ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
A
খাজা নাজিম উদ্দীন
B
নুরুল আমিন
C
লিয়াকত আলী খান
D
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন
বাংলার মুক্তির ইতিহাসে প্রথম বড় ঘটনা ছিল ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধের সূচনা ঘটে।
সূচনা ও পরিণতি
ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে, আর এর চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
আন্দোলনের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
-
পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন: ফিরোজ খান নুন
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: গোলাম মোহাম্মদ
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন: খাজা নাজিমউদ্দীন
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন: নুরুল আমিন
অতিরিক্ত তথ্য
-
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
C
মাওলানা আতাহার আলী
D
আবুল কাশেম
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
২১ দফা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
যুক্তফ্রন্ট
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
যুক্তফ্রন্ট ও ২১ দফা কর্মসূচি
-
গঠন: ১৯৫৩ সালে।
-
নির্বাচনী প্রতীক: নৌকা।
-
ইশতেহার: ২১ দফা কর্মসূচি, মুখ্য রচয়িতা: আবুল মনসুর আহমদ।
-
উদ্দেশ্য: গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করা ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।
২১ দফার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ ও ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধে খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে স্বাবলম্বিতা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস ও মন্ত্রীদের বেতন সীমিত করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স বাতিল।
১৫. বিচার ও প্রশাসন বিভাগ পৃথকীকরণ।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত।
১৭. শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা ও সরকারি ছুটি।
১৯. লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা।
২১. শূন্য আসন পূরণের জন্য তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কণিষ্কের রাজধানী ছিল কোনটি?
পুরুষপুর
Created: 1 month ago
A
পুরুষপুর
B
মথুরা
C
তক্ষশিলা
D
উজ্জয়িনী
কুষাণ যুগ (৩০ খ্রিস্টপূর্ব – ৩য় শতক)
কুষাণদের পরিচয়
-
কুষাণরা ছিল ইউ-চি জাতির একটি শাখা।
-
ইউ-চির পাঁচটি শাখা ঐক্যবদ্ধ করে কুজলা কদফিসেস কুষাণ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
তিনি কাবুল, সোমায়ার, কাশ্মির দখল করেন।
কদফিসেস বংশ
-
কুজলা কদফিসেসের পুত্র বিম কদফিসেস → তাঁর সাম্রাজ্য তুর্কিস্থান থেকে সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
সম্রাট কণিষ্ক (৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১০১ খ্রিস্টাব্দ)
-
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
-
৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং একটি অব্দ চালু করেন → পরবর্তীতে এটি শকাব্দ নামে পরিচিত হয়।
-
রাজধানী: পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার)।
-
সাম্রাজ্য বিস্তার:
-
পশ্চিমে পেশোয়ার থেকে পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ,
-
উত্তরে কাশ্মির থেকে দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত।
-
ভারতের বাইরে আফগানিস্তান ও সোভিয়েত তুর্কিস্থানের অংশ।
-
-
প্রশাসন → বিশাল সাম্রাজ্যকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে কর্মকর্তাদের দ্বারা শাসন।
-
ধর্ম: তাঁর আমলে বৌদ্ধধর্ম → হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
-
মৃত্যু: ২৩ বছর রাজত্বের পর ১০১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ।
0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 months ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
লুসাই
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
চাকমা / কার্পাস বিদ্রোহ
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন।
-
বিভাগভিত্তিক অবস্থান:
-
চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাস করে (৬০.০৪%)।
-
বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (০.২৫%)।
-
-
বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: চাকমা (৪,৮৩,৩৬৫ জন)।
-
অন্যান্য প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী:
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯ জন
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০ জন
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬ জন
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮ জন
-
গারো: ৭৬,৮৫৪ জন
-
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago