A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 12 hours ago
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান- [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 9 hours ago
A
৪র্থ
B
৩য়
C
২য়
D
১ম
ইলিশ উৎপাদন
-
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
-
আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হবে ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টন।
-
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়লেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে তা কমে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে দাঁড়ায়।
-
এভাবে ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন।
-
নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট

0
Updated: 9 hours ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 day ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 day ago
‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই-২০২৫)’ অনুযায়ী, সবচেয়ে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য রয়েছে কোন বিভাগে?
Created: 1 day ago
A
রংপুর
B
বরিশাল
C
সিলেট
D
খুলনা
জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (MPI) – বাংলাদেশ, ২০২৫
-
প্রকাশের তারিখ: ৩১ জুলাই ২০২৫
-
প্রকাশকারী: পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (GDI)
-
বৈশিষ্ট্য:
-
দেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক।
-
ব্যক্তির আয়-রোজগারের উপর নয়, বিভিন্ন সেবার প্রাপ্যতার ভিত্তিতে দারিদ্র্য নির্ধারণ করা হয়।
-
-
মোট সূচক: ১১টি
-
বিদ্যুতের প্রাপ্যতা
-
স্যানিটেশন
-
পানির প্রাপ্যতা
-
আবাসনের মান
-
রান্নার জ্বালানির প্রাপ্যতা
-
সম্পদের প্রাপ্যতা
-
ইন্টারনেট সংযোগ
-
বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার
-
শিশুদের শিক্ষাকালের ব্যাপ্তি
-
পুষ্টি
-
প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা
-
-
তথ্যসূত্র:
-
২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ (HIES)
-
২০১৯ সালের বহু সূচকবিশিষ্ট গুচ্ছ জরিপ (MICS)
-
-
প্রধান ফলাফল:
-
দেশের ২৪.৫% মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে রয়েছে (~৩ কোটি ৯৮ লাখ মানুষ)।
-
গ্রামীণ এলাকা: ২৬.৯৬%
-
শহরাঞ্চল: ১৩.৪৮%
-
অঞ্চলভিত্তিক:
-
সর্বোচ্চ: সিলেট বিভাগ (৩৭.৭০%)
-
সর্বনিম্ন: খুলনা বিভাগ
-
-
জেলা ভিত্তিক:
-
সর্বোচ্চ: বান্দরবান (৬৫.৩৬%)
-
সর্বনিম্ন: ঝিনাইদহ (৮.৬৬%)
-
-
উৎস: প্রথম আলো [link]

0
Updated: 1 day ago