সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে কোন তফসিলের অপব্যবহার করা হয়?
A
৪র্থ তফসিল
B
৫ম তফসিল
C
৬ষ্ঠ তফসিল
D
৭ম তফসিল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ৪র্থ তফসিল ও সামরিক শাসন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের আইনের কাঠামোতে মোট সাতটি তফসিল রয়েছে। তবে, ইতিহাসে দেখা যায় সামরিক শাসনের সময় চতুর্থ তফসিলকে ভুলভাবে ব্যবহার করে সংবিধানের চেতনার বিপরীতে আইনকে বৈধ করা হয়েছে।
এটি মূলত সাময়িক বা ক্রান্তিকালীন বিধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা সংবিধানের মূল নীতির সঙ্গে মিল খায়নি।
বাংলাদেশের সংবিধানের সাতটি তফসিল:
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন।
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা।
-
চতুর্থ তফসিল: ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধান।
-
পঞ্চম তফসিল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ।
-
ষষ্ঠ তফসিল: বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
সপ্তম তফসিল: মুজিবনগর সরকার জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বাক্যাংশটি কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল?
Created: 2 weeks ago
A
পঞ্চম সংশোধনী
B
চতুর্থ সংশোধনী
C
সপ্তম সংশোধনী
D
ষষ্ঠ সংশোধনী
বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাসে পঞ্চম সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক মোড়বদলের নির্দেশক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আদর্শ, জাতীয় পরিচয় ও ধর্মীয় উপাদানে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
সংশোধনীটি ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়।
-
এই আইনের মাধ্যমে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে পরিবর্তন আনা হয়।
-
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনকালীন সময়ে জারি করা সমস্ত সামরিক বিধান, সংবিধান সংশোধন ও অধ্যাদেশকে বৈধতা প্রদান করা হয়।
-
এই সংশোধনীর ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে **‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’**কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যা জাতীয় পরিচয়ের ভাষাগত ভিত্তি থেকে ভূখণ্ড ও রাষ্ট্রভিত্তিক পরিচয়ে রূপান্তর ঘটায়।
0
Updated: 2 weeks ago
'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী'-সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে?
Created: 3 months ago
A
২৭
B
২৮
C
৩০
D
৪৭
অনুচ্ছেদ - ২৭: আইনের দৃষ্টিতে সমতা-
- সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
-----------------
• সংবিধানে মৌলিক অধিকার:
- বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকারসমূহ সন্নিবেশিত রয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
অন্যদিকে,
- অনুচ্ছেদ ২১ - নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য।
- অনুচ্ছেদ ২২ - নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
- অনুচ্ছেদ ২৪ - জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি।
- অনুচ্ছেদ ২৫ - আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।
- অনুচ্ছেদ ২৬ - মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল।
- অনুচ্ছেদ ২৮ - ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য।
- অনুচ্ছেদ ২৯ - সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা।
- অনুচ্ছেদ ৩০ - বিদেশী, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ।
- অনুচ্ছেদে ৪৭ - কতিপয় আইনের হেফাজত বিষয়ে আইন বর্ণিত হয়েছে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago