বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago
Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS)-এর প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
আগারগাঁও
B
মিরপুর
C
ফার্মগেট
D
সেগুনবাগিচা
BIDS (Bangladesh Institute of Development Studies)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Institute of Development Studies বা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
প্রকৃতি: এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সংস্থা, যা বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মুখোমুখি উন্নয়ন সমস্যার ওপর নীতি-ভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা করে।
-
প্রতিষ্ঠা: জুন, ১৯৪৭ (প্রথমে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্স বা PIDE নামে)।
-
প্রধান কার্যালয়: আগারগাঁও, ঢাকা।
-
ইতিহাস:
-
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের পর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্থনীতি ইনস্টিটিউট (BIDE)।
-
১৯৭৪ সালে সংসদীয় সনদ প্রাপ্তির পর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট (BIDS), যা উন্নয়ন গবেষণার বহুমুখী কেন্দ্র হিসেবে প্রতিফলিত।
-
-
লক্ষ্য:
-
নির্ভরযোগ্য গবেষণা পরিচালনা করা।
-
নীতি সংলাপ প্রচার এবং নীতিগত বিকল্প প্রচার করা।
-
তথ্যভিত্তিক নীতি নির্ধারণের জন্য জোট তৈরি করে উন্নয়ন সমাধানে শেখার সুবিধা প্রদান।
-
গবেষণা পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান।
-
উন্নয়নমূলক হস্তক্ষেপের মূল্যায়ন করা।
-
বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার উপর বিশ্লেষণাত্মক ও নীতিনির্ধারিত গবেষণা পরিচালনা করা।
-
আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণার ফলাফল ও জ্ঞান নীতিনির্ধারণে প্রচার করা।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে?
Created: 1 month ago
A
রেহানা পারভীন
B
ফারহানা হোসেন
C
আফরোজা রহমান
D
নাজমা আক্তার
নারী শিক্ষা সচিব:
- বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেহানা পারভীন।
- তিনি ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- এর আগে তিনি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা।
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে দুটি বিভাগে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে সাতজন সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তাদের কেউই নারী ছিলেন না।
- রেহানা পারভীনের নিয়োগের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো।
0
Updated: 1 month ago
রাজশাহীর সর্বপ্রাচীন ইমারত 'বড়কুঠি' কাদের র্কীতি?
Created: 1 month ago
A
ফরাসী বণিক
B
ইংরেজ বণিক
C
পর্তুগীজ বণিক
D
ওলন্দাজ বণিক
বড়কুঠি (রাজশাহী)
-
রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন ইমারত।
-
অবস্থান: রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ে।
-
নির্মাণকাল: সুনির্দিষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হয় ১৮শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে (১৭২৫ সালের আগে)।
-
নির্মাতা: ওলন্দাজ (ডাচ) রেশম ব্যবসায়ীরা।
-
গঠন: ইট নির্মিত ও সমতল ছাদবিশিষ্ট স্থাপনা।
-
প্রথম ব্যবহার: ডাচদের বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে।
পরবর্তী ইতিহাস
-
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা ভারতে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।
-
১৮১৪ সালে ইংরেজদের সঙ্গে চুক্তি করে বড়কুঠিসহ ভারতের সব ব্যবসা কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে হস্তান্তর করে।
-
১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখানে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
-
পরবর্তীতে ভবনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন হয়।
0
Updated: 1 month ago