কোন উপজাতিটির আবাসস্থল “বিরিশিরি” নেত্রকোনায়?
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
খাসিয়া
D
মুরং
উত্তরের বিবরণ
‘গারো’ উপজাতি
-
প্রধান নিবাস: বাংলাদেশের গারো উপজাতি মূলত ময়মনসিংহ জেলার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
অন্যান্য জেলা: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে কিছু গারো উপজাতি দেখা যায়।
-
প্রধান উপজেলাগুলি:
-
ময়মনসিংহ: হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া
-
নেত্রকোনা: দুর্গাপুর, কলমাকান্দা
-
শেরপুর: নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী
-
টাঙ্গাইল: মধুপুর
-
-
বিশেষ কেন্দ্র: নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকায় গারোদের সংখ্যা বেশি এবং তারা সেখানে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ধর্ম: ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ‘সাংসারেক’, কিছু গারো খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে।
-
প্রধান দেবতা: তাতারা রাবুগা
-
উৎসব: ওয়ানগালা
-
ভাষা: মান্দি
-
পরিবার ব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শশাঙ্ক
B
মুর্শিদ কুলি খান
C
সিরাজউদ্দৌলা
D
আব্বাস আলী মীর্জা
বাংলার ইতিহাসে নবাবী আমল শুরু হয় ১৭০৭ সালে, যখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই নবাবী আমলের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে, যেখানে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।
এর পর থেকেই বাংলায় ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, তবে সুলতানী আমলের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদকুলি খান (১৭০৭ সালে শাসন শুরু)
-
শেষ স্বাধীন নবাব: সিরাজউদ্দৌলা (পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৫৭ সালে পরাজিত)
-
নবাবী আমলের সমাপ্তির পর: ইংরেজ উপনিবেশিক যুগের সূচনা
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
-
সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে?
Created: 1 month ago
A
রেহানা পারভীন
B
ফারহানা হোসেন
C
আফরোজা রহমান
D
নাজমা আক্তার
নারী শিক্ষা সচিব:
- বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেহানা পারভীন।
- তিনি ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- এর আগে তিনি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা।
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে দুটি বিভাগে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে সাতজন সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তাদের কেউই নারী ছিলেন না।
- রেহানা পারভীনের নিয়োগের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো।
0
Updated: 1 month ago
মারি চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
মারি চুক্তি (১৯৫৫)
-
প্রেক্ষাপট:
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
এই অধিবেশনে পাকিস্তানের সব প্রদেশের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্ট, সংবিধান সংক্রান্ত আপোস চুক্তি সম্পাদন করেন।
-
-
চুক্তির খসড়া:
-
চুক্তি ‘মারি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
-
এতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় অঞ্চলের সংসদ সদস্য একমত হন।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন: এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান, মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
-
চুক্তির পরবর্তী ঘটনা:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক।
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
-
প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের সব প্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) সংগ্রামের নোটবুক
iii) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
0
Updated: 1 month ago