অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়?
A
অশােক
B
শশাঙ্ক
C
মেগদা
D
ধর্মপাল
উত্তরের বিবরণ
শশাঙ্ক
-
শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম সার্বভৌম (স্বাধীন) রাজা।
-
আনুমানিক ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৌড়ে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তার রাজ্য ‘গৌড়রাজ্য’ মূলত বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং মগধ অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল।
-
রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল, যা বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থেকে প্রায় ১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে রাঙ্গামাটি এলাকায় অবস্থিত।
-
শশাঙ্ক সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুগত ছিলেন।
-
তিনি তার শাসনকালে গৌড় রাজ্যকে বিহার ও উড়িষ্যা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছিলেন।
-
উত্তর ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হর্ষবর্ধন।
টিপ: অশোক ছিলেন সম্রাট, রাজা নন। অর্থাৎ, একটি সম্রাজ্যের মধ্যে অনেক রাজ্য থাকতে পারে এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসককে ‘রাজা’ বলা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
ইউরিয়া সারের কাঁচামাল কী?
Created: 3 weeks ago
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
চুনাপাথর
C
মিথেন গ্যাস
D
ইলমেনাইট
প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত মিথেন দিয়ে গঠিত হলেও, এতে অন্যান্য উপাদান যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন, এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও উপস্থিত থাকে।
ইউরিয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রধান কাঁচামাল (Raw Material) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
বাংলাদেশে ৭টি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
-
ইউরিয়া উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত মিথেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড, উভয়ই প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান।
-
মিথেন ছাড়া অন্যান্য উপাদানও ইউরিয়া সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তাই কাঁচামাল হিসেবে ‘প্রাকৃতিক গ্যাস’ সবচেয়ে সঠিক উত্তর।
-
যদি অপশনে প্রাকৃতিক গ্যাস না থাকে, তখন মিথেন উত্তর হিসেবে নেওয়া যায়।
0
Updated: 3 weeks ago
বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোন ফসলের চাষ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ভূট্টা
B
পাট
C
ধান
D
গোল আলু
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে গত ৫০ বছরে ভুট্টা চাষের বৃদ্ধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার পর থেকে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, পাট ও আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলকভাবে ভুট্টার উৎপাদন ও চাষাবাদের হার বহুগুণ বেড়েছে।
ভুট্টা উৎপাদন:
-
বিগত ৫০ বছরে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে ভুট্টা (মেইজ) চাষে।
-
১৯৭১ সালে দেশের ভুট্টা উৎপাদন ছিল মাত্র ২,০০০ মেট্রিক টন, আর চাষের পরিমাণ ছিল ২,৬৫৪ হেক্টর।
-
২০১৯–২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১,৬৫,৫১০ হেক্টর।
-
প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়েছে ০.৮৫ টন থেকে ৬.১৫ টনে।
-
ধান, পাট ও আলুর উৎপাদনও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে ভুট্টার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) অনুসারে:
-
স্বাধীনতার পর থেকে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ।
-
গমের উৎপাদন বেড়েছে দুইগুণ।
-
ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
-
সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি:
-
ধান: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৯.৬৭ মিলিয়ন টন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৭০ মিলিয়ন টনে।
-
পাট: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বেল এবং চাষের পরিমাণ ৮,০০,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়ন বেল, চাষের পরিমাণ ৮২০,০০০ হেক্টর, প্রতি হেক্টরে ফলনও সামান্য বেড়েছে।
-
গোল আলু: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ ৮৫,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৯ লাখ মেট্রিক টনে, চাষের পরিমাণ হয়েছে ১,২০,০০০ হেক্টর এবং প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়ে হয়েছে ৭.৪ টন।
0
Updated: 1 month ago
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
Created: 1 month ago
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫
0
Updated: 1 month ago