A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
C
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
উত্তরের বিবরণ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক। সৈয়দ হোসেন হাবসিকে পরাজিত করে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং "আলাউদ্দিন হুসেন শাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারের লোক। তাঁর শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত।
দক্ষ শাসনকর্ম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হতো। তাঁর সময়েই শ্রীচৈতন্য দেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করা হয়।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের কৃতিত্ব
অত্যুজ্জ্বল রাজত্বকাল
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে তাঁর রাজত্বকাল অন্যতম সেরা অধ্যায়। তাঁর শাসনামলে বাংলার সীমানা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
সামরিক সাফল্য
-
কামরূপ ও কামতা জয় করেন।
-
ঊড়িষ্যা ও ত্রিপুরার কিছু অংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
আরাকানিদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
প্রশাসনিক দক্ষতা
তিনি হাবসি দাসদের প্রভাবমুক্ত করে প্রশাসনকে সুসংগঠিত করেন।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতায় এসে অরাজকতা দূর করে দেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
বিদেশি আক্রমণ প্রতিরোধ
দিল্লীর লোদী সম্রাটদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাংলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেন।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন, যা সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা
হুসেন শাহ ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। তাঁর আমলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রূপ গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও পরাগল খানের মতো কবিরা কীর্তি গড়ে তোলেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 12 hours ago
মারি চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
Created: 1 day ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
মারি চুক্তি (১৯৫৫)
-
প্রেক্ষাপট:
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
এই অধিবেশনে পাকিস্তানের সব প্রদেশের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্ট, সংবিধান সংক্রান্ত আপোস চুক্তি সম্পাদন করেন।
-
-
চুক্তির খসড়া:
-
চুক্তি ‘মারি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
-
এতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় অঞ্চলের সংসদ সদস্য একমত হন।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন: এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান, মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
-
চুক্তির পরবর্তী ঘটনা:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক।
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
-
প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের সব প্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) সংগ্রামের নোটবুক
iii) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 1 day ago
স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হলেন-
Created: 5 days ago
A
সতীন সরকার
B
সৈয়দ আলী আহসান
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
শামসুর রহমান
• স্বাধীনতা পদক:
- ‘স্বাধীনতা পদক’ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক।
- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
- ১৯৭৭ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হচ্ছে।
- স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, পাঁচ লক্ষ টাকা এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
প্রশ্নে উল্লেখিত চার জন ব্যক্তিই বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রশ্নের অপশনে একাধিক উত্তর থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।
এখানে,
- কবি শামসুর রহমান ১৯৯১ সালে সাহিত্যে,
- যতীন সরকার শিক্ষায় ২০১০ সালে,
- সৈয়দ আলী আহসান সাহিত্যে- ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
এবং
- সৈয়দ শামসুল হক ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য,
অপশনে ‘সতীন’ –এর স্থলে ‘যতীন’ এবং ‘রহমান’ –এর স্থলে ‘রাহমান’ হবে।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 5 days ago
বঙ্গবন্ধুকে কখন “জুলিও কুরী” শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়?
Created: 12 hours ago
A
২০ মে, ১৯৭৩
B
২১ মে, ১৯৭২
C
২২ মে, ১৯৭২
D
২৩ মে, ১৯৭৩
বঙ্গবন্ধুকে "জুলিও কুরি" শান্তি পদক প্রদান
পুরস্কার প্রদানের তারিখ:
১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্মাননা লাভ করেন।
পুরস্কার সম্পর্কে:
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। এ পদকটি বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সালে চালু করে।
মনোনয়ন:
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির সান্টিয়াগো শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর নাম এ পদকের জন্য মনোনীত হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান:
ঢাকায় ১৯৭৩ সালের ২৩ মে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুর হাতে এ পদক তুলে দেন।
তথ্যসূত্র: কারাগারের রোজনামচা

0
Updated: 12 hours ago