বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা কে?
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
মােহাম্মদউল্লাহ
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
উত্তরের বিবরণ
সংসদ নেতা
-
সংসদ নেতা হলেন শাসক দলের প্রতিনিধি, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় করেন।
-
সংসদ নেতা ও উপনেতা নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে।
-
বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীই জাতীয় সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংসদ নেতা আইন প্রণয়নে নেতৃত্ব দেন এবং রাষ্ট্রপতি তার পরামর্শে সংসদ অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত বা ভঙ্গ করতে পারেন।
-
বর্তমানে সংসদ নেতার কার্যালয় অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
-
বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সংপর্কিত তথ্য:
-
জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার: মোহাম্মদ উল্লাহ।
-
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ।
-
মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ সংবিধান; পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণী; mujib100.gov.bd
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে-
Created: 2 months ago
A
চীন
B
ভারত
C
যুক্তরাজ্য
D
থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করা হয়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ চীনের পণ্য সবচেয়ে বেশি কিনছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশভিত্তিক আমদানি (মিলিয়ন ডলার):
-
চীন: ১২,৫৫৩ (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ (৪.৫১%)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চীন থেকে, এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
-
আমদানিতে ট্যারিফের ছয়টি ধাপ আছে; সর্বোচ্চ শুল্কহার ২৫%।
-
EU-ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।
তথ্যসূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৪
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 3 months ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশ সরকার কোন খাত থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে?
Created: 1 month ago
A
আয়কর
B
ভূমিকর
C
আমদানি-রপ্তানি শুল্ক
D
মূল্য সংযােজন কর
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসগুলো বিভিন্ন ধরনের কর ও শুল্কের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। এই আয় সরকারকে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনসেবায় ব্যবহার করতে সহায়তা করে। প্রধান বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
-
মূ্ল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হলো বাংলাদেশের সরকারের আয়ের সবচেয়ে বড় খাত।
-
বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাট (VAT – Value Added Tax) চালু হয় ১ জুলাই, ১৯৯১ সালে।
-
ভ্যাট বা মূসক একটি পরোক্ষ কর, যা পণ্য ও সেবার ক্রয়ের সময় গ্রাহক থেকে আদায় করা হয়।
-
ভ্যাট থেকে সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় সংগৃহীত হয়।
-
দ্বিতীয় প্রধান রাজস্ব উৎস হলো আয়কর, যা সরাসরি নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের আয় থেকে আদায় করা হয়।
-
তৃতীয় প্রধান উৎস হলো সম্পূরক শুল্ক।
-
চতুর্থ প্রধান উৎস হলো আমদানি শুল্ক, যা বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত হয়।
0
Updated: 1 month ago