A
৪র্থ
B
৩য়
C
২য়
D
১ম
উত্তরের বিবরণ
ইলিশ উৎপাদন
-
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
-
আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হবে ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টন।
-
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়লেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে তা কমে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে দাঁড়ায়।
-
এভাবে ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন।
-
নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট

0
Updated: 9 hours ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 day ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 day ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 12 hours ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 12 hours ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
Created: 12 hours ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
C
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক। সৈয়দ হোসেন হাবসিকে পরাজিত করে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং "আলাউদ্দিন হুসেন শাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারের লোক। তাঁর শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত।
দক্ষ শাসনকর্ম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হতো। তাঁর সময়েই শ্রীচৈতন্য দেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করা হয়।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের কৃতিত্ব
অত্যুজ্জ্বল রাজত্বকাল
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে তাঁর রাজত্বকাল অন্যতম সেরা অধ্যায়। তাঁর শাসনামলে বাংলার সীমানা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
সামরিক সাফল্য
-
কামরূপ ও কামতা জয় করেন।
-
ঊড়িষ্যা ও ত্রিপুরার কিছু অংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
আরাকানিদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
প্রশাসনিক দক্ষতা
তিনি হাবসি দাসদের প্রভাবমুক্ত করে প্রশাসনকে সুসংগঠিত করেন।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতায় এসে অরাজকতা দূর করে দেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
বিদেশি আক্রমণ প্রতিরোধ
দিল্লীর লোদী সম্রাটদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাংলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেন।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন, যা সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা
হুসেন শাহ ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। তাঁর আমলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রূপ গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও পরাগল খানের মতো কবিরা কীর্তি গড়ে তোলেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 12 hours ago