A
এস ওয়াজেদ আলী
B
এয়াকুব আলী চৌধুরী
C
মোঃ লুৎফর রহমান
D
মোঃ ওয়াজেদ আলী
উত্তরের বিবরণ
‘মানবজীবন', 'মহৎজীবন', 'উন্নতজীবন' -মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রচিত গ্রন্থ।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন মাগুরা জেলার পারনান্দুয়ালি গ্রামে। তিনি ডাক্তার হিসেবে পেশাগত জীবনে যুক্ত থাকলেও সাহিত্য ও সমাজসেবায় ছিলেন সমানভাবে সক্রিয়। সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ রচনার জন্য তিনি ‘ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান’ নামে সমধিক পরিচিত।
সমাজ সংস্কারে অবদান
-
১৯২২ সালে কলকাতায় পতিতা নারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি মানবিক সংগঠন — ‘নারীতীর্থ’।
-
এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন নারীশিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া (১৮৮০–১৯৩৬) এবং সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ লুৎফর রহমান নিজে।
-
‘নারীতীর্থ’-এর মুখপত্র হিসেবে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘নারীশক্তি’, যার প্রথম সংখ্যা বের হয় বাংলা ১৩২৯ সনে।
-
এ পত্রিকাটি মোট ছয়টি সংখ্যা প্রকাশ করে।
সাহিত্যকর্ম
জীবনমুখী রচনা:
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে একাধিক জীবনধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো—
-
মহৎ জীবন
-
মানবজীবন
-
সত্য জীবন
-
উচ্চ জীবন
-
ধর্ম জীবন
-
মহাজীবন
-
যুবকজীবন
উপন্যাস ও নৈতিক কাহিনি:
-
সরলা
-
পথহারা
-
রায়হান
-
প্রীতি-উপহার
-
বাসর-উপহার
শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা:
তরুণ প্রজন্মের চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে তিনি শিশুকিশোরদের উপযোগী বইও লিখেছেন, যেমন—
-
ছেলেদের মহত্ত্বকথা
-
ছেলেদের কারবালা
-
রানী হেলেন
তথ্যসূত্রঃ এই জীবনী ও গ্রন্থতালিকা সংকলিত হয়েছে বাংলাপিডিয়া-র তথ্যভাণ্ডার থেকে।

0
Updated: 1 month ago
'মধুর চেয়েও আছে মধুর সে আমার এই দেশের মাটি খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি'। - কবিতায় এই অংশ বিশেষের রচয়িতা-
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
C
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
D
নির্মলেন্দু গুণ
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি ও ছান্দসিক, যিনি ‘ছন্দের জাদুকর’ বা ‘ছন্দের রাজা’ নামে পরিচিত। তিনি ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্মে ছন্দের জাদু যেমন দৃশ্যমান, তেমনি তাঁর ছদ্মনাম যেমন নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ ও কলমগীর, এসব নামেও তিনি সাহিত্য জগতে সমাদৃত।
সাহিত্যকর্ম
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুচ্ছের মধ্যে রয়েছে —
সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, কুহু ও কেকা, তুলির লিখন, হোমশিখা, অভ্র-আবীর, হসন্তিকা, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতি ইত্যাদি।
এছাড়াও তিনি অনুবাদকাব্য রচনায়ও সমান দক্ষ ছিলেন, যার মধ্যে প্রধান দুটি হলো — তীর্থ রেণু ও মণি মঞ্জুষা।
কবিতা: খাঁটি সোনা
“মধুর চেয়ে আছে মধুর,
সে এই আমার দেশের মাটি।
আমার দেশের পথের ধূলা,
খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।”
এই কবিতার মাধ্যমে তিনি আমাদের দেশের মাটির প্রতি এক গভীর ভালোবাসা এবং গর্ব ব্যক্ত করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে দেশীয় মাটি এবং পথের ধূলা, যা সাধারণ চোখে অবমূল্যায়িত, তা হলো সোনার চেয়ে খাঁটি ও মূল্যবান।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
হিন্দী 'পদুমাবৎ' -এর অবলম্বনে 'পদ্মাবতী' কাব্যের রচয়িতা-
Created: 1 month ago
A
দৌলত উজীর বাহরাম খান
B
সৈয়দ সুলতান
C
আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D
আলাওল
পদ্মাবতী আলাওল রচিত একটি প্রখ্যাত প্রণয়কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
এই কাব্যটি ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরাকান রাজ্যের রাজা সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে। রাজ্যের মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে আলাওল এটি অনুবাদ করেন।
‘পদ্মাবতী’ কাব্য দুই পর্বে বিভক্ত:
-
প্রথম পর্বে চিতোরের রাজা রত্নসেন কীভাবে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করেন, তা বর্ণিত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি কীভাবে ব্যর্থভাবে পদ্মাবতীকে দখল করার চেষ্টা করেন, তার বর্ণনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের নাটক ‘পদ্মাবতী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও রচনা করেছিলেন, তবে সেটি আলাওলের কাব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলাওল ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর রচনায় ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও প্রণয়কাহিনির অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
বিখ্যাত রচনাসমূহ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'সিরাজুম মুনীরা' কাব্যের রচয়িতার নাম-
Created: 1 month ago
A
তালিম হোসেন
B
ফররুখ আহমদ
C
গোলাম মোস্তফা
D
আবুল হোসেন
'সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যটির রচয়িতা- 'ফররুখ আহমদ'
ফররুখ আহমদ বিংশ শতকের একজন খ্যাতিমান বাংলা কবি। তিনি ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক বাংলা কবিতায় ইসলামী ভাবধারা ও সমাজসচেতনতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ।
সাহিত্যিক খ্যাতি ও যাত্রা
◾ প্রথম খ্যাতি:
১৯৪৪ সালে কলকাতার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে রচিত তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘লাশ’ কবিকে জনপ্রিয়তার প্রথম শিখরে পৌঁছে দেয়।
◾ প্রথম প্রকাশিত কাব্য:
‘সাত সাগরের মাঝি’ ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁকে কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
কাব্যগ্রন্থ ও সাহিত্যকর্ম
উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
মুহূর্তের কবিতা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য)
-
হাতেমতায়ী (কাহিনিকাব্য)
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
বিশেষ কাব্য:
-
‘সিরাজাম মুনিরা’ — ফররুখ আহমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি ইসলামী ভাবনাচিন্তা ও রূপকথার সৃজনশীল সংমিশ্রণে রচিত।
শিশুতোষ সাহিত্য
শিশুদের জন্যও তিনি চমৎকার সব সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago