অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়?
A
অশােক
B
শশাঙ্ক
C
মেগদা
D
ধর্মপাল
উত্তরের বিবরণ
শশাঙ্ক
-
শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম সার্বভৌম (স্বাধীন) রাজা।
-
আনুমানিক ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৌড়ে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তার রাজ্য ‘গৌড়রাজ্য’ মূলত বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং মগধ অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল।
-
রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল, যা বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থেকে প্রায় ১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে রাঙ্গামাটি এলাকায় অবস্থিত।
-
শশাঙ্ক সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুগত ছিলেন।
-
তিনি তার শাসনকালে গৌড় রাজ্যকে বিহার ও উড়িষ্যা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছিলেন।
-
উত্তর ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হর্ষবর্ধন।
টিপ: অশোক ছিলেন সম্রাট, রাজা নন। অর্থাৎ, একটি সম্রাজ্যের মধ্যে অনেক রাজ্য থাকতে পারে এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসককে ‘রাজা’ বলা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা কার কর্তৃত্বে প্রযুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
মন্ত্রী
D
সচিব
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা
অনুচ্ছেদ ৫৫: মন্ত্রিসভা
-
বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকবে, যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ও তিনি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।
-
প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বা তাঁর নির্দেশে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
-
মন্ত্রিসভা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
-
সরকারের সব নির্বাহী কাজ রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত বলে গণ্য হবে।
-
রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশ বা চুক্তি কীভাবে স্বাক্ষরিত বা সত্যায়িত হবে, তা রাষ্ট্রপতি নিজেই বিধি দ্বারা নির্ধারণ করবেন। এসব আদেশ বা চুক্তি আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না, যদি তা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হয়।
-
রাষ্ট্রপতি সরকারি কাজের বিভাগ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করবেন।
তথ্যসূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দীন আহমেদ
D
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ “প্রথম” এবং মুজিব নগর সরকারের তথ্যগুলো নিম্নরূপ তুলে ধরা যায়। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংক্রান্ত, সামরিক ও সামাজিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
• বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
• বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি ছিলেন মুসা ইব্রাহিম (২৩ মে ২০১০)।
• প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেছেন নিশাত মজুমদার।
• দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।
• প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ এজেন্সি ছিল বিডিনিউজ।
• প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
• প্রথম এটিএম কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
• দেশের প্রথম আদম শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।
মুজিব নগর সরকার সম্পর্কিত তথ্য:
• গঠিত হয়: ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
• শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
• সদর দপ্তর: ৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
• সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য গঠন করা হয় ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল।
• মোট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ: ১২টি মন্ত্রণালয় এবং ৩টি বিভাগ।
• শপথ পাঠ করান: অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
মুজিব নগর সরকারের প্রধান ব্যক্তিবর্গ:
• প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• উপ-রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
• প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ।
• পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
• অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়: এম. মনসুর আলী।
• স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
• মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি: এম.এ.জি ওসমানী।
• চিফ অব স্টাফ: কর্নেল আবদুর রব।
0
Updated: 3 weeks ago
“মাৎস্যন্যায়” বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
৫ম-৬ষ্ঠ শতক
B
৬ষ্ঠ-৭ম শতক
C
৭ম-৮ম শতক
D
৮ম-৯ম শতক
যখন দেশে আইনকানুন কার্যকর থাকে না বা শাসনক্ষমতা ভেঙে পড়ে, তখন অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে “মাৎস্যন্যায়” বলা হয়। এর মানে হলো— যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, তেমনি শক্তিশালী দুর্বলকে দমন করে আইনহীনতা চালিয়ে যায়।
মাৎস্যন্যায়ের সময়কাল
বাংলার ইতিহাসে ৭ম থেকে ৮ম শতক ছিল চরম নৈরাজ্যের সময়। এই অরাজক পরিস্থিতি ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
শশাঙ্ক-পরবর্তী অরাজকতা
গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় কেন্দ্রীয় শাসন ভেঙে পড়ে। এর ফলে অশান্তি, লড়াই-ঝগড়া আর হানাহানি শুরু হয়, যা কয়েক শতাব্দী ধরে চলতে থাকে।
গোপালের আবির্ভাব
এই নৈরাজ্য দূর করে গোপাল নামের এক নেতা বাংলায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁকে জনগণ রাজা হিসেবে বেছে নেয়। এর মাধ্যমে পাল বংশের সূচনা হয় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
পাল রাজবংশের শাসন
গোপালের প্রতিষ্ঠিত পাল রাজবংশ প্রায় চারশ বছর বাংলা ও বিহার অঞ্চলে শাসন করেছে (অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে)। এই দীর্ঘ শাসনামলে দেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।
প্রখ্যাত পাল রাজারা
পাল বংশের মধ্যে ধর্মপাল, দেবপাল ও মহিপালের নাম সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago