারী
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-
হরিণের হাড়
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন ইত্যাদি
📖 শামসুর রাহমানের উপন্যাসসমূহ:
-
অক্টোপাস
-
নিয়ত মন্তাজ
-
এলো সে অবেলায়
অন্যান্য সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনা:
-
সেলিনা হোসেন – বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক; তাঁর রচিত ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ একটি প্রভাবশালী উপন্যাস।
-
জীবনানন্দ দাশ – আধুনিক বাংলা কবিতার এক নিভৃতচারী কবি; তাঁর লেখা ‘নির্জন স্বাক্ষর’ একটি চমৎকার কবিতা যা কাব্যিক নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি বহন করে।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 weeks ago
'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 1 week ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জীবনানন্দ দাশ
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন: ‘সঞ্চিতা’
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে। এটি তাঁর কবিতা ও গানের একটি সংকলন, যাতে মোট ৭৮টি রচনা স্থান পেয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসর্গ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। নজরুলের কাব্যচর্চার বৈচিত্র্য, ভাবপ্রবাহ এবং ভাষার দ্যুতি অনুধাবনের জন্য ‘সঞ্চিতা’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ‘সঞ্চিতা’ কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ, আর ‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা সংকলন—যা অনেক সময় পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 1 month ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago