সিপাহী বিদ্রোহ
-
পলাশী যুদ্ধের একশ বছর পর ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে প্রধানত সিপাহীদের নেতৃত্বে যে ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহ সংঘটিত হয়, তাকেই ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়।
-
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, সামাজিকভাবে হেয় করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সৈনিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ—এসবই মহাবিদ্রোহ বা প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি তৈরি করে।
-
বিদ্রোহের সূচনা হয় পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে।
-
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ মঙ্গল পাণ্ডে নামে এক সিপাহী বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
দ্রুত এ বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে মিরাট, কানপুর, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, বাংলা প্রভৃতি অঞ্চলে।
-
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, কুমিল্লা, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী এ বিদ্রোহে অংশ নেয়।
-
বিদ্রোহীরা দিল্লি দখল করে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের বাদশাহ ঘোষণা করে।
উল্লেখযোগ্য দিক:
-
ইংরেজ গভর্নর জেনারেল লর্ড ক্যানিং সিপাহীদের এই বিদ্রোহ নিষ্ঠুরভাবে দমন করেন।
-
সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই শহিদ হন এবং অনেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিহত হন।
-
মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে (ইয়াঙ্গুন, মায়ানমার) নির্বাসিত করা হয়।
-
এভাবেই ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম নিষ্ঠুর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়