“মাৎস্যন্যায়” বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?

Edit edit

A

৫ম-৬ষ্ঠ শতক

B

৬ষ্ঠ-৭ম শতক

C

৭ম-৮ম শতক

D

৮ম-৯ম শতক

উত্তরের বিবরণ

img

যখন দেশে আইনকানুন কার্যকর থাকে না বা শাসনক্ষমতা ভেঙে পড়ে, তখন অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে “মাৎস্যন্যায়” বলা হয়। এর মানে হলো— যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, তেমনি শক্তিশালী দুর্বলকে দমন করে আইনহীনতা চালিয়ে যায়।

মাৎস্যন্যায়ের সময়কাল

বাংলার ইতিহাসে ৭ম থেকে ৮ম শতক ছিল চরম নৈরাজ্যের সময়। এই অরাজক পরিস্থিতি ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।

শশাঙ্ক-পরবর্তী অরাজকতা

গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় কেন্দ্রীয় শাসন ভেঙে পড়ে। এর ফলে অশান্তি, লড়াই-ঝগড়া আর হানাহানি শুরু হয়, যা কয়েক শতাব্দী ধরে চলতে থাকে।

গোপালের আবির্ভাব

এই নৈরাজ্য দূর করে গোপাল নামের এক নেতা বাংলায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁকে জনগণ রাজা হিসেবে বেছে নেয়। এর মাধ্যমে পাল বংশের সূচনা হয় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।

পাল রাজবংশের শাসন

গোপালের প্রতিষ্ঠিত পাল রাজবংশ প্রায় চারশ বছর বাংলা ও বিহার অঞ্চলে শাসন করেছে (অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে)। এই দীর্ঘ শাসনামলে দেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।

প্রখ্যাত পাল রাজারা

পাল বংশের মধ্যে ধর্মপাল, দেবপাল ও মহিপালের নাম সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখেন।

উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

Unfavorite

0

Updated: 12 hours ago

Related MCQ

মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ক'টি জেলার সীমান্ত রয়েছে?

Created: 1 week ago

A

২টি 

B

৩টি 

C

৪টি 

D

৫টি

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত-

Created: 1 week ago

A

১০০ : ১০৬ 

B

১০০ : ১০০.৬ 

C

১০০ : ১০০.৩ 

D

১০০ : ১০০

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা-

Created: 1 week ago

A

২৬ 

B

২৭ 

C

২৮ 

D

৩১

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

Links

Home

Exams

Live Exam

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD