A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
স্যার সৈয়দ আহমেদ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
উত্তরের বিবরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর অবদান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট:
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরদার করে।
সরকারের প্রতি দাবি:
নওয়াব সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
লর্ড হার্ডিঞ্জের সফর:
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় তিন দিনের জন্য আসেন। ৩১ জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থে একটি মানপত্র পেশ করে।
সরকারি ঘোষণা:
এর পরপরই ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ঘোষণা জারি করে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু:
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 12 hours ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 day ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 day ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
Created: 12 hours ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
C
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক। সৈয়দ হোসেন হাবসিকে পরাজিত করে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং "আলাউদ্দিন হুসেন শাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারের লোক। তাঁর শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত।
দক্ষ শাসনকর্ম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হতো। তাঁর সময়েই শ্রীচৈতন্য দেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করা হয়।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের কৃতিত্ব
অত্যুজ্জ্বল রাজত্বকাল
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে তাঁর রাজত্বকাল অন্যতম সেরা অধ্যায়। তাঁর শাসনামলে বাংলার সীমানা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
সামরিক সাফল্য
-
কামরূপ ও কামতা জয় করেন।
-
ঊড়িষ্যা ও ত্রিপুরার কিছু অংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
আরাকানিদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
প্রশাসনিক দক্ষতা
তিনি হাবসি দাসদের প্রভাবমুক্ত করে প্রশাসনকে সুসংগঠিত করেন।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতায় এসে অরাজকতা দূর করে দেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
বিদেশি আক্রমণ প্রতিরোধ
দিল্লীর লোদী সম্রাটদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাংলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেন।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন, যা সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা
হুসেন শাহ ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। তাঁর আমলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রূপ গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও পরাগল খানের মতো কবিরা কীর্তি গড়ে তোলেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 12 hours ago
‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই-২০২৫)’ অনুযায়ী, সবচেয়ে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য রয়েছে কোন বিভাগে?
Created: 1 day ago
A
রংপুর
B
বরিশাল
C
সিলেট
D
খুলনা
জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (MPI) – বাংলাদেশ, ২০২৫
-
প্রকাশের তারিখ: ৩১ জুলাই ২০২৫
-
প্রকাশকারী: পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (GDI)
-
বৈশিষ্ট্য:
-
দেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক।
-
ব্যক্তির আয়-রোজগারের উপর নয়, বিভিন্ন সেবার প্রাপ্যতার ভিত্তিতে দারিদ্র্য নির্ধারণ করা হয়।
-
-
মোট সূচক: ১১টি
-
বিদ্যুতের প্রাপ্যতা
-
স্যানিটেশন
-
পানির প্রাপ্যতা
-
আবাসনের মান
-
রান্নার জ্বালানির প্রাপ্যতা
-
সম্পদের প্রাপ্যতা
-
ইন্টারনেট সংযোগ
-
বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার
-
শিশুদের শিক্ষাকালের ব্যাপ্তি
-
পুষ্টি
-
প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা
-
-
তথ্যসূত্র:
-
২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ (HIES)
-
২০১৯ সালের বহু সূচকবিশিষ্ট গুচ্ছ জরিপ (MICS)
-
-
প্রধান ফলাফল:
-
দেশের ২৪.৫% মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে রয়েছে (~৩ কোটি ৯৮ লাখ মানুষ)।
-
গ্রামীণ এলাকা: ২৬.৯৬%
-
শহরাঞ্চল: ১৩.৪৮%
-
অঞ্চলভিত্তিক:
-
সর্বোচ্চ: সিলেট বিভাগ (৩৭.৭০%)
-
সর্বনিম্ন: খুলনা বিভাগ
-
-
জেলা ভিত্তিক:
-
সর্বোচ্চ: বান্দরবান (৬৫.৩৬%)
-
সর্বনিম্ন: ঝিনাইদহ (৮.৬৬%)
-
-
উৎস: প্রথম আলো [link]

0
Updated: 1 day ago