'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
উত্তরের বিবরণ
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 4 months ago
“ডুমুরের ফুল” বাগ্ধারাটির অর্থ -
Created: 1 month ago
A
সুসময়ের বন্ধু
B
অদৃশ্য বস্তু
C
নাছোড়বান্দা
D
কূটবুদ্ধি
ডুমুরের ফুল:
বাগ্ধারার অর্থ হলো অদৃশ্য বস্তু।
-
উদাহরণ: তুমি দেখি একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছ!
অন্যান্য বাগ্ধারার উদাহরণ:
-
দুধের মাছি: সুসময়ের বন্ধু; সুযোগসন্ধানীরা সবসময় দুধের মাছির মতো ক্ষমতার আশপাশে ঘোরে।
-
চিনে জোঁক: নাছোড়বান্দা; লোকটি এ কাজ পাওয়ার জন্য একেবারে চিনে জোঁকের মতো লেগে আছে।
-
জিলাপির প্যাঁচ: কূটবুদ্ধি; বাইরে থেকে দেখতে সরল হলেও লোকটির অন্তরে জিলাপির প্যাঁচ।
0
Updated: 1 month ago
“মাথার উপরে আকাশ।” — এখানে ‘উপরে’ কোন ধরনের অনুসর্গ?
Created: 1 month ago
A
ক্রিয়াজাত অনুসর্গ
B
সাধারণ অনুসর্গ
C
অব্যয়সূচক অনুসর্গ
D
সম্বন্ধসূচক অনুসর্গ
সাধারণ অনুসর্গ:
-
যেসব অনুসর্গ ক্রিয়া ছাড়া অন্য শব্দ থেকে তৈরি হয়, সেগুলোকে সাধারণ অনুসর্গ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
উপরে: মাথার উপরে নীল আকাশ।
-
কাছে: কার কাছে গেলে জানা যাবে?
-
জন্যে: হারানো ঘড়িটার জন্য অনেক কেঁদেছি।
-
দ্বারা: এমন কাজ তোমার দ্বারা হবে না।
-
বনাম: আজ বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি বিভক্তি লোপ প্রাপ্ত তৎপুরুষ সমাস?
Created: 1 month ago
A
হাতে কাটা
B
তেলেভাজা
C
গরুরগাড়ি
D
ছেলে ভুলানো
অলুক তৎপুরুষ সমাস:
অলুক তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস যা সমস্যমান পদের বিভক্তি ও সন্নিহিত অনুসর্গ লোপ পেয়ে গঠিত হয়। এই সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
বিভক্তি লোপ প্রাপ্ত তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ:
-
দুঃখকে প্রাপ্ত → দুঃখপ্রাপ্ত
-
ছেলেকে ভুলানো → ছেলে-ভুলানো
-
মামার বাড়ি → মামাবাড়ি
-
ধানের খেত → ধানখেত
-
পথের রাজা → রাজপথ
-
গোলায় ভরা → গোলাভরা
-
গাছে পাকা → গাছপাকা
-
অকালে মৃত্যু → অকালমৃত্যু
0
Updated: 1 month ago