বাসেল কনভেনশন হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য পদার্থের সীমান্ত অতিক্রম করে পরিবহন ও নিষ্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গৃহীত হয়। এটি ১৯৮৯ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯২ সালে কার্যকর হয়। এর পূর্ণ নাম হলো “Basel Convention on the Control of Transboundary Movements of Hazardous Wastes and their Disposal”। বাংলাদেশ ১৯৯৩ সালে এই কনভেনশন অনুমোদন করে এবং এর সদস্যদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়।
• বাসেল কনভেনশনের মূল লক্ষ্য হলো উন্নত দেশগুলো থেকে উন্নয়নশীল দেশে বিপজ্জনক বর্জ্য রপ্তানি প্রতিরোধ করা।
• এই চুক্তি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পরিবেশবান্ধব নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়।
• কনভেনশনটি বিপজ্জনক বর্জ্য যেমন বিষাক্ত রাসায়নিক, ভারী ধাতু, হাসপাতাল বর্জ্য এবং ইলেকট্রনিক বর্জ্য ইত্যাদির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তির নীতি নির্ধারণ করে।
• এর অধীনে সদস্যদেশগুলো বর্জ্য পরিবহনের আগে প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী দেশের মধ্যে পূর্বানুমোদন (Prior Informed Consent) প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বাধ্য।
• বাসেল কনভেনশনের সচিবালয় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।
• ১৯৯5 সালে “Basel Ban Amendment” গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো থেকে উন্নয়নশীল দেশে বিপজ্জনক বর্জ্য রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
• এই কনভেনশন বৈশ্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।