কোন উপজাতিটির আবাসস্থল “বিরিশিরি” নেত্রকোনায়?
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
খাসিয়া
D
মুরং
উত্তরের বিবরণ
‘গারো’ উপজাতি
-
প্রধান নিবাস: বাংলাদেশের গারো উপজাতি মূলত ময়মনসিংহ জেলার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
অন্যান্য জেলা: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে কিছু গারো উপজাতি দেখা যায়।
-
প্রধান উপজেলাগুলি:
-
ময়মনসিংহ: হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া
-
নেত্রকোনা: দুর্গাপুর, কলমাকান্দা
-
শেরপুর: নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী
-
টাঙ্গাইল: মধুপুর
-
-
বিশেষ কেন্দ্র: নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকায় গারোদের সংখ্যা বেশি এবং তারা সেখানে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ধর্ম: ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ‘সাংসারেক’, কিছু গারো খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে।
-
প্রধান দেবতা: তাতারা রাবুগা
-
উৎসব: ওয়ানগালা
-
ভাষা: মান্দি
-
পরিবার ব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
দক্ষিণ এশিয়ার কততম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ 'UN Water Convention'- এ যুক্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১ম
B
২য়
C
৩য়
D
৪র্থ
UN Water Convention এবং বাংলাদেশ
-
যোগদান: ২০২৫ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে UN Water Convention-এ যোগ দিয়েছে।
-
বিশেষত্ব: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হলো।
-
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৯২ সালে প্রণীত জাতিসংঘ পানি কনভেনশন (Convention on the Protection and Use of Transboundary Watercourses and International Lakes) আন্তর্জাতিকভাবে সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় কাঠামো প্রদান করে।
-
২০০০ সালে এটি কার্যকর হয়।
-
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে এই কনভেনশনের সঙ্গে যুক্ত।
-
২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
-
-
মূল উদ্দেশ্য:
-
সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের যৌথ ব্যবস্থাপনা।
-
পানির ন্যায্য ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
-
0
Updated: 1 month ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
সংশপ্তক:
- মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’।
- মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় বাঙালির বীরত্বগাথার স্মারক এই ভাস্কর্য।।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থান।
- চার স্তরের লাল সিরামিক ইটের বেদির ওপর ব্রোঞ্জের তৈরি ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৫ ফুট।
- ২৬ মার্চ, ১৯৯০ সালে ভাস্কর্য স্থাপিত হয়।
- এর ভাস্কর স্থপতি হামিদুজ্জামান খান।
- ভাস্কর্যটিতে মূর্ত হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত ও এক পা হারিয়েও বন্দুক হাতে লড়ে যাওয়া এক বীরের প্রতিকৃতি। যিনি পঙ্গুত্ববরণ করেও নির্ভীক এবং যুদ্ধে জয়লাভে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
0
Updated: 1 month ago
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শশাঙ্ক
B
মুর্শিদ কুলি খান
C
সিরাজউদ্দৌলা
D
আব্বাস আলী মীর্জা
বাংলার ইতিহাসে নবাবী আমল শুরু হয় ১৭০৭ সালে, যখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই নবাবী আমলের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে, যেখানে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।
এর পর থেকেই বাংলায় ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, তবে সুলতানী আমলের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদকুলি খান (১৭০৭ সালে শাসন শুরু)
-
শেষ স্বাধীন নবাব: সিরাজউদ্দৌলা (পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৫৭ সালে পরাজিত)
-
নবাবী আমলের সমাপ্তির পর: ইংরেজ উপনিবেশিক যুগের সূচনা
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
-
সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
0
Updated: 1 month ago