OPEC (Organization of the Petroleum Exporting Countries)

বাংলায় অর্থ: তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট।

প্রতিষ্ঠা:

• তারিখ: সেপ্টেম্বর, ১৯৬০

• স্থান: বাগদাদ, ইরাক

• প্রস্তাবক দেশ: ভেনেজুয়েলা

সদরদপ্তর: ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া

মূল উদ্দেশ্য:
OPEC-এর প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর পেট্রোলিয়াম নীতি নির্ধারণ ও সমন্বয় সাধন করা এবং বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল রাখা।

বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১২টি দেশ

সদস্য দেশসমূহ:

1. আলজেরিয়া

2. কঙ্গো

3. নিরক্ষীয় গিনি

4. গ্যাবন

5. ইরান

6. ইরাক

7. কুয়েত

8. লিবিয়া

9. নাইজেরিয়া

10. সৌদি আরব

11. সংযুক্ত আরব আমিরাত

12. ভেনেজুয়েলা

উৎস: OPEC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

OPEC-এর পূর্ণরূপ Organization of the Petroleum Exporting Countries, যা বিশ্বের প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো—

সদস্য দেশগুলোর পেট্রোলিয়াম নীতিমালা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা।

ওপেকের জন্ম ও ইতিহাস:

• ওপেক গঠনের পেছনে প্রধান উদ্যোগ ছিল ভেনেজুয়েলার।

• সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে, ইরাকের বাগদাদে।

• শুরুতে এর সদস্য ছিল ৫টি দেশ: ইরাক, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব ও ভেনেজুয়েলা।

বর্তমান চিত্র:

• বর্তমানে ওপেকের সদস্য সংখ্যা ১২টি।

• এর সদরদপ্তর অবস্থিত ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।

• বর্তমান সদস্য দেশগুলো হলো:

  • আলজেরিয়া, কঙ্গো, নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনেজুয়েলা।

গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন:

• ইন্দোনেশিয়া ২০০৮ সালে সংস্থাটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।

• কাতার ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ওপেক ত্যাগ করে।

• ইকুয়েডর ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সদস্যপদ ছেড়ে দেয়।

• অ্যাঙ্গোলা, যেটি আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ওপেক থেকে বেরিয়ে আসে।

তথ্যসূত্র: OPEC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।