ঢাকা শহরের গােড়াপত্তন হয়-
A
ব্রিটিশ আমলে
B
সুলতানি আমলে
C
মুঘল আমলে
D
স্বাধীন নবাবী আমলে
উত্তরের বিবরণ
ঢাকার প্রসিদ্ধি মুঘল যুগে
ঢাকা, যা মুঘল-পূর্ব যুগে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ইতিহাসে সত্যিকারভাবে খ্যাতি অর্জন করে মূলত মুঘল শাসনকালেই।
-
আকবরের সময়ে লেখা "আইন-ই-আকবরী" গ্রন্থে ঢাকা উল্লেখ করা হয় একটি সামরিক ফাঁড়ি (থানা) হিসেবে, এবং বাজু সরকার বা বাজুহার নামক একটি পরগনারূপে।
-
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি বাংলার প্রশাসনিক রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে শহরটির নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর।
-
তবে সাধারণ মানুষ এবং বিদেশি পর্যটকরা শহরটিকে বরাবরই ঢাকা নামেই চেনেছেন।
-
ঢাকার অর্থনৈতিক ও স্থাপত্যিক সমৃদ্ধি মূলত মুঘল যুগে শুরু হয়, যা আজও শহরের ঐতিহ্যের অংশ।
তথ্যসূত্র: ঢাকা জেলা ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র?
Created: 1 month ago
A
ধীরে বহে মেঘনা
B
কলমিলতা
C
আবার তােরা মানুষ হ
D
হুলিয়া
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো বাংলা সিনেমায় যুদ্ধ ও তার প্রভাবকে জীবন্তভাবে তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয়, এবং মানুষের মানসিক যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ভেতরের নানামাত্রিক ঘটনা ও চরিত্রের আবেগকে বিভিন্ন পরিচালক তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
হুলিয়া: এটি নির্মাণ করেছেন তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ষাটের দশকে প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে লেখা নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অনুযায়ী নির্মিত। গল্পে হুলিয়া বুকে নিয়ে ঘরছাড়া এক তরুণের জীবনকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে ধরা হয়েছে।
-
ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩): মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির। গল্পে ভারতীয় মেয়ে অনিতার প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয় এবং অনিতা ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে গভীরভাবে মর্মাহত হয়। এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটিতে গান রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর কণ্ঠে।
-
তোরা মানুষ হ (১৯৭৩): পরিচালক খান আতাউর রহমান। এই চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। চরিত্র হিসেবে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিল প্রমুখ। গল্পে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা তুলে ধরা হয়েছে।
-
কলমীলতা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক শহীদুল হক খান।
0
Updated: 1 month ago
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন] যে বিভাগে সাক্ষরতার হার সর্বাধিক-
Created: 2 months ago
A
ঢাকা বিভাগ
B
রাজশাহী বিভাগ
C
বরিশাল বিভাগ
D
খুলনা বিভাগ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার
-
পরিচালক সংস্থা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)
-
শুমারির সময়কাল: ১৫–২১ জুন ২০২২
-
বিশেষত্ব: এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি
-
দেশের সামগ্রিক তথ্য:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১,১১৯ জন/বর্গকিমি
-
৭ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%
-
পুরুষ: ৭৬.৭১%
-
মহিলা: ৭২.৯৪%
-
-
-
বিভাগ অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: ঢাকা বিভাগ – ৭৮.২৪%
-
সর্বনিম্ন: ময়মনসিংহ বিভাগ – ৬৭.২৩%
-
-
জেলা অনুযায়ী:
-
সর্বোচ্চ: পিরোজপুর – ৮৫.৫৩%
-
সর্বনিম্ন: জামালপুর – ৬১.৭০%
-
উৎস: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে-
Created: 2 months ago
A
চীন
B
ভারত
C
যুক্তরাজ্য
D
থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করা হয়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ চীনের পণ্য সবচেয়ে বেশি কিনছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশভিত্তিক আমদানি (মিলিয়ন ডলার):
-
চীন: ১২,৫৫৩ (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ (৪.৫১%)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চীন থেকে, এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
-
আমদানিতে ট্যারিফের ছয়টি ধাপ আছে; সর্বোচ্চ শুল্কহার ২৫%।
-
EU-ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।
তথ্যসূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৪
0
Updated: 2 months ago