ঐতিহাসিক “ছয় দফা দাবিতে” যে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না-
A
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
B
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
C
স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
D
বিচার ব্যবস্থা
উত্তরের বিবরণ
‘বিচার ব্যবস্থা’ ছয় দফা দাবিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক মহাসম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবিগুলোকে ভিত্তি করে একটি ঘোষণাপত্র পেশ করেন। এটি ইতিহাসে “ছয় দফা কর্মসূচি” নামে পরিচিত।
পরবর্তীতে, ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছয় দফা দাবি প্রকাশিত হয়। এ কর্মসূচি ছিল মূলত ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব এর ধারাবাহিকতা। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য এই ছয় দফাকে বলা হয় “মুক্তির সনদ” বা “ম্যাগনা কার্টা”।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু
১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা
২. কেন্দ্রীয় সরকারের সীমিত ক্ষমতা
৩. মুদ্রা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রাদেশিক অধিকার
৪. কর ও শুল্ক সংগ্রহে প্রাদেশিক ক্ষমতা
৫. বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রাদেশিক নিয়ন্ত্রণ
৬. প্রতিটি প্রদেশের জন্য আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা
এখানে দেখা যায়, ‘বিচার ব্যবস্থা’ বা বিচার বিভাগের সংস্কার কোনো দফায় উল্লেখ করা হয়নি।
উৎসঃ বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
ঐতিহাসিক 'ছয়-দফা' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন—
Created: 3 weeks ago
A
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
B
২৩ মার্চ ১৯৬৬
C
২৬ মার্চ ১৯৬৬
D
৩১ মার্চ ১৯৬৬
ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মূল ভিত্তি। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এটি ঘোষণা করেন, যা পরবর্তীতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি পায়।
ইতিহাসে এই কর্মসূচি শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি নিয়েও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি সংবলিত কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এ কর্মসূচিই পরবর্তীতে ৬ দফা কর্মসূচি নামে পরিচিত হয়।
-
২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে লাহোরের সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
-
৬ দফা কর্মসূচিকে বাঙালি জাতির "মুক্তির সনদ" বা "Magna Carta of Bangladesh" বলা হয়।
-
এই কর্মসূচি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব এর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠে।
ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
-
প্রথম দফা: প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিতকরণ।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে প্রদান।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর ও শুল্ক সংগ্রহের ক্ষমতা প্রদেশের হাতে দেওয়া।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে প্রাদেশিক অধিকার।
-
ষষ্ঠ দফা: প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
0
Updated: 3 weeks ago
ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করা হয় ১৯৬৬ সালের-
Created: 1 month ago
A
ফেব্রুয়ারিতে
B
মে মাসে
C
জুলাই মাসে
D
আগস্টে
ছয় দফা কর্মসূচি
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার স্বার্থে একটি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এই কর্মসূচিই পরবর্তীতে ইতিহাসে ছয় দফা কর্মসূচি নামে পরিচিত হয়।
পরবর্তীতে, ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে লাহোরের এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছয় দফা প্রকাশ করেন। বাংলার জনগণের কাছে এটি ছিল মুক্তির মূল সনদ, যা ইতিহাসে “বাঙালির মুক্তির সনদ” বা “ম্যাগনা কার্টা” নামে খ্যাত। এই দাবিসমূহ মূলত ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০) এর আদর্শ থেকে প্রভাবিত ছিল।
ছয় দফা দাবি
-
প্রথম দফা: পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
-
দ্বিতীয় দফা: প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক নীতির বাইরে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত রাখা।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা ও আর্থিক ব্যবস্থার উপর প্রাদেশিক সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব আদায় ও কর/শুল্ক সংগ্রহে প্রাদেশিক সরকারের কর্তৃত্ব।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
-
ষষ্ঠ দফা: পূর্ব পাকিস্তানে নিজস্ব আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের অধিকার।
উৎসঃ পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক, বাংলাপিডিয়া (Banglapedia).
0
Updated: 1 month ago
আওয়ামী লীগের ৬-দফা পেশ করা হয়েছিল -
Created: 1 month ago
A
১৯৬৬ সালে
B
১৯৬৭ সালে
C
১৯৬৮ সালে
D
১৯৬৯ সালে
ছয় দফা দাবি (১৯৬৬)
পটভূমি: ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি হিসেবে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
ঘটনাক্রম:
-
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে ৬ দফা প্রস্তাব করেন।
-
একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি, আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা আন্দোলন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি, বিরোধীদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবিগুলো পেশ করেন।
-
পরবর্তীতে, ১৮ মার্চ ১৯৬৬, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রকাশিত “আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফা কর্মসূচি” শীর্ষক পুস্তিকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু:
-
প্রথম দফা: রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনতান্ত্রিক প্রকৃতি।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা বণ্টন।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা ও অর্থনীতি।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব ও শুল্কনীতি।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক মুদ্রা ও বাণিজ্যনীতি।
-
ষষ্ঠ দফা: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা।
এ ছয় দফাকে পূর্ব বাংলার “মুক্তির সনদ” বলা হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago