A
লর্ড কার্জন
B
রাজা পঞ্চম জর্জ
C
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
D
লর্ড ওয়াভেল
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গভঙ্গ
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা করে এবং ১৫ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হয়।
-
এটি ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা এটি আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করলেও হিন্দু জনগণ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, এটিকে মেনে নিতে চায়নি।
-
হিন্দু নেতারা নানা ধরনের প্রতিরোধ শুরু করলে আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে।
-
এ চাপের কারণে ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয়ে বঙ্গভঙ্গ রদ করে এবং পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে পুনরায় একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ
-
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লিতে অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
পূর্ববঙ্গ পুনরায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের প্রভাব
-
হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কে সমতা নষ্ট হয় এবং সাম্প্রদায়িক চেতনা বৃদ্ধি পায়।
-
ধর্মকেন্দ্রিক জাতীয়তার বীজ জন্মায়।
-
মুসলমানদের রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ে এবং তারা বুঝতে পারে যে তাদের উন্নতি ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের পথই গ্রহণযোগ্য।
-
মুসলমানরা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 12 hours ago
বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় স্থলবন্দর-
Created: 1 week ago
A
পেট্রাপোল
B
কৃষ্ণনগর
C
ডাউকি
D
মোহাদিপুর
বেনাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দর
বেনাপোল স্থলবন্দর:
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর।
-
অবস্থিত যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্তে।
-
বিস্তৃত এলাকা: ৮৬.৬৮ একর।
-
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর এর সঙ্গে সংযুক্ত।
-
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মহত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কেন্দ্র।
-
দেশের স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এই বন্দরের মাধ্যমে হয়।
-
এছাড়া, তল্লাশী ও আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও সংলগ্ন ভারতের বন্দর:
বাংলাদেশের বন্দর | অবস্থান | সংলগ্ন ভারতীয় বন্দর |
---|---|---|
দর্শনা | চুয়াডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ) |
তামাবিল | সিলেট | ডাউকি (মেঘালয়) |
সোনা মসজিদ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মোহাদিপুর (পশ্চিমবঙ্গ) |
বিভিন্ন স্থলবন্দর ও তাদের অবস্থান:
-
বেনাপোল: শার্শা, যশোর
-
বুড়িমারী: পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
-
আখাউড়া: আখাউড়া, বাহ্মনবাড়িয়া
-
নাকুগাঁও: নালিতাবাড়ী, শেরপুর
-
তামাবিল: গোয়াইনঘাট, সিলেট
-
সোনাহাট: ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
-
দর্শনা: দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা
-
বিলোনিয়া: বিলোনিয়া, ফেনী
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
যুক্তরাজ্য
B
পূর্ব জার্মানি
C
স্পেন
D
গ্রিস
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত।
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন বুলগেরিয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১২ জানুয়ারি ১৯৭২: পোল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়।
-
১২ মে ১৯৭২: স্পেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, নিউইয়র্ক টাইমস

0
Updated: 2 weeks ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯০৫ সালে
B
১৯১৬ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯১১ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেয় এবং এটি কার্যকর হয় সেই বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে। এটি উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ধারায় এক স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলাকে দুটি প্রশাসনিক ভাগে বিভক্ত করা হয় — পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ। পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মুসলমান জনগণ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় এবং এটিকে আশীর্বাদ হিসেবেই বিবেচনা করে। তবে অপরদিকে, হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা এই বিভাজনের বিরোধিতা করে কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
তারা নানা প্রতিবাদ, ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একসময় তাদের আন্দোলন সহিংস রূপও ধারণ করে।
এই তীব্র বিরোধিতার মুখে ব্রিটিশ সরকার শেষমেশ বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয় এবং পূর্ববঙ্গকে পুনরায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একত্রিত করে। এই ঘটনাকেই বঙ্গভঙ্গ রদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে পঞ্চম জর্জের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা আসে। এর মাধ্যমে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় একত্র করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের পরিণতি
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলশ্রুতিতে উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পায় এবং আলাদা জাতীয়তার ধারণা আরও জোরালো হয়।
বিশেষত মুসলমান সমাজে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠনের চেতনা জাগ্রত হয়। তারা উপলব্ধি করে যে কেবল আপসের নীতি দিয়ে নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব। ফলে, মুসলমানরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago