জাতিসংঘের অফিশিয়াল বা দাপ্তরিক ভাষা কয়টি?
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৭টি
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ (United Nations)
• প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর, জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে
• সনদ স্বাক্ষরিত: ২৬ জুন, ১৯৪৫, সানফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
• প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য: ৫১টি দেশ
• বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি দেশ
• সদর দপ্তর: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা:
• ইংরেজি
• ফরাসি (French)
• রাশিয়ান (Russian)
• চীনা (Chinese)
• স্প্যানিশ (Spanish)
• আরবি (Arabic)
সূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
কোন দেশ ভেটো প্রয়োগ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সদস্যপদ প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত করেছিল?
Created: 3 weeks ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
যুক্তরাজ্য
D
চীন
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সম্পর্ক শুরু হয় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছিল। সেই সময়ে ভারত সরকার ১৯৭১ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার অনুরোধ জানায়, এবং জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন। এছাড়া তৎকালীন মহাসচিব উ থান্ট ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।
-
১১ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের আবেদনটি পুনরায় বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
-
২৩ আগস্ট, বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুগোস্লাভিয়া সমর্থিত একটি প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয়।
-
তবে ২৫ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে চীন ভেটো প্রয়োগ করায় তখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করতে পারেনি।
পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ পুনরায় সদস্যপদের আবেদন করে।
-
১০ জুন, ১৯৭৪ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়, যেখানে চীন এবার ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশসহ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রেরণ করা হয়।
-
অবশেষে ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
ওই দিনই সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশকে সদস্যপদ প্রদান করে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে তোলে।
0
Updated: 3 weeks ago
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি কে ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
এস এ করিম
B
সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী
C
ইসমাত জাহান
D
ড. এ কে আব্দুল মোমেন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুরু হয় স্বাধীনতার পরপরই, যখন দেশটি বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন এবং বৈশ্বিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
-
জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি: এস. এ. করিম (১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪)
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের ক্রমক্রমিক তালিকা:
-
১ম: এস. এ. করিম
-
২য়: কে. এম. কায়সার
-
৩য়: খাজা ওয়াসিউদ্দিন
-
৪র্থ: বি. এ. সিদ্দিকী
-
৫ম: আতাউল করিম
-
৬ষ্ঠ: এ. এইচ. জি. মহিউদ্দিন
-
৭ম: মোহাম্মদ মহসিন
-
৮ম: হুমায়ুন কবির
-
৯ম: রিয়াজ রহমান
-
১০ম: আনোয়ারুল করিম চৌধুরী
-
১১তম: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী
-
১২তম: ইসামত জাহান (১৮ জুন, ২০০৭ — প্রথম নারী প্রতিনিধি)
-
১৩তম: এ. কে. আব্দুল মোমেন
-
১৪তম: মাসুদ বিন মোমেন
-
১৫তম: রাবাব ফাতিমা
-
১৬তম: মুহাম্মদ আবদুল মুহিত
-
১৭তম: সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী (বর্তমান স্থায়ী প্রতিনিধি)
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক:
-
বাংলাদেশের জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভের তারিখ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ (২৯তম অধিবেশন)
-
সদস্য হিসেবে ক্রম: ১৩৬তম দেশ
-
বাংলাদেশকে প্রথম স্বাগত জানায়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
-
জাতিসংঘ বাজেটে বাংলাদেশের চাঁদার হার: ০.০১ শতাংশ
0
Updated: 3 weeks ago
জাতিসংঘ সনদের কত নং ধারা অনুসারে 'সনদ সংশোধন করা যেতে পারে'?
Created: 1 month ago
A
৪৯ নং ধারা
B
১০৮ নং ধারা
C
৪৬ নং ধারা
D
১১০ নং ধারা
জাতিসংঘ সনদ (UN Charter):
- জাতিসংঘ সনদের রচয়িতা: আর্চিবাল্ড ম্যাকলিশ (Archibald Macleish)।
- সনদে মোট ১১১টি অনুচ্ছেদ ও ১৯টি অধ্যায় রয়েছে।
- ১০৮ ধারা অনুযায়ী সনদ সংশোধন করা যেতে পারে।
- প্রথমে সংশোধনী সাধারণ পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হতে হবে।
- তারপর নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগুলোসহ জাতিসংঘের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যরাষ্ট্রে স্ব স্ব সংবিধান অনুযায়ী তা অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
- জাতিসংঘ সনদ এই পর্যন্ত মোট ৩ বার সংশোধিত হয়েছে।
অন্যদিকে,
- ধারা ৪৯: নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক স্থিরীকৃত কর্মপন্থা অনুসরণ করার জন্য জাতিসংঘের সদস্যরা পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদানে স্বীকৃত থাকবে।
- ধারা ৪৬: সামরিক বাহিনী নিয়োগ-সম্পর্কিত পরিকল্পনাদি সামরিক স্টাফ কমিটির সহায়তায় নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত হবে।
0
Updated: 1 month ago