A
খাগড়াছড়ি জেলায়
B
রাঙ্গামাটি জেলায়
C
বান্দরবান জেলায়
D
কক্সবাজার জেলায়
উত্তরের বিবরণ
আলুটিলা গুহা (খাগড়াছড়ি)
অবস্থান:
আলুটিলা গুহা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গুহা।
কিভাবে যাওয়া যায়:
-
খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে পশ্চিমে মাত্র ৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই আলুটিলা পৌঁছানো যায়।
-
আবার মাটিরাঙ্গা থেকে জেলা শহরের পথে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরেই এর অবস্থান।
স্থানীয় নাম:
এলাকার মানুষ গুহাটিকে “মাতাই হাকড়” নামে চেনে, যার অর্থ দেবতার গুহা।
গুরুত্ব:
-
আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়।
-
গুহাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮২ ফুট।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণি পাঠ্যবই)

0
Updated: 12 hours ago
ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 12 hours ago
A
খাজা নাজিম উদ্দীন
B
নুরুল আমিন
C
লিয়াকত আলী খান
D
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ
ভাষা আন্দোলন
বাংলার মুক্তির ইতিহাসে প্রথম বড় ঘটনা ছিল ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধের সূচনা ঘটে।
সূচনা ও পরিণতি
ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে, আর এর চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
আন্দোলনের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
-
পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন: ফিরোজ খান নুন
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: গোলাম মোহাম্মদ
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন: খাজা নাজিমউদ্দীন
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন: নুরুল আমিন
অতিরিক্ত তথ্য
-
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 12 hours ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 day ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 day ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 12 hours ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 12 hours ago